somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন সত্যসন্ধানী ব্লগার পিং পং এর উরাধুরা ১৮+ গবেষনা!! মডুদের অযত্নে একদিন গলা পর্যন্ত ছাগল হবে সামু তে :(

১২ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি ব্লগার না। আমি প্রবাসী শ্রমিক। প্রতি ৪৮ ঘণ্টায় ২৬ ঘণ্টা কাজ করি। আমার ঈদ , কোরবান , শুক্রবার , নববর্ষ, পুরানবর্ষ কিছুই নেই। ৩ মাসে ও একবার ব্লগে আসি কিনা সন্দেহ। বিদেশ জীবনের একাকীত্বের বিরতি দিতেই ফেসবুকে একটা আইডি খুলেছিলাম। ধীরে ধীরে অনেকগুলো ভালো মানুষের সাথে পরিচিত হয়ে এখন আমি ফেসবুকেই বন্ধী।

ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল দেশের জন্য দেশের মানুষদের জন্য কিছু করার। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে সেই ইচ্ছেগুলো গড়াগড়ি খাচ্ছে বাতাসে। দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য কষ্টবোধ খুব বেশি পীড়া দেয়। সেই কষ্টকে কিছুটা লাগব করতে ফেসবুকের পেজ গুলোতে পোস্ট দেই। জানি কোন লাভ নেই। কিন্তু ভালো লাগে। অলস সময় গুলো কেটে যায়। সাধারনত প্রবাসীরা অবসর কাটায় তাশ খেলে, অথবা টিভি দেখে। তাশ খেলা আমি পারিনা। টিভি চালানো ও ভুলে যাচ্ছি।
----------------------------------------------------
এবার আসি আসল কথায়। সম্প্রতি পিং পং নিকধারী এক সত্যসন্ধানী ব্লগার উনার দীর্ঘদিনের পরিশ্রম ও গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করছে সামুতে। এটি অত্যন্ত মহান একটি উদ্যোগ। স্বাগত জানানোর মত। অনেকে ইচ্ছে করলেও এমন কাজ করতে পারেনা।

কিন্তু সত্যসন্ধানের নামে মিথ্যা প্রচারনার সৎসাহস উনি কোথায় পেলেন! সেটি জানতে চেয়েই এই পোস্ট টা লিখলাম। উনি উনার ব্লগে সত্যের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে মিথ্যাচারে লিপ্ত।

উনি উনার ব্লগে অনেক নির্দোষ ব্যাক্তির নাম তুলে ধরেছেন। যেটি হতে পারে উনার ব্যক্তিগত শত্রুতার জের।

উনি উনার সপ্তম পোস্টে ফেসবুকে অশ্লীলতা বিস্তারকারী কিছু পেজ ও এডমিনদের পরিচয় (সপ্তম পর্ব) আমার ফেসবুক আইডির নিক নাম ব্যাবহার করে আমার কিছু পেজের লিংক শেয়ার করেছেন।

পেজ [১]
পেজের বর্ণনা - “পুলিশ জনগনের বন্ধু” পুলিশ বাহিনীর জন্ম হয় এই বানীটির বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য নিয়ে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়া ও নৈতিকতার চরম অবক্ষয়ে পুলিশ এখন জনগনের শত্রুতে পরিণত হয়েছে...


•|• বাংলাদেশ ফেসবুক পুলিশ •|•
এটি মূলত একটি ফান পেজ। তবে এই পেজে আপনি পাবেন দেশবিদেশের পুলিশ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ও ছবি। দেশীও পুলিশের সমস্যা ও সম্ভাবনা ইত্যাদি। মজার একটি পেজ।

পেজ [২] টাংকি মারতেও যোগ্যতা লাগে ( Tanki martew joggota lage )

পেজ বর্ণনা - টাংকি শব্দটার অভিধানিক অর্থ হল ট্যাঙ্ক। যেমন গাজী ট্যাঙ্ক, মদীনা ট্যাঙ্ক। এই টাংকি নিয়ে আমাদের দেশের নাম না জানা শিল্পীরা গান ও গেয়ে ফেলেছেন। টাংকি আমার ছেঁদা হইয়া গেলো পানি থাকেনা :p।
আজকাল এই টাংকি ব্যাবহার হয় ছেলে কতৃক মেয়ে, মেয়ে কতৃক ছেলেকে পটানোর চেষ্টায় যে ভাবভঙ্গী করা হয়। অবশ্য ছেলেরা টাংকি বেশি মারে। অনেক সময় এই টাংকি মারার পরিমাণ বেশি হয়ে ইভটিজিং এ পরিণত হয়। আমরা কিন্তু ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে। এই পেজটি হল নিতান্তই মজা করার জন্য। সেই সাথে এই পেজে আরো পাবেন ইভটিজিং এর বিভিন্ন খবরাখবর। এই টাংকি মারতেও কিন্তু যোগ্যতা লাগে।


পেজ [৩] ••‘‘গল্প ,জোকস, এবং কবিতা”∫fαcєвook vєяsίon∫••

এই পেজের কোন বর্ণনা উল্লেখ করা নেই।

পেজ [৪] Amra BD Team ar pagla supporter

এটি একটি ক্রিকেট সম্পর্কিত পেজ।
-----------------------------
উপরে উল্লেখিত পেজগুলোতে অশ্লীলতার কি দেখেছেন? সেটা জানতে চাচ্ছি মিঃ পিং পং এর কাছে।
-----------------------------------------

অবশ্য উপরের পেজ গুলো খুব একটা কাজের না। আমার প্রধান পেজ হৃদয়ে চট্টগ্রাম
পেজের বর্ণনা ও উদ্দেশ্য - হৃদয়ে চট্টগ্রাম তোমার আমার। চট্টগ্রামের সন্তান আমরা, এটাই আমাদের অহংকার।

- চট্টগ্রামের সকল ফেসবুক ব্যবহারকারী বন্ধুদের একটি নেটওয়ার্কে নিয়ে আসা...

বিস্তারিত জানতে চাইলে কষ্ট করে "হৃদয়ে চট্টগ্রাম" পেজটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
-------------------------
প্রশ্ন- আপনি অত পেজ দিয়ে কি করেন?
উত্তর- বাজারে যে কোন নতুন পন্য আসলে সেগুলোকে জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন হয়। যেহেতু হৃদয়ে চট্টগ্রাম পেজটি ফেসবুক নির্ভর। সেহেতু অন্য সকল পেজ দিয়ে ফেসবুকের বিভিন্ন এডমিন দের সাথে প্রমোট একচেঞ্জ করে ফেসবুকের আনাচে কানাচে থাকা মানুষদের সামনে চট্টগ্রাম কে তুলে ধরা হয়।

প্রশ্ন- ফেসবুকে কি সত্যি ফ্যান বেচা কেনা হয়?
উত্তর- হ্যাঁ, হয়। আমি নিজেও প্রথম প্রথম 'হৃদয়ে চট্টগ্রাম' পেজটির জন্য ফ্যান কিনেছিলাম। ফ্যান কেনার অর্থ হল কোন এডমিন কে টাকা দিয়ে তার বড় পেজ থেকে ছোট পেজের বিজ্ঞাপন দেয়া।

প্রশ্ন- আপনি যদি ধোঁয়া তুলসী হন। তাহলে ফেসবুকের অশ্লীল পেজ গুলোর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন নি কেন?
উত্তর- ব্যাপার টা কে অত সহজভাবে দেখছিনা। কারন সস্তার ভক্ত সব সময় বেশি থাকে। সস্তার পেছনে পড়ে থাকে লম্বা লাইন। এভাবে ব্লগিং করে কখনোই অশ্লীলতা থামানো যাবে বলে আমার মনে হয় না। উল্টো আরো অশ্লীলতাকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। যেমন ধরুন এতদিন অনেকেই জানত না ফেসবুকের কাণ্ডকারখানা। এখন জানিয়ে দেয়া হল সবাইকে।

প্রশ্ন- ফেসবুক কে কিভাবে অশ্লীলতা মুক্ত করা যাবে?
উত্তর- এটি একটি মহামারী। ইচ্ছে করলে ও ইন্টারনেট জগতকে অশ্লীলতা মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে হয়না। তবে অনেক গুলো কম্পিউটার ব্যাবহারকারীর যৌথ উদ্দ্যেগে যদি ফেসবুকের অশ্লিল পেজ গুলোর বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা যায়, তাহলে কিছুটা হলেও প্রতিকার পাওয়া সম্ভব বলে মনে হয়।


---------------------
হয়ত অনেকের অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকবে। আমার সাধ্যমত কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছি। আরো কেউ কিছু জানতে চাইলে কমেন্টে লিখতে পারেন।
-------------------


অবশেষে সামুর মোডারেটরদের কাছে অনুরোধ থাকবে এই ধরনের পোস্ট গুলো ব্লগে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে। যেহেতু এখানে বেশিরভাগ মানুষই বেনামে আসে। যাদের একটি নিক অথবা অনেকগুলো নিক থাকে। যে নিকগুলো দিয়েই উনারা উনাদের ইচ্ছে মত ব্লগিং করেন।

----------
মিঃ পিং পং কে বলছি।

আমিঃ- মাহিদুল ইসলাম নকীব।
পিতাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম।
জন্মতারিখঃ ১৭-০৭-১৯৮৮



আপনার কি এমন কোন পরিচয় আছে? থাকলে নিজের পরিচয় নিয়েই ব্লগিং করুন। এম্নে একটা পিং পং মার্কা আইডি নিয়ে ব্লগে ব্লগে নিজের হতবুদ্ধি ছড়িয়ে দিয়ে ব্লগ গুলোকে অপবিত্র করা থেকে বিরত থাকুন...


সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৫৮
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×