মিসির আলির অমিমাংসিত রহস্য আর শেষ
হোলো না, রহস্যটা নিয়ে মাথা ঘামাবার আগেই
মুষড়ে বসে পড়লেন। হুমায়ুন আহমেদ একটু
আগে মারা গেছেন। জন্ম মৃত্যুর রহস্য
নিয়ে মিসির আলি কখনই খুব একটা ভাবেন নি।
যেটা আমোঘ সেটা হবেই। আজ প্রথম বার তার
মনে হচ্ছে তার অস্তিত্তের সুতোয় টান পড়েছে।
পা ভাঙ্গা কুকুরটাকে পাউরুটি খাওয়াতে খাওয়াতে হিমুর
চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়লো। তার পিতার কঠিন
উপদেশ ছিল, মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হইয়ো না!
অতি বিচিত্র কারনে সে আজ হুমায়ুন আহমেদ
নামক ব্যক্তিটির প্রতি কঠিন মায়া অনুভব করছে।
রূপার জন্যেও সে কখনো এতো কঠিন মায়ার
টান অনুভব করেনি।জানলা খুলে রুপা আজ
জোছনা দেখছে।কেন যেন মনে হচ্ছে আজই তার
শেষ জোছনা দেখা। চশমা খুললে শুভ্র কিছুই
দেখতে পায়না। আজকে চশমা খোলার পর শুভ্রের
মনে হলো, আজ যেনো তার মত অন্য কেউও কিছু
দেখতে না পায়। সে আজ কাঁদবে। মাথার উপরের
উথাল পাথাল করা জোছনায় সে আজ
একলা একলা জরির হাত ধরে কাঁদবে।মিসির আলি,
হিমু, রুপা, শুভ্র, জরি, মৃন্ময়ী, মাজেদা খালা,
ধানমণ্ডি থানার ওসি, আগামাসি লেনের
পা ভাঙ্গা কুকুরটা আজকে ওরা সবাই জোছনায়
ভিজবে। আজ তাদের শেষ জোছনা দর্শন। আজকের
পর তাদের আর কেউ খুজে পাবে না। আজকের পর
'কোথাও কেউ নেই!'
collected