মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন থেকে এ পর্যন্ত ২১৭ জন কর্মী চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এর মধ্যে নারীকর্মী রয়েছেন ৪১ জন, আর তাদের তিনজন অন্তঃসত্ত্বা।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা কাজী মনিরুল কবির এসব কথা স্বীকার করেছেন।
মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা অবস্থায় ডেকে এনে যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তা মানবিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা (ছাঁটাই) প্রক্রিয়ার অংশ। আমাদের (গ্রামীণফোন) সময়মতো ডাকা হয়নি। তাদের সুবিধা মতোই ডাকা হয়েছে।’
এদিন তিনি চাকরিচ্যুত অনেককেই আগামী নোটিশ না দেওয়ার কথাও স্বীকার করে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় ছিল না। তাই অনেককে নোটিশ দিতে পারিনি। তবে এজন্য তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘যতজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটি কোম্পানির পুনগর্ঠন প্রক্রিয়ার একটি অংশ।’
এদিকে, কাজী মনিরুল কবির গত রোববার বাংলানিউজের কাছে ১২০ জনকে ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছিলেন।
আর এদিন তিনি জানান, প্রথম দফায় ৭১ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় বাকিদের। প্রথম দফায় নারী ছিলেন ১৪ জন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন গ্রামীণফোনের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন তাহামিদ আজিজুল হক।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩