যারা বিখ্যাত হয় তাদের কিছু সমালোচনা থাকেই। কিন্তু তাই বলে তারা যা করে বিখ্যাত হয়েছেন সে কাজের প্রাপ্য প্রশংসা না করা অন্যায়। লেখক হিসেবে আমার প্রিয় এবং লেখালেখির কিছু দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে আদর্শ বলে যাকে মানি সেই হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুতে আমার চোখ অশ্রুসিক্ত, হৃদয় বেদনাহত। ডাক্তাররা বলেছিলেন কেমো নিলে তিনি পুরোপুরি ভাল হয়ে যাবেন। আমিও সে আশা করেছিলাম। তাই তার মৃত্যুসংবাদটা আমার কাছে আকস্মিকই বটে। তাকে নিয়ে একটা লেখা লিখছি। যদিও তাকে নিয়ে লেখার আমার কোন যোগ্যতাই নেই তবু তার একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধাস্বরুপ আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে দু একটা কথা লেখার চেষ্টা করছি। দেখি কেমন হয়।
আমি তাকে একটা চিঠি লিখেছিলাম ব্লগে। তারপর সে চিঠি আমি কালের কন্ঠ শিলালিপিতে তার লেখার প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাঠিয়েছিলাম। তারা ছাপেনি।ফলে সে চিঠি হয়ত তার গোচরে আসার সুযোগ পায়নি। সে চিঠির মূল বক্তব্য ছিল তিনি যেন আল্লাহ একজন আছে এ বিশ্বাসটা রাখেন। কারণ ন্যুনতম ঈমানদারের একটা সুযোগ থাকে আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার। চিঠির শেষ লাইনে লিখেছিলাম তাঁর ভক্ত হিসেবে আমি দুইজীবনের কোন জীবনেই তাকে বঞ্চিত দেখতে চাইনা... আমার আশা যে তিনি আল্লাহকে বিশ্বাস করেই যেন শেষ নি:শ্বাসটি ত্যাগ করে থাকেন। এটা অস্বাভাবিক নয় মোটেও যে আল্লাহ শেষ মূহুর্তে তাকে ঈমানদার হিসেবে মৃত্যু দান করেছেন। কারণ আল্লাহ চাইলে পারেন। আরো আশাকরি একারণে যে তিনি কারো ক্ষতি করেছেন এমনটা শুনিনি। পারলে উপকারই করেছেন। তাই আমি চাই আমার আশা যেন সত্য হয় এবং ন্যুনতম ঈমানের বদৌলতে আল্লাহপাক তার মানবীয় ভুলত্রুটি ক্ষমা করে তাকে জান্নাতবাসী করেন।
বি.দ্র. তিনি একবার বলেছিলেন যে জাদুকর এই জাদুর পৃথিবী তৈরী করেছেন তার খুব ইচ্ছা করে সে জাদুকরের স্বরুপ জানতে। তাই আমি তার ন্যুনতম ঈমানের ব্যাপারে এতটা আশাবাদী।