somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের (অপরাধের) বিচার নাকি! মুসলিম বিরোধী!(নাউযুবিল্লাহ) এই চরম জঘণ্য-মিথ্যা অপপ্রচারে লীপ্ত রয়েছে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের দেশী-বিদেশি বন্ধুরা(চেলা-চামুন্ডারা)।বিশেষ করে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেদেশে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে, এমনকি ফেসবুকের মতো সামাজিক গণমাধ্যমসহ এবং একাধিক ভাষার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উপরোক্ত অপপ্রচারসহ নিত্য নতুন ষড়যন্ত্র জোরদার করেছে মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী, জামাইত্যা-রাজাকার গং ওতাদের দোষররা........একটু কস্ট করে পড়ুন এবং আসুন আমরা সকলে মিলে মহাযুদ্ধাপরাধী, জামাইত্যা-রাজাকার গংদের বিরুদ্ধে আমার-আপনার মনের সমস্ত ঘৃণা(মন্তব্যের) মাধ্যমে..............-প্রকাশ করি..............

০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে 'মুসলিমবিরোধী', 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ' ও 'অযৌক্তিক' প্রমাণ করতে তৎপরতা চালাচ্ছে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিদেশি বন্ধুরা। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পত্রিকায় নিবন্ধ লিখে এ বিচার সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি এ কাজে তারা ব্যবহার করছে ফেসবুকের মতো সামাজিক গণমাধ্যম এবং একাধিক ভাষার ওয়েবসাইটও। সৌদি আরবের এক সাবেক কূটনীতিক গত বুধবার সৌদি আরবের একটি পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় এক নিবন্ধে জামায়াত নেতা গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগকে 'অবিশ্বাস্য' আখ্যা দিয়ে তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

জেদ্দা থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সৌদি গেজেটে সম্পাদকীয় পাতায় অভিমত কলামে লেখাটি ছাপা হয়েছে। 'লেটার টু শেখ হাসিনা' (শেখ হাসিনাকে চিঠি) শিরোনামে এটি লিখেছেন সাবেক সৌদি কূটনীতিক ড. আলী আলগামদি।
ড. আলী আলগামদি বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসে দায়িত্ব পালনের সময় ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন বলে সৌদি গেজেটের অন্য প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
নিবন্ধে আলী আলগামদি দাবি করেন, শেখ হাসিনা তাঁর বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের 'বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত' বাতিল করে যুদ্ধাপরাধের ইস্যুটি আবার সামনে আনায় সবাই বিস্মিত হয়েছে। তিনি আরো দাবি করেন, শেখ হাসিনার আগের মেয়াদে এবং তাঁর বাবার মেয়াদে যেসব 'মুসলিম নেতা' গ্রেপ্তার হননি, তাঁদের গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত কোনোভাবে ন্যায়সংগত হতে পারে না। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'ওই সিদ্ধান্ত দেশের জন্য ভালো কিছু আনতে পারে না। এটি জনগণকে বিভক্ত করবে এবং দুর্ভোগ বাড়াবে। এর প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশের নেতা হিসেবে আপনার (শেখ হাসিনা) ওপরও পড়বে।'

বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণকে ভালোবাসেন বলে দাবি করে ড. আলী আলগামদি বলেন, গোলাম আযমের মতো 'মুসলিম নেতাদের' গ্রেপ্তার করায় 'গোটা মুসলিম বিশ্ব হতাশ।' তিনি এ-ও দাবি করেন, ৪০ বছর আগের ঘটনার জন্য গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

লেখাটিতে অনেক তথ্যগত ভুল রয়েছে। আলী আলগামদি লিখেছেন, 'যুদ্ধাপরাধ' আইনসহ বেশ কিছু আইন করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। 'যুদ্ধাপরাধ' আইনের বলে নাকি ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেওয়া হয়েছিল! পরে ওই ১৯৫ পাকিস্তানিকে ক্ষমা করে দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান নাকি মুসলিম বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। আলী আলগামদি বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগীদের বিচারের জন্য আইন পাস করার পর এক লাখেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তিদের কেউই নাকি রাজনীতিক ছিলেন না!

বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে আগেও সৌদি সংবাদমাধ্যমে লিখেছেন ড. আলী আলগামদি। গত ৯ মে সৌদি গেজেটে তিনি গোলাম আযমকে গ্রেপ্তারের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

জানা গেছে, এ বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে নানারকম অপপ্রচার চলছে। 'জামায়াত নেতাদের মুক্তি আন্দোলন- রাজনৈতিক এই নিপীড়ন মানবতাবিরোধী', 'ফ্রি জামায়াত লিডারস' নামে ওয়েবসাইট খুলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া গোলাম আযম ডট নেট নামে আরেকটি ওয়েবসাইট রয়েছে, যাতে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় তথ্য প্রচার করা হয়।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাংলাদেশি কূটনীতিক বলেন, অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় অনেক সময় যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি আসে। একটি মহল বিদেশিদের এ বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে নেতিবাচক ধারণা দিচ্ছে। এটি উদ্বেগের। সৌদি গেজেটে ড. আলী আলগামদির লেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সৌদি আরব বিদেশে আমাদের প্রধান শ্রমবাজার। সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে এমন প্রচারণায় বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। ওই লেখায় এমন ধারণা দেওয়া হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রীই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিচ্ছেন। এটা যে আদালত ও আইনের আওতায় হচ্ছে, তা প্রচারের সুযোগ রয়েছে।'

ওই কূটনীতিক বলেন, 'যুদ্ধাপরাধের বিচার স্পর্শকাতর হলেও আসলে কী হচ্ছে তার কিছুটা হলেও যদি বিদেশিদের জানার সুযোগ থাকে, তাহলে উদ্বেগ বা অপপ্রচার অনেকটাই কমবে।'

পাঠকের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে নীচে ৯ই মে সৌদি গেজেটে প্রকাশিত ড. আলী আলগামদির লেখার অনুবাদটি প্রকাশ করা হলো

সৌদি গেজেটে প্রশ্ন : ৪০ বছর পরে গোলাম আযমকে গ্রেফতার কেন?
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের প্রতি যে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য হিসেবে অভিহিত করেছে প্রভাবশালী সৌদি গেজেট। ৪০ বছর পর গোলাম আযমকে গ্রেফতার কেন?- প্রশ্নটি করে পত্রিকাটিতে আজ বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গোলাম আযম তার ধার্মিকতা, ন্যায়নিষ্ঠতা, সততা ও বিশ্বস্ততার জন্য ইসলামি বিশ্ব শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। অথচ তার বিরুদ্ধে এখন ৪০ বছর আগের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা শুধু বিস্ময়কর বিষয়ই নয়, এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়ও। ৯০ বছর বয়স্ক এবং ১০ বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনীতি থেকে অবসরগ্রহণকারী ব্যক্তিটিকে কারাগারের নিঃসঙ্গ সেলে আটক রাখার কোনো যুক্তি আছে কি?
প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন ৪০ বছর পরে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দসহ গোলাম আযমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং পশ্চিমা দেশগুলোর বিপুলসংখ্যক প্রখ্যাত আইনজীবী নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।
সৌদি গেজেটে বলা হয়, গোলাম আযম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ১৯৯৩ সালে বিএনপি’র আমলে তিনি ১৬ মাস আটক ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট তাকে মুক্তি দেয়ার আকোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’
এখন ৪০ বছর পরে আবার বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। অথচ আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো সরকারের আমলেই কোনো অভিযোগ ওঠেনি। এমনকি ১৯৯৬-২০০২ সালে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ আমলেও নয়। কারো বিরুদ্ধেই মানবতাবিরোধী কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। ফলে ৪০ বছর পরে গোলাম আযমের মতো একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিকে আটক রাখার কি যুক্তি থাকতে পারে?দেশে বলেন যে ‘স্বাধীনতার যুদ্ধকালে কথিত নৃশংসতার সাথে তার প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততারকোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’
কস্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং আসুন আমরা সকলে মিলে মহাযুদ্ধাপরাধী, জামাইত্যা-রাজাকার গংদের বিরুদ্ধে আমার-আপনার মনের সমস্ত ঘৃণা(মন্তব্যের) মাধ্যমে..............-প্রকাশ করি.........
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×