somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কি ঘটেছিল সেদিন ফটিকছড়িতে প্রকৃত সত্য জানুন............

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এই লেখা গুলো কোন মিড়িয়াতে আসেনাই, যথেষ্ট তথ্যপ্রমান সাপেক্ষে এই লেখা সাজানো হয়েছে।
-----------------------------------------------------
১১ই এপ্রিল ২০১৩ সেদিন ছিল শিবিরের ডাকা দেশব্যাপি হরতাল, আওয়ামিলীগ কর্মীরা বের হয়েছিল তাদের শক্তি প্রর্দশনের জন্য। নেতৃত্ব দিয়েছিল এটিএম পেয়ারুল ইসলাম নামের গত এমপি নির্বচনে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর কাছে হরে য়াওয়া প্রাথী। তার সাথে ছিল ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী গ্রুপ তায়্যুব বাহিনী, যার মাললার সংখ্য ৩৫টি, আর এই সন্ত্রাসী বাহিণীর কাছে ছিল অত্যধুনিক সমরাস্ত্র। তাদের পাহারায় ছিল স্থানিয় পুলিশ বাহিনী। তাদের সাথে ছিল ২০০ টি মোটর সাইকেল, ৫ টি মিনি ট্রাক, ৩ টি মাইক্রোবাস, ২ টি কার। এলাকার লোকের কাছে জানাযায় তাদের সংখ্য ছিল ৬০০ থেকে ৭০০ আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী। তারা এসেছিল বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে ৯ কিলোমিটার দুর থেকে ফটিকছড়ির ভুজপুর নামক গ্রামে মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেওয়ার জন্যে। উল্লেখ্য তারা এর ২দিন আগে হেফাজতে ইসলামের হরতালে তাদের এলাকায় হরতাল বিরুধী মিছিলে ফটিকছডির বিভিন্ন মাদ্রাসা ঘুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
প্রথমেই ভুজপুর বাজারে নেমে এক বৃদ্ধের দাড়ি নিয়ে টানা টানি শুরু করে এবং তাকে রাজাকার বলে গালাগালি শুরু করে।স্লোগানের মাঝে তারা এক ভয়ংকর স্লোগান দেয়, মৌলানা শফির গা…/জুতা মা..(নাউযুবিল্লাহ) এই স্লোগন শুনার পর মাদ্রসার ভিতরে অবস্থান করা কিছু বাচ্ছা ছেলে নিজেদের কে আর স্থীর রাখতে পারে নাই। তারা নারায়েতকবীর…/ নাস্তিকদের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে স্লোগান ধরে। এর পর আওয়ামী সন্ত্রাসী গুলো মাদ্রসা লক্ষ্য করে ইটা নিক্ষেপ করে, কয়েটা মাদ্রাসার ছাত্রকে মারধর করতে থাকে। এর মধ্যে বাজারে ছড়িয়ে যায় মাদ্রসার ছেলেদের মরধর করতেছে সন্ত্রাসীরা, পরিস্তিতি মুহুর্তের মধ্যেই গোলাটে হয়ে যায়, সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রসীদের প্রতিরোধ শুরু করে। এরই মধ্যে একজনে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে সন্ত্রাসী প্রতিরোধ করার আহবান জানায়, চারদিক থেকে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। ভুজপুর বাজারের পড়েযায় ১৭টি লাশ। অনেকেই পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যার্থ হয় সারা গ্রাম দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে পিটাত থাকে, অর্ধশত আওয়ামী সন্ত্রাসী কে হত্যা করে ৩০০ সন্ত্রাসীকে আহত করে। পুলিশ ব্যর্থ হয়ে বিড়িয়ার কল করলে নেতা টাইপের কিছু সন্ত্রাসী জানে বেছে যায়। তাদের বহনকারী ২০০ মোটর সাইকেল ও অন্য সব গাড়ী গুলো জনতা জ্বালিয়ে দেয়, সাথে আগুন নিভাতে আসা ফায়ার ব্রিগেটের একটি গাড়িও জ্বালিয়ে দেয়।
ফটিকছড়ি থানা থেকে এটাকে পৃথক করা হয়েছে। তাদের পক্ষে লক্ষাধিক মানুষ সামাল দেয়া সম্ভব ছিল না। তাদের সাথে যোগ দিল ফটিকছড়ি থানার ২৫-৩০জন পুলিশ। না, তারা্ও ব্যার্থ। পাবলিক তাদের হালকা পাতলা মাইর দিয়ে ভাগায়। পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল হতাহত মানুষগুলোরে চিকিত্সা দিতে, কিন্তু জনগণ নাছোড় বান্দা, তাদের জীবিত ছাড়তে রাজি নন। অবশেষে বিজিবি আসলে তাদের পরিস্থিতি কিছুটা শীতল হয়। ততক্ষণে পাবলিক তার কাম বুঝায় দিছে, বাকি রইলোনা মাইর খাওয়ার মত কেও।

প্রশাসনের ব্যর্থতা ডাকতে লাশ গুম করা হল। সংঘর্ষের তিনদিন পরও লাশ মিলে খালে বিলে ডোবায়। গণপিটুনীতে অংশগ্রহণকারীদের কারো কারো মতে মৃতের সংখ্যা ১০০ এরও অধিক। তাছাড়া এই সংবাদ প্রচার হলে সারা দেশে ছাত্রলীগের মনোবল ঠিক রাখা যাবে না । ছাত্রলীগ নেতা -কর্মীরা পালিয়ে যাবে, যা আগামী নির্বাচনের জন্য হুমকি হয়ে যাবে। তাই মাইর খেয়েও চিৎকার করতে পারছে না আবার সহ্যও করতে পারছে না।

সন্ত্রাসী হত্যা = ৫০+
সন্ত্রাসী আহত = ৩০০+
মোটর সাইকেল জ্বালীয়ে দেওয়া = ২০০+
কার, মাইক্রো, মিনি ট্রাক জ্বালীয়ে দেওয়া = ১০+
ফায়ার ব্রিগেটের গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া = ১

এত লাতি খাওয়ার পরও আওয়ামী লীগ কিছুই করতে পারবেনা, কারন দেশে ১০% লোকও আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেনা, ফটিকছড়ির মতো যেখানেই গুন্ডামি করবে, সেখানেই গণ ধোলাই খেয়ে প্রাণ হারাবে..........
সুএ : Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৬
২৬টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×