সবাই আশায় ছিল- চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে তিনি ফিরে আসবেন। হুমায়ূন আহমেদ দেশের মাটিতে ফিরছেন, তবে কফিনে বন্দি হয়ে।
বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ৯টায় নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে জনপ্রিয় এই কথাশিল্পীর মরদেহ নিয়ে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন স্বজনরা।
স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, শাশুড়ি তহুরা আলী, দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিত, শ্যালিকা সেজুতি এম আফরোজ এবং অন্য প্রকাশের স্বত্ত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলামও একই বিমানে ফিরছেন।
হুমায়ূনকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশ প্রবাসী বাংলাদেশি। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেনও ছিলেন তাদের সঙ্গে।
মোমেন জানান, এমিরেটসের ফ্লাইটটি দুবাই হয়ে সোমবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু শনিবার জানান, সোমবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই লেখকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাবে সর্বস্তরের মানুষ। এরপর বেলা আড়াইটায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে মরদেহ।
মঙ্গলবার বাদ জোহর গাজীপুরে হুমায়ূনের গড়া নুহাশ পল্লীতেই তাকে সমাহিত করা হবে।
নয় মাস ক্যান্সারে ভোগার পর বৃহস্পতিবার রাতে নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান হুমায়ূন। তার অবস্থার অবনতির খবরে দিন দশেক আগেই নিউ ইয়র্কে এসেছিলেন তার ছোট ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী ইয়াসমীন হক। রোববারই তাদের দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
লেখকের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিনও ছিলেন নিউইয়র্কে। প্রকাশ্যে তাকে হাসপাতাল কিংবা অন্য কোথায়ও দেখা না গেলেও তবে নূহাশ পল্লীতে হুমায়ূনের দাফনের সময় তিনি উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।
পরিবারের একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে গুলতেকিনের।
হুমায়ূনকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেত্রী সেলিনা মোমেন ও শাহানারা রহমান ছাড়ও অনেকেই বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন।