বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত নিপীড়িত। তাদের ঘরে প্রায় আগুল লাগিয়ে দেয়া হয়, তাদের জায়গা-মি কেড়ে নেয়া হয়। তাদেরকে সুষ্ঠুভাবে ও সুন্দরভাবে এবং স্বাধীনভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে দেয়া হয়না। কারণ কি? কারণ একটাই বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র নয়। এটা ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র। দেশের মধ্যে মুসলমানদের একচ্ছত্র আধিপত্য। তারা সর্বত্রই হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উপর নির্যাতন করে। সুযোগ পেলেই তাদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
যতদুর মনে পরে আমি বুঝতে শেখার পর থেকেই দেশের সর্বত্রই এধরণের অভিযোগ প্রায় শুনতে পাই। আমরা জানি একইগ্রামে বাসকরতে হলে গ্রামবাসী-প্রতিবেশির মধ্যে কিংবা কোন অফিসে কাজ করার সময় কলিগদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ-ঝগড়া হয়ে থাকে। কিন্তু সমস্যা দাড়ায় তখনই যখন এই দুপক্ষের মধ্যে একটি পক্ষ থাকে অন্যধর্মাবলম্বী বিশেষত হিন্দু। তখন ঘটে তার বিপত্তি। অভিযোগ ওঠে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। এ দেশে মুসলমানরা তাদের বাঁশ মারে। আর এতেই বিশেষ কিছু দালাল ও চাটুকার এবং সুযোগ সন্ধানী বুদ্ধিজীবীর (খ্যাত) গা জ্বলে ওঠে। তারা বিব্রিতি দিতে থাকে দেশ ধর্মনিরপেক্ষ নয়, সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। কিন্তু একই সময়ে যখন মুসলমানরা তাদের দ্বারা আক্রান্ত হয় , তখন নিজের দেশে তাদের হয়ে কথা বলার আর কেউ থাকে না।
বলা হয়ে থাকে এ দেশে তারা নাকি সুযোগ সুবিধা পায় না। (না পেলে তারা অন্য দেশে যায় না কেন? এই প্রশ্ন রইল)। কিন্তু দুঃখ হয় যখন দেখি আমাদের দেশের সরকার বিরোধী দল সভা সমাবেশ করলে যানজট হবে বা অন্য কোন ক্ষতি হবে জনগণের কষ্ট হবে বলে তাদের সভা সমাবেশকরতে দেয় না। একইসাথে বছরে কয়েকবার বিভিন্ন উছিলায় হিন্দুধর্মাবলম্বীরা রাশ টানাটানির নামে সার ঢাকা শহর জুড়ে শোভাযাত্রা বের করে আর সাধারণ জনগণ ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে। সুযোগ হয় না কোন রোগীর হাসপাতালে যাওয়ারও। কে যানে এ সময় কেউ সময়মত হাসপাতালে পৌছাতে না পারার কারণে তার জীবন প্রদীপ নিভে গেছে কিনা। প্রশ্ন হলো আমাদের পাশে দাদা বাবুদের দেশে কি সেখানকার সংখ্যালঘু মুসলমানরা এদেশের হিন্দুদের মত এত অধিকার ভোগ করে? তারপরেও কি বলা হবে এটা ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ নয়? এটা যদি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র না হয় তাহলে মায়ানমার ও দাদা বাবুর দেশ (ভারত) কি রাষ্ট্র?