ভূমিকা/ভনিতাঃ
এই কুবতে সামুতে পোস্ট করা হয়েছিলো ১৪ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৪৬ উল্লেখ্য ইহা সামুতে আমার প্রথম পোস্ট ছিলো কিন্তু নির্দয় মডুগণ এমন একটা হৃদয় বিদারক কাব্য পোস্ট করা সত্যেও আমাকে দীর্ঘ ২ মাস সেইফ করেন নাই। আর নতুন ব্লগারদের পোস্ট যেহেতু প্রথম পাতায় আসেনা, সেহেতু এই কুবতে পড়ার সৌভাগ্যও (আসলে দূর্ভাগ্য ) কারো হয়নি। এখন সময় এসেছে, এখন আমার ব্লগ লেখার বয়স ১ বছর ৫ মাস +
এখন জাতির পোস্ট প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়
ইতিহাস ও পটভূমিঃ
কবি তাহার "অনলাইন মনোহরিণী"র বালুভাসা না পেয়ে যখন বিপর্যস্ত, ক্লান্ত-শ্রান্ত ও হতাশাগ্রস্থ; তখনই তিনি এই কোবতে প্রসব করেছিলেন। তাহার মনোহরিণী এই কোবতে পড়ে ফেবুতে লাইক ভি দিয়েছিলো, কিন্তু মন গলে নাই! এই নারী জাতি অতীব পাষাণ! আর প্যাচাল না পাইড়া আসেন কোবতে পড়ি :!>
যে তোরে ভালোই বাসেনা,
তারে তুই এত ভালো কেন বাসিস বল?
যে কখনো তোর হবেনা..
তারে তুই আপন করে কেনই বা চাস বল?
তোর ভালোবাসা-বাসি,
তোর একলা কাঁদা কাঁদি..
কবে বুক চিতিয়ে দুখ লুকিয়ে বিদায় দিবি বল?
তুই এখন বলিস গেছিস ভুলে
পরক্ষণেই কাঁদিস..!
তুই স্বপ্নগুলো হত্যা করে
আবার স্বপ্ন আঁকিস...
তোর হৃদয় জুড়ে খরা
তোর স্বপ্নরা অধরা..
তবু দেখলে তাকে কেন বুকে নামে খুশির ঢল?
তুই এখনও তো একলা জেগে
চন্দ্রকাব্য লিখিস !
আবার অন্ধকারেও স্মৃতির নোনা
জলে ডুবে থাকিস...
তুই তারই শোকে কাতর
যার হৃদয়খানাই পাথর..
তুই কোন আশাতে বুক ভাসাতে ফেলিস চোখের জল?
তুই সব ভুলে যা সব মুছে ফেল
স্মৃতির পাতা থেকে..
কী-ই বা হবে তার জন্য
কবিতা গান লিখে?
তুই আজও নবীন পাখি
তোর জীবন অনেক বাকী
ওরে সঙ্গীহারা ঘুরে দাঁড়া মুছে চোখের জল...
বিঃদ্রঃ কবি তখন কম বয়সী ছিলো, আবেগী ছিলো তাই হয়তো কিঞ্চিত পাগলামী ও অবুঝ টাইপ কিছু তাহার চিত্তে সর্বদা খোঁচা মারিতো। কবি এখন অনেক ম্যাচিউরড। আলতু ফালতু ইমোশন তাহার মধ্যে কাজ করেনা। কবি এখন নীরব! তবুও যখন ফ্রী থাকে, তাহাকে মাঝে মাঝে ফিল করে!