somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টেক্সটাইল বার্তা-৪

৩০ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এবার পাটের বিকল্প ধনিচা থেকে আঁশ উদ্ভাবন করে সাড়া ফেললেন ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের চররামনগর গ্রামের বস্ত্রশিল্প প্রকৌশলী (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার) মশিউর রহমান স্বপন। তিনিই প্রথম সোনালি আঁশ পাটের বিকল্প ধনিচার আঁশ উদ্ভাবন করলেন। স্বপন নিজস্ব কারিগরি প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাটের মতো ধনিচা পানিতে জাগ দিয়ে আঁশ বের করে আনতে সক্ষম হন। তার দাবি, পাটের চেয়ে ধনিচার আঁশ শক্ত, মজবুত ও টেকসই। বিষয়টি সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশের বস্ত্রশিল্পে নবদিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্বপন জানান, চাষাবাদ থেকে শুরু করে উৎপাদন, ব্যবহার ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ধনিচার গুরুত্ব পাটের কাছাকাছি। বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, প্রায়োগিক দিক থেকে পাট ও ধনিচার গুরুত্ব প্রায় সমান। কিন্তু দেশের অর্থনীতিতে পাট প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও ধনিচার ব্যবহার নেই বললেই চলে। শুধু ব্যবহারগত জ্ঞানের অভাবে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়নি। ফলে বাংলাদেশ বঞ্চিত হচ্ছে অর্থনৈতিক সুবিধা থেকে। তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব আঁশ হিসেবে ন্যাচারাল ফাইবারের গুরুত্ব সারা বিশ্বে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতা তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে যে তন্তু বা আঁশ ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে টেক্সটাইল ফাইবার বলে। পাট, ধনিচা ও তুলা হলো ন্যাচারাল টেক্সটাইল ফাইবার। কিন্তু এখনো পাটের বিকল্প কোনো ফাইবার পাওয়া যায়নি। যদি পাটের বিকল্প হিসেবে ধনিচার আঁশ কাজে লাগানো যায়, তবে তা হবে দেশের বস্ত্রশিল্পে নতুন সংযোজন। স্বপনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধনিচার শিকড় থেকে শুরু করে বাকল, কাণ্ড, ডাল, পাতা ও বীজ সবকিছুরই অর্থনৈতিক ভিত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, শুধু ছাল বা বাকলের অংশ থেকে আঁশ বের করার প্রক্রিয়া না জানার কারণে এতদিন ধনিচার প্রকৃত ব্যবহার হয়নি। ধনিচার আঁশ বের করার পদ্ধতি পাটের মতোই। ধনিচায় বাড়তি বলতে, দুই দফায় কারিগরি পদ্ধতিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয়। এর বোটানিক্যাল সুবিধা হলো, এতে ছোট ছোট অসংখ্য গুটি হয়। তা থেকে প্রকৃতিগতভাবে প্রচুর নাইট্রোজেন সার পাওয়া যায়। এ ছাড়া জ্বালানি, বেড়া, খুঁটি, ঘরের রোয়া, সবজির মাচা ও পারটেক্স তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে ধনিচা। এর আঁশ অনেক পাতলা। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, ধনিচার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হলে তা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে বস্ত্রখাত সমৃদ্ধ হবে। আর এ জন্য সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার বিকল্প নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:০২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামীলীগে শুধুমাত্র একটি পদ আছে, উহা সভাপতি পদ!

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৪ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১


বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড়, পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী দল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই দলটির প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। মানুষ এই দলের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছে। ৭০ এর নির্বাচনে এই দলটিকে নিরঙ্কুশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমপি আনারের মৃত্যু এবং মানুষের উষ্মা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২৯


সম্প্রতি ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর আনোয়ারুল আজীম আনার নামে একজন বাংলাদেশি এমপি নিখোঁজ এবং পরবর্তীতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহের হাড়-মাংস আলাদা করে হাপিত্যেশ করে দেওয়া হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

দোয়া ও ক্রিকেট

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৪


দোয়া যদি আমরাই করি
তোমরা তাইলে করবা কি?
বোর্ডের চেয়ারম্যান, নির্বাচকের
দুইপায়েতে মাখাও ঘি।

খেলা হচ্ছে খেলার জায়গা
দোয়ায় যদি হইত কাম।
সৌদিআরব সব খেলাতে
জিতে দেখাইত তাদের নাম।

শাহাবুদ্দিন শুভ ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে “বাঘ” বলা বন্ধ করুন!!

লিখেছেন অন্তর্জাল পরিব্রাজক, ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:২১



দয়া করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে “বাঘ” বলা বন্ধ করুন!! X( এরা ছাগলের দলই ছিল, তাই আছে, তাই থাকবে :-B !! এরা যেমন ধারার খেলা খেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বকুল ফুল

লিখেছেন নীল মনি, ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৪

বকুল ফুলের মিষ্টি গন্ধে ভরে থাকে আমার এই ঘর। আমি মাটির ঘরে থাকি। এই ঘরের পেছন দিকটায় মা'য়ের হাতে লাগানো বকুল ফুলের গাছ৷ কী অদ্ভুত স্নিগ্ধতা এই ফুলকে ঘিরে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×