কিশোরী মায়ের বড্ড কষ্ট সেসময়। তিন দিনের যন্ত্রনা দায়ক ব্যথায় তিনি ছটফট করছেন। ডাক্তার বললেন ধৈর্য ধরতে , তিনি ম্লান মুখে ডাক্তারের দিকে চান। আর পরোয়ারদিগারের কাছে প্রার্থনা করেন হে দয়াময় আমি যদি চিরদিনের জন্য চলেও যাই,যাবার আগে আমি আমার সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারি।
শরীফের বাবার তখন প্রচন্ড দূর্দিন। নামে মাত্র একটা চাকরী করেন। প্রথম সন্তান দুনিয়ায় আসছে কোন মতে তার সংসার চলছে তবু ও তিনি সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শরীফের দাদা নামাজের বিছানায় আল্লাহর দরবারে সেজদারত। তরুন বাবার তখন কিছুটা লজ্জা কিছুটা ভয় আর অর্থাভাবে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে না পারার লজ্জায় আক্রান্ত।সব কষ্ট আর দোয়ার ফসল হিসাবে শরীফের আগমন ধরনীর বুকে।
পরবর্তী জীবনে নানান ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে শরীফের বড় হয়ে উঠা। ছোট্ট এই জীবনে দারুন ভয়ঙ্কর সব রোগের সাথে তাকে লড়তে হয়েছে প্রতিনিয়ত। তবু সে বেঁচে আছে এবং ভালোভাবেই আছে। চিকিৎসকদের কাছে ধারে থাকতে থাকতে এই পেশাকে ভালোবেসে ফেলে। প্রেমে পড়ে যায় এই পেশার। এখন তার জল্পনা কল্পনা সব এই পেশাকে ঘিরে।
জীবনের ২৬ বরষা পরে শরীফ আজ বড় ভালো আছে।জীবন তার মঙ্গলময় হাত দিয়ে শরীফকে স্পর্শ করেছে। শরীফের পিতাও বাদ যাননি সে আভিজাত্য ছোয়া থেকে।
সত্যি শরীফের আজ কোন দুঃখ নেই। একজনকে না পাবার আক্ষেপ তো বুকে ধারন করেই আছে। এই না পাওয়া তাকে নতুন করে জাগ্রত করেছে। মাঝে মাঝে শরীফ আকাশের দিকে চায় আর মহামহিমের কাছে বলে
আমারে তুমি অশেষ করেছ এমন লিলে তব
ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ জীবনে নব নব।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩৫