এনি-জয়ের দশ বছরের বিবাহিত জীবন। ইতিমধ্যে ওদের কোল আলো করে এসেছে ফুটফুটে আতিফা। জয় ব্যস্ত চাকুরীজীবি আর এনি নিপাট গৃহিণী। ব্যস্ততা আর ঘরকন্ন্যা মিলিয়ে বেশ কেটে যাচ্ছিল দিন। কিন্তু ইদানিং কেন যেন দু’জনের সম্পর্কের মধ্যে একটা টানাপোড়েন, একটা ব্যবধান নিজেরাই টের পাচ্ছে ওরা। জয় অফিশিয়াল কাজের চাপ বেড়েছে। দায়িত্ব এড়ানো যায়না বলেই ওকে বেশি সময় ধরে এখন বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। এনি বোঝে সেটা। কিন্তু এ নিয়ে এনি যদি কখনো জয়কে জিজ্ঞেসও করে, সদুত্তর পায়না। বরং উল্টো প্রশ্ন- তুমি কি আমাকে সন্দেহ কর? না, এনি সন্দেহ করে না মোটেও। শুধু জানতে চায়, ভাগাভাগি বা শেয়ার করতে চায় নিজেদের কথা। কেননা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা কমে গেছে আগের চেয়ে। সময়ের অভাবে দুদন্ড একসাথে বসাও হচ্ছেনা অনেক দিন। যদিও সংসারে এসেছে সচ্ছলতা, পাশাপাশি এসেছে সন্দেহ, কলুষতা, গোপনীয়তা। এহেন সুসম্পর্কের মধ্যে হঠাৎ করে সন্দেহ ঢুকে গেলে সম্পর্কে কালো ছায়া নেমে আসে।
*** দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে পারস্পরিক বিশ্বাস বজায় রাখা উচিৎ।
*** স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোপনীয়তা রাখা উচিৎ নয়। পরস্পর পরস্পরকে বুঝতে হবে; বোঝার সময় দিতে হবে, সুযোগ দিতে হবে।
যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়েই চাকুরিজিবী হন তাহলেতো এটি আরও বেশি জরুরী। কেননা সময়ের সাথে সাথে কাজের পরিধি বাড়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেসব তো আর আত্মিক সম্পর্কগুলোকে ছাপিয়ে বড় নয়। বন্ধুর মতো যদি সব কিছু শেয়ার করা যায় তাহলে আর সম্পর্কেও ফাটল ধরবার আশঙ্কা থাকে না। সন্দেহ আর অবিশ্বাসেরও জন্ম হয়না।
অনেকেই আছেন কাজের চাপে ঘরে সময় দিতে পারেন না। মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপে মেজাজও হয়ে পড়ে অতিবিরক্ত। এক্ষেত্রে আমরা যদি ঘরের মানুষটির কাছে প্রতিদিনকার ঘটে যাওয়া ঘটনা শেয়ার করি তাহলে যেমন চাপটাও একটু হালকা হয়, তেমনি সন্দেহেরও কোন অবকাশ থাকেনা।
যেকোন সম্পর্কের মধ্যেই একবার যদি সন্দেহ প্রবেশ করতে পারে তাহলে সেটি ক্ষতিকর ভাইরাসের মতো সবকিছু তছনছ করে দিতে পারে। এই সম্পর্ক হতে পারে স্বামী-স্ত্রীর, ভাইয়ে-ভাইয়ে কিংবা প্রতিবেশীর মধ্যেও।
>> তাই প্রথমেই মন থেকে সন্দেহ ঝেটিয়ে বিদায় করুন।
>> কোন কিছুর সঠিক কারণটি না জেনে অযথা সন্দেহ করবেন না।
>> প্রথমে বিষয়টি জানুন, বুঝুন।
>> ছোট-বড় সমস্যাকে দু’জনে ভাগাভাগি করে সমাধান করুন।
>> লুকিয়ে নয় বরং কোন একটি সমস্যা এলে সেটিকে নিয়ে খোলাখোলি আলোচনা করুন।
আলোচিত ব্লগ
টুইস্টেড মাইন্ড অফ আ সিরিয়াল কিলারঃ কবি কালিদাস স্পেশাল
সিরিয়াল কিলারদের নিয়ে আমার আগ্রহ শুরু হয় এই ব্লগেরই একজন অসাধারন ব্লগার ''ডক্টর এক্স'' এর লেখা পড়তে যেয়ে। বাংলা ভাষায় সাইকোলজির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেলফ হেল্প ধরনের অসাধারন কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফিলিস্তিনে কী শান্তি সম্ভব!
এক.
প্রতিদিন ঘুমানোর আগে আলজাজিরা দেখি৷ গাজার যুদ্ধ দেখি৷ রক্ত দেখি৷ লাল লাল৷ ছোপ ছোপ৷ সদ্য জন্মানো শিশুর৷ নারীর৷ কিশোর কিশোরীর৷ বৃদ্ধের৷ সারি সারি লাশ৷ সাদা কাফনে মোড়ানো৷ ভবনে চাপা পড়া৷... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রাকৃতিক দূর্যোগে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?
আমার জীবনে আমি সরাসরি প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভেতরে পড়েছি বলে আমার মনে পড়ে না । ২০১৯ সালের ঘটনা। ঘূর্ণিঝড়ের নাম সেবার ছিল সম্ভবত বুলবুল ! সেটা যখন আসছিল তখন আমি ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
উপকূলের ভাই-বোনদের প্রতি গভীর সমবেদনা
আমরা ঢাকার পাকা দালানে বসে যখন আয়েস করে চায়ে চুমুক দিয়ে বৃষ্টি বিলাসে বিভোর, ঠিক সেই সময় আমাদের উপকূেলের ভাই-বোনেরা হয়তো কেউ স্বজন, কেউ ঘর, কেউ ফসল, কেউবা গবাদী... ...বাকিটুকু পড়ুন
আজকের ব্লগার ভাবনা: অশ্লীলতা কি পোশাক দিয়ে নির্ধারণ করা উচিৎ নাকি মানসিকতা ও চরিত্র দিয়ে?
ছবিটি -ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
কহিনুরের, ফ্লোরা ওরিয়েন্টাল বিউটি সোপ।১৯৭৮ সালের বিজ্ঞাপন। ছবিটি ফেসবুকে পেয়েছি। ব্লগার সোনাগাজী, ব্লগার কামাল ১৮ সহ যারা মুরুব্বি ব্লগার রয়েছেন তারা হয়তো এই বিজ্ঞাপনটি... ...বাকিটুকু পড়ুন