খাগড়াছড়ির গুইমারায় কালবৈশাখী ঝড়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
Published : 07 May 2013, 11:38 AM
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলার লক্ষ্মীছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলাসহ গুইমারা থানার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায় । ঝড়ে কমপক্ষে ৩০ জন আহত ও তিন শতাধিক বাড়িঘর ও ৬টি দোকান বিধ্বস্ত হয়।
এ সময় ঘরচাপা পড়ে স্কুলছাত্র ইমরান হোসেন (১১) ঘটনাস্থলেই মারা যান। ইমরানের গ্রামের বাড়ি ফেনীতে। সে গুইমারার হাফছড়ি এলাকায় আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
গুরুতর আহতদের মধ্যে নাজিম (৫০) ও মুজিবুর রহমানকে (৩৫) সেনাবাহিনীর গুইমারা সিএমএইচ এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম, পৌর মেয়র রফিকুল আলম সহ সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন ।
রাস্তার উপর বড় বড় গাছ ও বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে পড়ায় খাগড়াছড়ি-পানছড়ি ও খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় সড়কে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে বোরো ফসল ও ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ তাৎক্ষণিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করতে পারেনি।
সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিম খাঁনসহ সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় আহতদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর গুইমারা সিএমএইচ এ ভর্তি করেন।
ঝড়-বৃষ্টির কারণে গত ৩ দিন ধরে খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎহীন রয়েছে।