somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নগ্ন ছবি পোস্ট

১৬ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মামা আমি তো আর তোদের মতো বুঝি না, আর আধুনিকও না। আমি সব দিক দিয়ে একজন ক্ষুদ্র ও নিরর্থক কিছিমের মানুষ। আমার বুঝ গুলো কথাও স্থান পায় না এতে কষ্টও পাই না। তবে যাদেরকে খুব ভালবাসি তাদের প্রতি কিছু চাওয়া তো থাকতেই পারে; তুই যদি এটাকে অন্যায় মনে করিস, তাও তোকে দোষ দিব না, বা বি-মুখ করব না মামা; সেটাও স্বীকার করে নিব। যেহেতু আমার বোধশক্তি অনেকের চেয়ে কম সেহেতু আমার ভাবনাগুলো সঠিক না’ও হতে পারে; আর সঠিক না হলেও বলবি। ‘‘বন্ধু’’ 2 অক্ষরের এই শব্দটি যে মারাক্ত ভাল আমার কাছে ; তোকে হয়তো বা বুঝিয়ে বলতে পারবো না ; আমার ‘‘মা’’ যে আমাকে ধারণ করেছে; একদিন তার হাঁটুতে মাথা রেখে অনেক কেদেঁছিলাম ।মা বারবার জিজ্ঞাসা করেছিল কালাম তোর কি হয়েছে? মামা আমি সেদিন আমার ‘‘মা’’কে কিছু বলতে পারিনি ।কিন্তু ওই কথা আমার বন্ধুকে ঠিকেই বলেছিলাম । কেন কথা গুলো বন্ধুকে বলতে পারলাম? আমার মা বিশ্বস্ত কিন্তু বন্ধু না । আর আমার বন্ধু বিশ্বস্ত ও বন্ধু । তাই আমি বিশ্বাস করি আমার বন্ধু আমার আত্মসম্মানে কখনো আঘাত করবে না । আমি মদ্যপান করলে ও সবার সামনে গোপন রাখবে । অন্যদের মতো প্রকাশে বলবে না কালাম মাতাল । আমি যদি না বুঝে প্রকাশ করে ফেলেছি তবে আমার বন্ধু আমাকে মন্দ বলেছে, সেটাও গোপনে ।
আর সেই বন্ধু যদি আমাকে মদের বোতল দেখিয়ে লোভ দেখায় (যেহেতু আমার মদের নেশা আছে) এবং পানও করলাম না, তবু বন্ধুটি সবার কাছে প্রকাশ করল কালামকে মদ দিয়েছি, ওর সাথে আমার ওই ধরনের সর্ম্পক, ওকে আমি মদ দিতে পারি ! যে সবার সামনে আমাকে ছোট করার জন্য এরকম কাজ করে, তাকে কি আমি বন্ধু কিংবা বিশ্বাস করতে পারি । তারপরও আমরা তাদেরকে বন্ধু বানাই কেন রে? কষ্ট পাওয়ার জন্য আর সভ্যতার কাছে ছোট হওয়ার জন্য । মামা অনেক কষ্ট, অনেক ত্যাগ ও অনেক মানুষের জীবন উৎসর্গের মাধ্যমে হাজার হাজার বছরের অপেক্ষার পর এই সভ্যতা এসেছে । যদি ওই সব মানুষ সভ্যতা দান না করত । তা হলে তো আমরা ন্যংটা থাকতাম , পশুদের মতো ।এক সমাবেশে বলেছিল সান্দ্র তুই ছোট তুই চুপ থাক; তখন রাগ হয়েই বলেছিলাম আমি কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিংবা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক না, আমি হলাম সভ্যতার শিক্ষক । আমরা সভ্য হওয়ার জন্য কি না করি মামা । সক্রেটিস হেমলক পান করে মারা গেছ, ব্রুনো আগুনে পুড়ে মরেছ, চে সাপ ঘোড়ার মাংস খেয়েছে তারপর গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা গেছে, বাংলাদেশর এক নারী আছে যার য়ৌনঅঙ্গ দিয়ে গরম ডিম প্রবেশ করানো হয়েছে । বিক্রমপুরের একজনকে মৌলবাদিরা ‘দা’ দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তবু মরার আগেও এই সভ্যতাকে সভ্য করার জন্য কথা বলেছে, কেন রে মামা? এই সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখার জন্যই তো এতকিছু । আর যদি আমি দেখি আমার একজন প্রিয় মানুষ এমন একজনের সাথে বন্ধু করেছে (‘‘পর্নগ্রাফি’’ সে সভ্য কিনা আমার সন্ধেহ হয় ) তখন এই নিরর্থক মানুষটার কেমন লাগতে পারে ? মামা একটু বলবি কি? আমি তোকে আঘাত করছি না মামা, আমি বুঝি তোর তো দোষ না। আমি প্রচন্ড অসহায় হয়ে এরকম কথা বলছি, আমি তোকে প্রভাবিত করতে চাইছি না, তোর চাওয়া পাওযার মূল্য আছে । তোর ওই ধরণের বন্ধু থাকতে পারে এটা তোর অন্যায় না । তোর ব্যাক্তি স্বাধীনতা আছে এটা আমার মনে আছে ভীষণ ভাবে ।

তোকে আমি এতটুক বলবো যদি আমার অন্যায় হয় ক্ষমা করে দিস : পর্নগ্রাফি কখনো শিল্প হতে পারে না। সেক্স ফ্রি’র অর্থ বেশ্যাপনা না । তোর কেমন বন্ধু Saleh Mridha? তোর মতে যদি ভাল বন্ধু হয় তবে কোন কথা নাই, আর যদি ভাল বন্ধু না হয় তবে বন্ধ করে দিস । আমি যতটুক বুঝেছি 10 জনের সামনে ও তোকে সম্মান দেইনি, তোকে নারী হিসেবে দেখেছে মানুষ হিসেবে না । আমার বুঝটা ভূল হতে পারে এটা আগেও বলেছি ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×