বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরিকমিশনের ২০১০ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়র প্রথম বর্ষে আসন সংখ্যা ৩০,৭১১। ২ বছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা আর কতই বা বেড়েছে! সবমিলিয়ে এখন আসন সংখ্যা যদি ৪০ হাজারও হয়, তাইলেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কেবল জিপিএ ৫ প্রাপ্তরাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না কারণ জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬১ হাজার ১৬২ জন!! বাকিদের কথা আর কি বলব?
জিপিএ ৫ দেয়ার মানে এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো সাবজেক্টে ভর্তি হওয়ার আকাঙ্খা তৈরী হওয়া(এইটা তো দোষের কিছু না)। কিন্তু যেহেতু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট সর্বোচ্চ ৪০ হাজার, তাই ৬১ হাজার এ প্লাস পাওয়ার মানে হলো বাকি ২১ হাজার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হলে ভালো সাবজেক্টে পড়াশোনাই করতে পারবে না!!!
তাই বেশি জিপি এ ৫ = প্রাইভেট ভার্সিটির বেশি ব্যাবসা
আবার ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ গুলোতে আসন সংখ্যা ৩,৬৯,৮৫৪। গত দুই বছরে কত বেড়েছে? ৪ লাখও যদি হয় তাহলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোতে সব মিলিয়ে সিট সাড়ে ৪ লাখ আর এবার পাশ করেছে সর্বমোট ৭ লাখ ২১ হাজার ৯৭৯ জন। পাশ করা প্রায় অর্ধেক ছাত্র-ছাত্রী সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কোনটাতেই ভর্তি হতে পারবেনা!
বাকি প্রায় ৩লাখ শিক্ষার্থীকে হয় জমি বাড়ি বেচে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে(তারও আসন সংখ্যা দেড় লাখের বেশি না!) অথবা অর্থ কড়ি না থাকলে বা সিট সংকটে পড়ে উচ্চ শিক্ষাহীন হয়ে ভয়াবহ অসহায় জীবন যাপন করতে হবে!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২২