রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়ে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে সাধারণ একটা পোস্ট দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ব্লগে এসে দেখলাম রমজানের চাঁদ দেখা নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কিছু পোস্ট চলে এসেছে। সেজন্য আলাদা কিছু লেখার ইচ্ছা হল।
আরবী মাসের মধ্য রমজান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস। মুসলমান মানেই এ বিষয়টি কম বেশি জানা আছে।
এই মাসে মুসলমানদের জন্য বেশি বেশি সওয়াব হাসিলের সুযোগ করে দিয়েছেন আল্লাহ।
যেমন এক রাকায়াত নামাজে ৭০ রাকায়াত নামাজের সওয়াব পাওয়া যায়। সারা বছর যারা নামাজ পড়েন না, রমজান মাস এলে তাদের মসজিদে যেতে দেখা যায়। এটা ভাল। এই শিক্ষা নেয়ার জন্যই আল্লাহ রমজান দিয়েছেন।
এখন দেখা যায় রমজানকে সামনে রেখে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা হারাম ব্যবসায় মেতে ওঠেন। হারাম ব্যবসা সেটাই যেটা মিথ্যার মাধ্যমে ক্রেতাকে ধোকা দিয়ে অধীন মুনাফা লাভ করা।
যেমন রমজানে মানুষ সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে একটু বেশি খেতে চায়। সেজন্য বাজারও বেশি করে। কিন্তু এই সময় দেখা যায় অন্য সময়ের তুলনায় সব পণ্যের দাম বেশি। কারণটা কি। মানুষ বেশি কেনে সেজন্য। সাধারণত কোনো পণ্যের সরবরাহ কম থাকলে ওই পণ্যের দাম বাড়ার কথা। কিন্তু রমজান মাসে সে ধরণের কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।
এখন যদি দেখা যায় কোনা কারণ ছাড়াই শুধু রমজানের কারণে পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। তাহলে সেই বাড়তি টাকা কী হালাল হবে?
আবার দেখা যায় ওই সব ব্যবসায়ী যারা কোনো কারণ ছাড়াই রমজানের কারণে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা আবার রাতে তারাবী পড়তে যান। সারা দিন রোজা রাখেন। আল্লাহর কাছে তারা কী জবাব দেবেন। আল্লাহ যদি তাদের জিজ্ঞাসা করেন তোমরা রমজানের কারণে পণ্যমূল্য বাড়িয়েছিলে কেন? তখন কোনো উত্তর থাকবে না।
অনেকে রমজানে নামাজ পড়েন। অন্য মাসে নামাজ পড়েন না। তাদের জন্য বলছি। নামাজ কিন্তু শুধু রমজানে ফরজ না। নামাজ ১২ মাসই ফরজ। সুতরাং শুধু রমজানে না, সব সময় নামাজ পড়তে হবে।
অনেক নারী রমজান মাসে পর্দা করেন। কিন্তু অন্য মাসে করেন না। তাদের সারা জীবন পর্দা করা উচিত। কারণ পর্দায় থাকা নারীর জন্য সব সময়ই ফরজ। এটা এক মিনিটের জন্যও সিথিল হয় না।
যারা রমজানের ফরজ রোজা রাখেন না। তাদের শাস্তি বড় কঠিন হবে। একথা কোরআন আর হাদিসে অনেক জায়গায় লেখা আছে। আর ইচ্ছাকৃতভাবে একটি রোজা ভাঙলে এক নাগারে ৬০ টি রোজা রাখতে হবে। ওই ৬০টির মধ্যে আবার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ভাঙে তাহলে আবার ১ম থেকে ৬০ রোজা রাখতে হবে। তাহলে বুঝেন ইচ্ছা করে রোজা না রাখলে কি হবে?
সবাইকে রমজানের ঈদের আগাম শুভেচ্ছা রইল