somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তাগা বেশী টাইট দিলে ছিঁড়ে যায় ...

১৮ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের দিনে বাচ্চাদের কোমরে কালো সুতা বেঁধে দেওয়া হতো। সেইটা একটা বিশেষ কৌশলে বাঁধা হতো। খুব টাইট করা হতো না যাতে ছিড়ে যায় - খুব লুজও করা হতো না - যাতে নীচ নেমে হারিয়ে যায়।

বাংলাদেশের খবর দেখি আর ভাবি - হয়তো এখন আর তাঁগার প্রচলন নাই। না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন মহাত্যাগ ( সন্মিলিত পদত্যাগের নাটক) করার মতো কর্মসূচী ঘোষনার আগে একটু ধৈর্য্য ধরতেন। উনার একই বিষয়ে আগে ধর্মঘট করেছেন। কিন্তু মিডিয়ার এটেনশনান পাননি তেমন একটা। এবার মিডিয়ার পুরো স্পটলাইট উনাদের উপর। যেখানে শিক্ষমন্ত্রী বিশিষ্টজনদের সাথ বৈঠক করে একটা সমাধানের আশ্বাস দিলেন - ঠিক তার ৪০ মিনিটের মধ্যেই উনারা মহাত্যাগের ঘোষনা দিলেন।

অবাক হয়ে দেখি - সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন - তাদের আন্দোলনের মুল লক্ষ্য আভ্যন্তরীন ক্ষমতা। কোথাও দেখলাম না শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে একটা হল বানানো বা শিক্ষার বরাদ্ধ বাড়ানো বা গবেষনার জন্যে অর্থ বরাদ্ধ চেয়ে আন্দোলন হচ্ছে। কারন উনাদের এগুলো দরকার নেই। ডে- জব হিসাবে পাবলিক ভার্সিটির চাকুরী - আর সেই পরিচয় দিয়ে প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোতে খেপ মারা - এছাড়া কনসালটেনসী আর নিজেদের ব্যাবসা বানিজ্য নিয়ে উনারা ভালই আছেন।

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের ধরন দেখে পরিবহন শ্রমিক সমিতি আর শিক্ষক সমিতির মাঝে কোন পার্থক্য করতে পারছিনা। একজন শিক্ষক বলছেন - উনার অধীনে কাজ করা সম্ভব নয় - তাই উনাকে পদত্যাগ করতেই হবে। ভাল কথা। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক - উনিও সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং উভয়েই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও। কি হলো যে আপনি আপনার একজন সিনিওর কলিগের সাথে বসতেও অপারগ। ইগো জিনিসটা খুবই ধ্বংসাত্বক।

শিক্ষকদের গনপদত্যাগের কর্মসূচী ঘোষনা যে একটা অতিবিপ্লবী কাজ হয়েছে তা উনারা এখন বুঝতে পারছেন। তাই নানান ভাবে তার ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

গ্রামে একটা প্রবাদ চালু আছে - ঘুটে পুড়ে আর গোবর হাসে। এক সময় আজকের প্রোভিসি ভিসি তৎকালীন ভিসি শাহজাহান স্যারের পদত্যাগের সময় হেসেছিলেন - এখন অনেকেই হাসার জন্যে প্রস্তৃতি নিচ্ছেন। উনাদের অতিবিনয়ের সাথে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই - যে ক্ষত তৈরী হয়েছে তা আর বাড়তে দিয়েন না। এক সময় হয়তো ক্ষত শুকিয়ে যাবে - কিন্তু দাগটা থেকেই যাবে। সেই দাগ দেখে অনেকেই আফসোস করবেন।

শুরুতে যে কথাটা বলেছিলাম- তাগা বেশী টাইট দিলে ছিঁড়ে যায় - আন্দোলনের ক্ষেত্রেও তাই - খুব বেশী কঠিন কর্মসূচী দিলে হয়তো সেইটা আপনাদের জন্যেই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে। ধৈর্য্য ধরে আগান - নজরুল ইসলাম স্যারের সময় শেষ - কিন্তু যাবার আগে যেন আরো বড় ক্ষত না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখুন। আজকের যারা ছাত্র - এরা একসময় শিক্ষক হবে এবং হাবিবুর রহমানের পরিনতি দেখে আশা করি কিছুটা আঁচ করতে পারি - সেই ক্ষতের দাগগুলো কত কঠিন হয়ে মূর্ত হয়ে জ্যান্ত কৌতুক হয়ে উঠবে অনেকের জন্যেই।
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×