somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার বক্তব্য- হুমায়ূন আহমেদ বড় বিনয়ী, শান্ত ও ভালো প্রকৃতির মানুষ ছিলেন, আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুন, আমিন।।

২২ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন ব্লগে আসি না। আসি না বলতে আসার সময় সুযোগ হয়ে উঠে না এই আর কি ! তবে বিশ্বাস করি ব্লগ তার নিজের গতিতেই চলবে। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে ব্লগের আবার নিজের গতি বলে কি কিছু আছে ?

চিন্তায় চিন্তায় ভা-ব-না-য় মরি,
পথ খুঁজি, পথে খুঁজি,
আহা কি করি !

প্রচলিত একটা ব্যাপক সত্য বুলি সবারই জানা, কোন দেশের ক্ষেত্রে "জনগন-ই সকল ক্ষমতার উৎস", এই একই সত্য ব্লগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এখানে একটু পরিবর্তন করে লিখতে হয় "ব্লগার-ই সকল ক্ষমতার উৎস"। ব্লগাররা আছে বলেই প্রিয় ব্লগগুলো ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সমৃদ্ধ হচ্ছে। এই কাজটা কিন্তু স্বতস্ফুর্ত ভাবে ব্লগার-রাই করে থাকে, এবং বলা চলে বিষয়টা এমনই হবে এটাই স্বাভাবিক। ছোট পরিসরে আমরা আমাদের কাজ গুলো ঠিকই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু কোন বৃহৎ সিদ্ধান্তে আমরা কেন যেন খেয় হারিয়ে ফেলি, এটা হয়তো নিজের কাজ নিজে, কিংবা নিজের দায়িত্বটুকু নিজের পালন না করার জন্যই হয়।

প্রতি নিয়ত আমরা হাঁটছি, ঘুরছি, ফিরছি, খাচ্ছি, দিনকে রাত, আর রাতকে দিন হতে দেখছি !! এই কি জীবন !!!!!!
(কি লিখতে এসে আমি এখন কি লিখতেছি কিছুই বুঝতেছি না।!!:|:|)

যাইহোক, যথারীতি ব্লগীয় বিষয় বস্তু হল বর্তমান সময়ের আলোচিত ঘটনা এবং তার সামগ্রিক আলোচনা, যাকে অনেকটা বলা যায় "আপাদমস্তক ব্যবচ্ছেদ"।
নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ এখন মুখে, ঠোঁটে, কলমে, কি-বোর্ডে, ক্যামেরায়, ছবিতে কিংবা টিভি-চ্যানেল গুলোর সরাসরি লবিতে। ব্লগ, নিউজ পেপার, গুলোও মেতে উঠেছে একই ব্যবসায়.......................
এই সম্পর্কে লেখক বলেছেনঃ

"যে বাড়িতে মানুষ মারা যায় সে বাড়িতে মৃত্যুর আট থেকে নয় ঘন্টা পর একটা শান্তি শন্তি ভাব চলে আসে।আত্মীয় স্বজনরা কান্নাকাটি করে চোখের পানির স্টক ফুরিয়ে ফেলে।চেষ্টা করেও তখন কান্না আসে না।তবে বাড়ির সবার মধ্যে দুঃখী দুঃখী ভাব থাকে।সবাই সচেতন ভাবেই হোক বা অচেতন ভাবেই হোক দেখানোর চেষ্টা করে মৃত্যুতে সেই সব চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে।মূল দুঃখের চেয়ে অভিনয়ের দুঃখই প্রধান হয়ে দড়ায়।একমাত্র ব্যাতিক্রম সন্তানের মৃত্যুতে মায়ের দুঃখ।-হুমায়ূন আহমেদ।"

তার কয়েকটা মাত্র বই-ই আমার পড়া হয়েছে, আর কয়েকটা সাক্ষাৎকার দেখলাম, নাটকও দেখা হয়েছে। লেখকের লেখনীই তাকে বাঁচিয়ে রাখে, শুধু মাত্র পাঠক নয়।

এই সব নিয়ে তাই বেশি কিছু বলতে চাই না। খাঁড়া থেকে ঢালু-র দিকে পানি প্রবাহিত হবে এইতো নিয়ম ! পৃথিবীর সব কিছুই ধ্বংস হবে এইতো সত্য, অতীতেও তাই হয়েছে।

একটা মানুষ মারা গেলো আমরা বিধাতার ক্ষুদ্র সৃষ্টি হিসেবে তার মঙ্গলের জন্য শুধু দোয়ায় তো করতে পারি, তার ফলে যদি মৃত ব্যক্তি সষ্টার ক্ষমা পেয়ে যান, তাতে আমাদের ঈর্ষান্নিত হওয়া কি ঠিক ? আমি , আপনি কি ভাই কম গুনাহ করছি ? আমার , আপনার জন্য কেউ যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে তবে তা কি আমাদের কাম্য নয় !!??

প্রিয় নবী রাহমাতুলিস্নল আলামিন সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম এ ব্যাপারে হাদীস শরীফে মৃত ব্যক্তির কল্যাণে সুন্দর নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, অর্থাৎ হযরত ইবনে ওমর রাদ্বিয়ালস্নাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলস্নাহ্র রাসূল সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম এরশাদ করেছেন, তোমরা মৃত ব্যক্তির ভালো কাজের আলোচনা করো এবং মন্দ বিষয়াদি আলোচনা করা থেকে এড়িয়ে চলো। (আবু দাউদ, তিরমিযি, আনোয়ারম্নল হাদিস, পৃষ্ঠা নং-২৩৪)


আরকটি হাদীসে হযরত আনাস বাদ্বিয়ালস্নাহু আনহু হতে বর্ণিত, কিছু সাহাবায়ে কেরাম একটি জানজার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং তারা মৃতু্যকারী ব্যক্তির ভালো গুণাবলী আলোচনা করছিলেন, তখন প্রিয় নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম বললেন, (তোমাদের ভালো প্রশংসা দ্বারা) তার জন্য ওয়াজিব হয়ে গেলো। দ্বিতীয় আরেকটি জানাজার পাশ দিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে সাহাবায়ে কেরাম মৃত ব্যক্তির মন্দ বিষয়াদির আলোচনা করছিলেন, তখন প্রিয় নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম বলেন, (তোমাদের মন্দ আলোচনা দ্বারা) তার জন্য ওয়াজিব হয়ে গেলো। হযরত ওমর বিন খাত্তাব রাদ্বিয়ালস্নাহু আনহু বললেন, 'ইয়া রাসুলালস্নাহু! সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম কি ওয়াজিব হয়ে গেলো?' প্রিয় নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম এরশাদ করলেন, যে মৃত ব্যক্তিটির তোমরা ভালো গুণাবলী আলোচনা করেছ তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেলো। আর যে মৃত ব্যক্তির মন্দ আলোচনা করেছে তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেলো। কেননা, তোমরা জমিনে আলস্নাহ্র সাৰীস্বরূপ। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আনোয়ারম্নল হাদীস-পৃষ্ঠা নং-২৩৩) ।

সোজা কথায়, আল্লাহ যদি এদের ক্ষমা করে দেওয়ার ব্যবস্থা রাখেন তবে আমাদের অযথা ফ্যাসাদ বাড়িয়ে লাভ কি ?

আমার বক্তব্য- হুমায়ূন আহমেদ বড় বিনয়ী, শান্ত ও ভালো প্রকৃতির মানুষ ছিলেন, আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুন, আমিন।।

এই হাদীস দেওয়ার কারণ এই যে একটু পরে সবাই কাঁদা-মাটিকে বুড়িগঙ্গার জলে গুলিয়ে নিয়ে আসবেন এই জন্য, আর নাস্তিক সম্প্রদায়ের জন্য বলতেছি এই পোষ্টে ইসলামীক জ্ঞ্যান দিতে আসবেন না। আমি রোজাদার, ইফতার করে তারাবীর জন্য প্রস্তুত হবো। সো, দেখা হবে বিলম্বে

আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে।যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×