somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রমাদানে আমাদের যা অর্জন করতেই হবে

১৮ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৩য় পর্ব
কিভাবে শুরু করব বুঝতে পারতেছিনা এই গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টা। কেন এই বরকতময় মাসটা আমাদের কাছে একটা পরীক্ষা এবং কত নাম্বার পেলে এপ্লাস অথবা ফেইল করলে কি হবে সেই টা নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। আমার মাথার মধ্যে শুধু একটা জিনিসই ঘোরতে থাকে, আমাকে যেইভাবে হোক পাস করতে হবে। কারন ফেইল করলে এর পরিণতি হবে করুণ এবং ভয়াবহ। আবার যদি পাস করতে পারি তাহলে একবারেই এ প্লাস। মাঝখানে কিছু নেই। এ প্লাস অথবা লাড্ডু।

রমাদান নিয়ে আল্লাহ কোরআনে আয়াত নাযিল করেছেন এবং এই প্রসংগে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর অনেক অনেক হাদীস আছে। কিন্তু এর মধ্যে যে হাদীসটা আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে আবার একই সাথে আমার মধ্যে অনেক ভয়ের সঞ্চার করে সেই প্রিয় হাদীসটা লিখলাম

"কাব ইবনে উজরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সঃ) একবার মিম্বারে উঠতেছিলেন, প্রথম ধাপ উঠার পরে উনি বললেন আমিন, দ্বিতীয় ধাপ উঠার পরে উনি আবারো বললেন আমিন। তৃতীয় ধাপ উঠার পরে উনি আবার বললেন আমিন। রাসুলুল্লাহ(সঃ) মিন্বার থেকে নামার পর সাহাবীরা জিজ্ঞাস করল " হে রাসুলুল্লাহ (সঃ), আমরা আপনাকে আজকে এমন কিছু বলতে শুনেছি যেইটা আগে কখনো শুনি নাই।
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বললেন, আমি যখন মিম্বারে উঠ্তেছিলাম তখন আমার কাছে জিবরাঈল(আঃ) আমাকে বলল "ধ্বংস হোক সেই সমস্ত লোক যারা রমাদান মাস পেয়েছে কিন্তু নিজেদের গুনাহ ক্ষমা করাইতে পারে নাই। " ( সংক্ষেপিত)

জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিশাপ দিল আর রাসুলুল্লাহ (সঃ) সেখানে আমিন বলল। সহজ কথা, আমরা রমাদান মাস পেলাম কিন্তু আমাদের সব ধরনের গুনাহ ক্ষমা করাইতে পারলাম না, এর রেজাল্ট হচ্ছে আল্লাহর অভিশাপ আমাদের উপর। আল্লাহ ইচ্ছা করলে যে কোন মুহুর্তে তার বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দিতে পারেন কিন্তু রমাদানের চেয়ে উত্তম আর কোন সময় হতে পারে না। যারা রমাদান মাস পাওয়ার পরে ও গুনাহ ক্ষমা করাইতে পারে নাই তাদের উপর আল্লাহ এবং তার রাসুল (সঃ) এর অভিশাপ। আল্লাহ এবং তার রাসুল (সঃ) এর অভিশাপ নিয়ে কি আমাদের জীবন চলতে পারে?
দিন, রাত, সপ্তাহ, মাস বছর সবই আল্লাহর সৃষ্টি। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু সময় আল্লাহর কাছে প্রিয় এবং আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য আলাদা করে রেখেছেন। তেমনি একটা মাস হচ্ছে রমাদান মাস যেই মাসের এবাদাতের প্রতিদানের ব্যাপারে আল্লাহ কোন হিসাব নিকাশ করেন না। সেই রকম একটা মাস আমরা পাওয়ার পরেও য্দি আমরা আমাদের গুনাহ ক্ষমা করাইতে না পারি তাহলে আমার মনে হয় আমরা খুবই দুর্ভাগা।

আমরা যেমন যে কোন পরীক্ষা দিয়েই অধিকাংশ সময় বুঝতে পারি আমাদের পরীক্ষা কেমন হয়েছে অথবা কোন গ্রেড পাব, এইখানে ও ঠিক রমাদান শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমরা বুঝতে পারব আমাদের রেজাল্ট কি। ঈদের দিন আমাদের জন্য অনেক অনেক আনন্দের দিন। কিন্তু ঈদের দিন সকালে আমরা আমাদের পরীক্ষার রেজাল্ট অবশ্যই পেয়ে যাব। কেউ যদি সত্যি সত্যি চেষ্টা করে রেজাল্ট জানার জন্য তাহলে সে অবশ্যই জানবে। আমরা অবশ্যই বুঝতে পারব আমাদের গুনাহ ক্ষমা হয়েছে কি হই নাই।
তাই রমাদান মাসে আমাদের সর্ব প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্ব্পুর্ণ লক্ষ্য হল আমাদের জীবনের সব গুনাহ মুছে ফেলা। এইটা করতে পারলেই এ প্লাস। পুরা পরীক্ষার খাতায় আর কিছু লিখ্তে পারি আর না পারি অন্তত একটা বাক্য আমরা অবিরাম লিখে যাব সেইটা হল " আল্লাহ, তুমি আমাদের জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা করে দাও"।

আরও সুন্দর ভাষায় যদি এই কথাটা আমরা আল্লাহের কাছে বলতে চাই তাহলে নিচের দুয়াটা মুখস্ত করতে পারি।

রাসুলুল্লাহ (সঃ), যার সমস্ত গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন, তিনিইরমাদান মাসের আল্লাহর কাছে সব্চেয়ে বেশি দুয়া করতেন গুনাহ ক্ষমার জন্য। দুয়াটা হল

للْهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
Allahumma innaka `afuwwun, tuhibbul `afwa, fa`fu `annee

O Allah, You are forgiving, and You love to forgive, so forgive me

কত কিছুই তো জীবনে মুখস্ত করলাম, বাংলা ব্যকরণের প্রকৃতি - প্রত্যয় থেকে শুরু করে বাংলা গান, হিন্দি গান, কত কিছু, যেইগুলো এখন জীবনে কোন প্রয়োজনেই আসতেছেনা ১০ মিনিট সময় ব্যয় করে আমরা নিশ্চয় এই দুয়াটা মুখস্ত করতে পারি। এই দুয়াটা বার বার আল্লাহর কাছে বলতে পারি যেন আল্লাহ আমাদের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেন। আমরা সবাই সবার জন্য দোয়া করি যাতে ইনশাল্লাহ আমরা সবায় এপ্লাস পাই
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×