কে কত স্বৈরাচার, তা নিয়ে কোন বিতর্কে যাব না,
আমি নিজেই যে চরম স্বৈরাচার তা আমাকে মনে করিয়ে দেয়ার কোনই দরকার নেই,
আমি নিজেই জানি আমি কত বড় স্বৈরাচার।
নিজ নিজ প্রয়োজনে সবাই একদিন স্বৈরাচার হয়, স্বৈরাচারী হয়,
স্বৈরাচারের সাথে ঘর করে নিজেরি কাম, লোভ, ক্ষমতার মোহে-
তখন আমি ভুল করেও বলি না-সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে,
শুধু মনে মনে হাসব আমি নিজেই স্বৈরাচার।
আমি নিজেই ঘরের, দলের, বা দেশের একজনা,
আমি নিজেই বাড়ি করব গাড়ী হাঁকাবো কোন এক অবহেলের
বুকের উপর দিয়ে অন্য কারও যোগসাজসে !
আমাকে তোমরা স্বৈরাচার বল না, বলতে পারো না-
তুমিও কম স্বৈরাচার নও !
আমি রক্ত নিয়ে খেলি, তুমিও খেল,
আমি লুটপাট, ধর্ষণ আর দালালী করি,
তোমরাও কর নিজেদের জন্য,
তুমিও স্বৈরাচার, আমিও-
আমি আমাদের নিয়ে আমরাই নিজেদের মাঝে গালাগালি করি
স্বৈরাচার বলে -
আমি কষ্ট পাই, ব্যথা পাই....
কারণ আমরা একই পথের সহযাত্রী-
আমরা নিজেকে নিজেই এভাবে স্বৈরাচার বলতে পারি না !
জানি, ষোল কোটি মানুষ স্বৈরাচার নয়,
কেবল আমি আর আমরাই স্বৈরাচার ।