হুমায়ুন আহমেদের 'দেয়াল' যখন বিতর্কিত (!) চিহ্নিত হলো তখন অনেক সাহিত্য বিশারদ, জ্ঞানগর্ভ, বিশিষ্ট আলোচক, সাংবাদিক 'হায় হায় গেল গেল গেল....' বলে চিল্লানো শুরু করলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বলিলেন, হুমায়ুন তার চিকিৎসার খরচ তুলতে ইচ্ছেকৃতভাবেই ইতিহাসকে নির্যাতন করেছেন! ছি. ছি. ছি. এমনটা হুমায়ুন করতে পারলেন!!! এরপর পানি গড়াতে গড়াতে বন্যা হয়ে মহামান্য হাইকোর্ট পর্যন্ত গেল। প্রথমে ছাপানো নিষিদ্ধ করা হলো। পরে সেদিনই বিকালে হাইকোর্ট আবার রায় পরিবর্তন করে হুমায়ন আহমেদের উপরে দায় বর্তিয়ে বললেন "তিনি জ্ঞানী মানুষ, তিনিই ঠিক করবেন সব! "
ভাগ্য এবং বাস্তবতার কি লীলাখেলা! আজ হুমায়ন আহমেদ স্যার নেই। চলে গেছেন না ফেরার দেশে। সব বিতর্কের উর্ধ্বে চলে গেছেন তিনি। আর এখন সেইসব সাহিত্য বিশারদ, জ্ঞানগর্ভ, বিশিষ্ট আলোচক, সাংবাদিকরা তাঁর স্থুতি গেয়ে বেড়াচ্ছেন!! তার পক্ষে বিশাল বিশাল কলাম লিখে চলেছেন!
বড়ই সেল্যুকাস এই পৃথিবী! বড়ই সৌন্দর্যময় এ মানুষ প্রজাতি।
আবার কলকাতার বিখ্যাত লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যয় একদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন "হুমায়ন কথাসাহিত্যিক শরৎবাবুকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন।"
সুনীলবাবুকে জিজ্ঞাসা "হুমায়ুন আহমেদ স্যার বেঁচে থাকতে এ কথা কোথাও কি বলেছিলেন?"