somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন অহনার জীবন কাহিনী (আমার লেখা দ্বিতীয় জীবন কাহিনি)

০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

01.

অহনা দেখতে যথেষ্ট রূপবতী। বড় বড় চোখে সে যখন কারো দিকে তাকায় তখন মনে হয় অনেক না বলা কথা তার ভিতরে জমে আছে। শুধুমাত্র ক্লাসের ফাস্টগার্ল বলে কোনো ছেলে তার সামনে দাঁড়াতে সাহস পায়না। যদিও সবাই কিনা ভাবে সে খুব মেধাবী। বরং তাকে অভাবী ছাত্রী বলা উচিত। অহনা ঠিক করে আজ বাসায় গিয়ে তার মায়ের কাছে একটা আবদার করবে। এই পৃথিবীতে একমাত্র মা’য়ের কাছেই সে সব খুলে বলতে পারে। সামনে টেস্ট পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। একটা ভালো স্যারের বাসায় পরতে যাওয়া তার খুবই দরকার। বাসার সামনে এসেই সে শুনতে পায় তার মা- বাবার ঝগড়া। ছোটবেলা থেকেই এসব দেখে সে অভ্যস্ত। এসব দেখে প্রথম দিকে তার খুব কষ্ট হতো। তাই সে চুপ করে বই নিয়ে বসে থাকতো। যখন তার খুব ক্ষুধা লাগতো তখন সে মায়ের কাছে দৌড়ে গিয়ে বলতো, “মাগো কিছু খেতে দাও না”। তার মা তখন খুব আদরের গলায় বলতো, “শোন, মনোযোগ দিয়ে পরতে বস। পড়ায় মন থাকলে আবার ক্ষুধা লাগে কিভাবে!” সরল বিশ্বাসে সে তার মায়ের কথা মেনে নিয়ে পড়তে বসে। কিন্তু, সে পড়বে কি, তার তো ঠাট দুটো খুলে সামান্য আওয়াজ বের করার মতোও শক্তি থাকে না গায়ে। তখন সে চুপ করে তাকিয়ে থাকতো বইয়ের দিকে। এভাবে একসময় তার মনে হতো বইয়ের প্রতিটি অক্ষর থেকে আওয়াজ বের হচ্ছে। সে স্পট শুনতে পেতো। যখনই কোথাও বুঝতে পারত না- সে একটানা তাকিয়ে থাকতো বইয়ের দিকে। তখন বইয়ের শব্দগুলো বিভিন্ন রকমের ছবি হয়ে ভেসে বেড়াতো। এভাবে ক্ষুধার সাথে সংগ্রামে সে ঠিকই সবসময় জয়ী হতো।





02



ছোট এক রুমের এই বাসাটাতে রাত ১০.০০টার পরে বাতি জ্বালানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের চেয়ে অর্থ সাশ্রয়-ই এর পিছনের মূল কারণ। তবুও আজ রাত ১২.০০টার পরেও সেই ঘরে ১০০ ওয়াটের হলুদ বাল্বটি আলো ছড়াচ্ছে। সেই আলোতে একটি মেয়ে বই খুলে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কাল তাকে যে

করেই হোক ক্লাস টেস্টে সর্বোচ্চ নম্বর পেতে হবে। কিন্তু, পদার্থবিজ্ঞান তার কাছে একটু কঠিনই মনে হয়। আর সবার মতো সে তো আর স্যারের বাসায় প্রাইভেট পড়তে পারে না। তার বাবা সানাউল সাহেব তাকে বলেছে, “যারা প্রাইভেট পড়ে তাদের মেধার বিকাশ ঘটে না”। তাই, মেয়েটি ঘরে বসেই প্রতিনিয়ত তার মেধার চর্চা করে যাচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে একটা কঠিন সমস্যার সমাধান করার পরে তার মুখটি আনন্দে ভরে উঠে। তার জীবনের সমস্ত ভালোবাসা, সুখ, দুঃখের সাথী তার বই। হঠাৎ তার মা পাশে এসে বসে, “কিরে তোর পড়াশুনা ভালোভাবে হচ্ছে তো?” তখন অহনা বলে, “মা সামনে টেস্ট পরীক্ষা, প্রাইভেট পরতে যাওয়া খুব দরকার”। মেয়ের কথা শুনে মায়ের চেহারায় চিন্তার সুস্পষ্ট ছাপ পড়ে। তবু ও

মেয়ের মাথায় আলতো করে হাত রেখে বলে, “তুই কাল থেকে পড়তে যাস, আমি কিছু একটা ব্যবস্থা করবো”।

এভাবেই সময় কাটতে থাকে অহনার। টেস্ট পরীক্ষা প্রচণ্ড পরিশ্রম করে সে। পাশাপাশি প্রাইভেটে পড়তে যাবার সুবাদে রেজাল্ট নিয়ে তার মনে আর কোনো ভয় থাকে না। কিছুক্ষণের মধ্যেই রেজাল্ট নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দেয়া হবে। ক্লাসের সবার মাঝেই চাপা উত্তেজনা কাজ করছিল। এমন সময় হেডস্যার ক্লাসে আসেন- রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি বিষয়ে A+ পেয়ে টেস্ট পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে অহনা। একথা শুনার সাথে সাথে খুশিতে তার মন ভরে উঠে। ক্লাসের সবাই তাকে বাহবা দিতে থাকে। সে ঠিক করে আজ বাসায় গিয়ে মাকে বলবে, তাকে লাল রঙের একটা জামা কিনে দিতে। লাল রঙটা যে তার ভীষণ প্রিয়।





03.



স্কুল থেকে অহনা স্যারের বাসায় যায়। আজ পড়া শেষ হলে স্যার তাকে বসতে বলে। সবাই চলে গেলে স্যার তাকে বলে, “কি ব্যাপার অহনা! মাস তো শেষ হয়ে গেছে সেই কবে? আমার টাকা এখনও পাইনি কেনো? অহনা বলে, “স্যার আমি পরেরদিনই আপনার টাকা নিয়ে আসবো”। “সে কথা তো কবে থেকেই বলছো। যাও আজকে তোমাকে ছেড়ে দিলাম। কাল যেভাবেই হোক আমার টাকা দিয়ে দিবে। না হলে অন্য কিছু দিয়ে শোধ করেত পারো”–বলে স্যার কিভাবে যেন তার দিকে তাকায়। অহনার গলা শুকিয়ে যায়। সে কোনমতে সোজা উঠে চলে আসে। বাসায় এসে শুনে তার বাবা আজ অফিস থেকে আসার সময় বাসের সাথে এক্সিডেন্ট করেছে। সে ওখান থেকে সোজা মেডিক্যালে চলে যায়। তার বাবার অফিসের কিছু লোক

এক্সিডেন্টের পরে তার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিয়ে যায়।তার মা বারান্দার এককোণে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল। কিছুক্ষণ পড়ে ডাক্তার এসে দেখে বলে তার বাবার পা কেটে ফলতে হবে।কিন্তু তাদের কাছে তো কোন টাকা নাই। মাকে বাবার পাশে রেখে অহনা দ্রুত বেরিয়ে পড়ে টাকার ব্যবস্থা করার জন্য। আত্নীয়- স্বজন বলতে তাদের তেমন কেউ নাই।অহনা তার বাবার অফিসের স্যারের সাথে কথা বলে কিছু টাকা পাবার নিশ্চয়তা পায়। কিন্তু বাকি টাকা যোগাড় করবে কিভাবে? সে শুনেছে, সোমার নাকি অনেক বড়লোক। সে সব খুলে বলে সোমাকে। সোমা বলে, “চিন্তা করিস না। আমার এক আঙ্কেল এক N.G.O. তে কাজ করে। সেখান থেকে তোকে আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।অহনা এরপর দিন সোমার আঙ্কেলের সাথে দেখা করে। সবকিছু শুনে সেই লোক বলল, “তুমি তো এস.এস.সি. পাস করার আগে আমাদের এখান থেকে কোনো সহযোগিতা পাবে না। তবে তোমার কথা শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছে। আম ব্যক্তিগতভাবে তোমাকে সাহায্য করতে চাই, যদি তোমার কোনো আপত্তি না থাকে”। সোমা সাথে সাথে বলে, “আঙ্কেল আমার কোন আপত্তি নাই।আপনিআমাদের এই বিপদে সাহায্য করতে চান এটাই তো বড় কথা”।“ঠিক আছে তুমি কাল এই ঠিকানায় একবার এসো”।“কখন আসবো আঙ্কেল?”“আমার তো অফিস থেকে ফিরতে বিকাল হবে তুমি না হয় সন্ধ্যার দিকে আসো, দেখি তোমার জন্য কি করতে পারি”। কিছুটা নিশ্চয়তা পেয়ে অহনা হাসপাতালে ফিরে আসে।





04.

এরপর দিন সন্ধ্যায় সে কথামতো সোমার আঙ্কেলের বাসায় যায়। দারোয়ান তাকে ড্রয়িং রুমে বসিয়ে দিয়ে যায়। বাড়িটা একদম ফাঁকা। কিছুক্ষণ পরে, সোমার আঙ্কেল এসে বলল , “আরে তুমি এখানে বসে আছো কেনো! যদিও টাকাটা আমিই দিচ্ছি তাও কিছু কাগজপত্রে তোমার সিগনেচার লাগবে। তুমি ভিতরের রুমে আসো”।লোকটি প্রায় জোর করে তাকে ভিতরে নিয়ে যায়। “তুমি বিছানায় বোস। আমি টাকাটা নিয়ে আসছি”। বলে লোকটি রুম থেকে বেরিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পরে এসে সোজা দরজা আটকে দেয়। অহনা সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যায়, “আঙ্কেল আমাকে যেতে হবে”।“কি যে বলো? মাত্রতো আসলে, কাজটা শেষ করে টাকাটা নিয়ে চলে যেও।আমি তো আর সারাজীবন আটকে রাখবো না তোমাকে”। “মানে? আঙ্কেল আপনি কি বলছেন এইসব?......”

সেই রাতে অহনার আর ফিরে আসা হয় না। কারো ক্ষুধা মেটানোর জন্য সারারাত তাকে বন্দি থাকতে হয়। সকালে লোকটি তার হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলে, “আরো লাগলে এসো, টাকা নিয়ে যেও”- বলে লোকটি হাসতে থাকে। অহনা আস্তে আস্তে হেঁটে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরে তার মা জিজ্ঞাসা করে, “সারারাত কই ছিলি রে মা?” অহনা কিছু বলে না , চুপ করে থাকে। হঠাৎ তার প্রচণ্ড বমি পায়।

এর আগের দিন কিছুই পেটে পড়েনি, কিইবা আর বের হবে। তারপরও সে অনেকক্ষণ ধরে বমি করার চেষ্টা করে- ভিতরের সব নোংরা- যন্ত্রণা বের করে দিতে চায়। দু’চোখ বেয়ে পানি নেমে যায়, কিন্তু কান্নার আওয়াজ শোনা যায় না- ঠোঁট দু'টো খুলে সামান্য আওয়াজ বের করার মতো শক্তিও যে তার শরীরে আর অবশিষ্ট নেই।





05.



সানাউল সাহেবের চিকিৎসার টাকা অফিস থেকে শেষপর্যন্ত পুরোটাই দেয়। কিন্তু তিনি আর কোনোদিন চাকুরী করতে পারবেন না। পঙ্গু বাবা আর অসহায় মাকে নিয়ে কিভাবে সংসার চালাবে- অহনা বসে বসে চিন্তা করতে থাকে। যেভাবেই হোক একটা রাস্তা তাকে বের করতেই হবে। টেস্ট পরীক্ষা শেষ, এখন আর তার ক্লাস নেই। শুধু পরীক্ষার সময় গিয়ে পরীক্ষা দিলেই হবে। এর পাশাপাশি যদি সে ২- ৩ টা টিউশনি যোগার করে নিতে পারে তাহলে আর তাদের না খেয়ে মরতে হবে না। লোকমান স্যার একদিন তাকে বাসায় দেখা করতে বলে। সে স্যারের বাসায় গিয়ে তার বাবার দুর্ঘটনার কথা সব খুলে বলে। কিন্তু, স্যার কিছুতেই শুনে না। “দেখো, টাকা না দিতে পারলে কিভাবে আদায় করে নিতে হয় তা আমার জানা আছে”। এ কথা বলে স্যার আস্তে করে উঠে দরজা আটকে দেয়। অহনা চুপ করে তাকিয়ে থাকে। তার ভিতরে আজ আর কোনো ভয় নেই, আতঙ্কও নেই। সে যেনো একটা মুর্তি- নিশ্চুপ হয়ে তাকিয় থাকে সে। স্যার তাকে টান দিয়ে চেয়ার থেকে তুলে নেয়। তার ওড়না খুলে মেঝেতে ফেলে দেয়, তারপর নিচের দিকে যখন নজর দেয় তখন অহনা স্পট দেখতে পায়- স্যারের মুখটি। সে হঠাৎ এক টানে স্যারের গলা প্রচণ্ড শক্তিতে দাঁত দিয়ে কামরে মাত্র ১০- ১২ সেকেন্ডের ব্যবধানে সবকিছু আমূল পরিবর্তন হয়ে যায়। অহনার গায়ে এখন লাল রঙের জামা- তার পছন্দের প্রিয় রঙ। সে আজ লাল জামা পড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে।





প্রথম প্রকাশ :- ( আমার ফেইসবুক একাউন্টে ০৬-১১-২০১১ তারিখ)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:১২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×