ধরলার জন্য এলিজি
তখন অন্ধকারেরা আরো ঘনিয়ে আসে।
রাত আঁধার হলে যেমন নিশাচরেরা বেরিয়ে আসে চরাচরে
ঘুণে ধরা পুরনো শব্দগুলো জাবর কাটে
স্মৃতির খোঁয়াড়ে বেঁধে রাখা অবাধ্য ষাঁড়টা;
তখন শেষ রাতের কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস হর্ণ বাজিয়ে দ্রুত
চলে যায় ধরলার বুক চিরে
খুব কাছাকাছি কোথাও একটা নিঃসঙ্গ ডাহুক
খুব ভয়ে
খুব নীরবে
ডানা ঝাপটায়।
হতাশ্বাস
যখন রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেম
লেকের ধারটা, মুক্ত মঞ্চটা, ছাদনাতলাটা মানুষে ঠাসা ছিল
এতো এতো মানুষের ভীড়ে আমি স্পর্শহীন
এতো টাট্কা নীল আকাশ তবু আমি স্বপ্নহীন
পুকুরটার ধারে বসে ছেলে-মেয়েগুলো
কাপলগুলো আঁধার নামাচ্ছিলো গোল্ডলীফ কিংবা
হেজেসের বেগুনী ধোঁওয়ায়
লম্বা চুলের চুড়ি পরা ছেলেগুলো
গিটার খোল আর খন্তালের শব্দে বিরহ ডেকে আনছিলো
সূর্যের বিদায়ে
বেদীটার পাশে যুগল কিংবা জোড়োয়ারা
স্বপ্ন বুনছিল ভালবাসার বিকল্প ধারায়
বেদখলপূর্ব পরিণতির পরবর্তী ধাপে এগিয়ে
তবু আমি গতিহীন শ্লথ
শুধু চীৎকার করেছিলাম অস্ফূট
আমি আসলে বাবুল পাগলার মত বেদনার অহঙ্কারে গলা ছেড়ে গাইতে চেয়েছি
গৃহত্যাগী সুরে- কোন বা দ্যাশে গেলা রে বন্ধু
আমি ভদ্রলোকী লেবাসে আক্রোশে আটকে পড়া অশরীরী অবয়ব
পাখিগুলো ডানা ঝাপটালো
সন্ধ্যার আঁধারেরা পালিয়ে গেলো
অনেক দিন আগের ম্রিয়মাণ স্মৃতিগুলো কপাট খোললো
তবু আমি শব্দহীন। স্বপ্নহীন।