অবশেষে দুনিয়া খ্যাত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইস বুকের মালিক জোকারবার্গ রাজি হলেন আরেকটি শারিরিক যোগাযোগের মাধ্যম পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থ যোগান দিতে।তিনি এই টাকা সম্পূর্ণ মুক্ত হস্তে দান করবেন বলে জানিয়েছেন। আপনারা যারা এখনো এই খবরটি জানেননি তারা এখুনি নজর দিন "আন্ধা" টিভির মনিটরে।
খবরে বলা হয় গত কয়দিনে পদ্মা সেতু নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখছিলেন এই জোকারবার্গ। সব দেখে শুনে অবশেষে তিনি এতে অর্থ দিতে সম্মতি জানালেন।
এ ক্ষেত্রে তার সুবিধা গুলো হলো :
* তিনি সামাজিক যোগাযোগের বস্ । তাই তিনি এবার মানুষের শারিরিক যোগাযোগেরও বস্ হতে চান।
* পদ্মা সেতু হলে এই সেতুর উপর দাড়িয়ে, বসে, শুয়ে ,ঘুমিয়ে, নেচে নেচে তুলা কোটি কোটি ছবি আপলোড হবে তার ফেইস বুকে।আর এতে করে বাড়বে ফেইসবুকের জনপ্রিয়তা সেই সাথে নতুন নতুন এ্যাকাউন্ট , গ্রুপ, পেইজ।
* এই সেতুর উপর টানানো হবে ফেইস বুকের এ্যাডের বড় বড় বিলবোর্ড।
* সর্বোপরি তিনি শেখ হাসিনার সরকারে ইজ্জত বাঁচাতে পারবেন ।
কিন্তু তিনি যেহেতু টাকাটা মুক্ত হস্তে দিবেন তাই তার কিছু শর্ত আছে এতে :
১। শেখ হাসিনাকে ফেইস বুকে এ্যাকাউন্ট খুলতে হবে । ( সেদিন হাসিনা তার ইমেইল আর ফোন নাম্বারে সাথে ফেইস বুক আইডি না দেওয়াই তিনি কস্ট পেয়েছেন)
২। পদ্মা সেতুর নাম হবে "ফেইস-বাংলা হাবুল সেতু" ( হাসিনার "হা" আর আবুলের "বুল" )
৩। পদ্মা সেতুতে যাত্রীদের কোন টোল দিতে হবে শুধু ফেইসবুক আইডি চেক করা হবে।
৪। এর নির্মাণ কাজ দিতে হবে তার শশুর বাড়ির মানে চীনা কোম্পানিকে।
৫। আবুল হোসেন কে টানা ৪ বছর সেতুর এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে রোজ সকালে ঝাড়ু দিতে হবে। ( ঝাড়ু দানে কোন ডিজিটাল পদ্ধতি মানে মেশিন গাড়ি ব্যবহার করা যাবেনা, সনাতন পদ্ধতিতে করতে হবে )
৬। উনার সর্বশেষ শর্ত হলো উনাকে বাংলাদেশের হয় যোগাযোগ মন্ত্রি না হয় বিদ্যুত ও জ্বালানি মন্ত্রি(কুইক রেন্টাল) অথবা শেয়ার বাজারে দায়িত্ব দিতে হবে ৪০ বছরের জন্য ।
এবার দেখি বলেন কার কি অভিমত। কে কোন কোন শর্তে রাজী।