somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন মুসলিম নেতার কাছ থেকে আশা আর আমাদের নেতাদের ভালবাসা (ভাল-বাসা)

২৯ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আসলেই একজন মুসলিম নেতার কাছ থেকেই আশা করা যায় এগুলো। সুবহানাল্লাহ!



# ডক্টর মুরসি বলেছেন তিনি তার বর্তমান বাসভবনেই থাকবেন এবং প্রেসিডেন্টের আলিশান বাসভবনে তিনি ও তার পরিবার উঠবেন না।

# প্রেসিডেন্ট মুরসি বলেছেন তার ছবি যেন সরকারী অফিস এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে লাগানো না হয়

# তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী ইউনিয়ন ও অর্গানাইজেশনগুলো যেন তার প্রেসিডেন্সি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থ এবং সময়ের অপচয় না করে।

# প্রতিদিন ফজরের নামাজ তিনি মসজিদে আদায় করছেন, নিজেই ইমামতি করছেন, যা ব্যাপক উৎসাহ যুগিয়েছে জনগনকে আরো কর্মোদ্যমী, সময়নিষ্ঠ ও পরিশ্রমী হওয়ার

# রিপাবলিকান গার্ডদের মুরসি জানিয়ে দিয়েছেন যে, পথে যাতায়াতের সময় যেন সাধারণ মানুষের পথরোধ করে তাদের কষ্ট দেয়া না হয়। তিনি আর একজন মিশরের জনগণ হিসেবেই চলাচল করতে চান।

# বিপ্লবে নিহত মানুষদের পরিবারকে ও জনগনকে তার দপ্তরে দেখা করতে যেন রক্ষীরা কখনো বাধা না দেয়।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ডক্টর মুরসির ভূমিকাও দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী! আল্লাহু আকবার!

# সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ মিশরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানালে তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা সিরিয়ার বাশার সরকারের কাছ থেকে কোন অভিনন্দন গ্রহণ করবো না কারণ এই সরকার সিরিয়ান মিলিটারির প্রতিনিধিত্ব করছে যারা অবিচারে সিরিয়ার হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করছে।

# মিশরে নিযুক্ত ইরানের রাস্ট্রদূতের সাথে ডক্টর মুরসি সাক্ষাত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে তাদের জানানো হয় যতদিন ইরান সিরিয়ার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি না বদলাবে, ততদিন মিশরের প্রেসিডেন্ট ইরানের সাথে তার এই অবস্থান পরিবর্তন করবেন না।

নির্বাচনে জয়লাভের পর সাধারণত একজন প্রেসিডেন্টের জীবন পাল্টে যায়। আলীশান রাজকীয় বাসভবনে থাকার ব্যবস্থা, অফিসে-আদালতে তার ছবি টাঙ্গানো, পথে যাতায়াতের সময় সমস্ত যানবাহন থামিয়ে প্রেসিডেন্টের গাড়ির বহর যায়, আগে যেসব মানুষ কাছাকাছি থাকতেন আর দেখা-সাক্ষাৎ করতেন তারাও প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করতে পারেন না গার্ডদের কড়াকড়িতে। আগের মানুষ আর প্রেসিডেন্ট মানুষ বদলে যায় অনেক বেশি। কিন্তু... না

মিশরের ইসলামিক রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক দল এফজেপি'র প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডক্টর মুহাম্মাদ মুরসি দ্বায়িত্ব গ্রহণের পরেই এইসবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন, তা আসলেই একজন মুসলিম নেতার কাছ থেকেই আশা করা যায়। সুবহানাল্লাহ!

এই নাদান বান্দা এখান হতে কপি পেস্ট মারিয়াছে :https://www.facebook.com/Quran.bangla

...
ফার্স্ট লেডি নয়, ‘আহমেদের মা’

পশ্চিমা কায়দায় ফার্স্ট লেডি হতে চান না মিসরে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির স্ত্রী নাগলা আলী মাহমুদ। মিসরীয় নারীর চিরচেনা ভাবমূর্তিই তাঁর পছন্দ। আজ শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাগলা বোরকা পরেন। পড়াশোনা তেমন হয়নি তাঁর। কলেজের গণ্ডিও পার হননি। পশ্চিমা কায়দায় মিসরের অনেক নারী নিজের নামের শেষে স্বামীর পদবি ধারণ করলেও তিনি তা করেননি। বরং ‘উম আহমেদ’ নামে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি। এর অর্থ ‘আহমেদের মা’। আহমেদ তাঁর বড় ছেলে।

৬০ বছর বয়সী মুরসি পেশাগত জীবনে একজন প্রকৌশলী। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তিনি মিসরের একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। সে তুলনায় তাঁর স্ত্রী ৫০ বছর বয়সী নাগলা ঘর-সংসার সামলানো একজন সাধারণ নারী।

হবু ফার্স্ট লেডির ভাবমূর্তি নিয়ে খোদ মিসরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকের কাছে, নাগলার এই সাধারণ ভাবমূর্তি বিপ্লবের সময় প্রতিশ্রুত গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করেছে। তবে পশ্চিমা ঘরানার অভিজাত শ্রেণীর কিছু মানুষ বলছে, নাগলা আসলে নারীর অনগ্রসরতা ও আঞ্চলিকতাকেই তুলে ধরছেন। তাঁদের আশঙ্কা, ইসলামপন্থী মুসলিম ব্রাদারহুড নারীকে এমন একটি অবস্থানেই রাখতে চায়।

২৯ বছর বয়সী ব্যাংকার আহমেদ সালেহ বলেন, ‘আমি কোনো অবস্থাতেই তাঁকে ফার্স্ট লেডি বলতে পারি না। তিনি মিসরের নারীর প্রতীক হতে পারেন না।’

তবে ডালিয়া নামে প্রকৌশল বিষয়ের একজন প্রভাষক বলেন, ‘তিনি আমার মায়ের মতো, শাশুড়ির মতো। তিনি সম্ভবত আপনারও মায়ের মতো।’ তাঁর মতে, সাধারণ মানুষই ক্ষমতার উত্স—মুরসি ও নাগলা দম্পতি আসলে আরব-বসন্তের সেই বাণীকেই তুলে ধরেন।-সুত্র প্রথম আলো

বোনাস:
কান্ডারী হুশিয়ার!-কাজী নজরুল ইসলাম
দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার!

দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।

তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।

অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার

গিরি সংকট, ভীরু যাত্রীরা গুরু গরজায় বাজ,
পশ্চাৎ-পথ-যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ!
কান্ডারী! তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যজিবে কি পথ-মাঝ?
করে হানাহানি, তবু চলো টানি, নিয়াছ যে মহাভার!

কান্ডারী! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙালীর খুনে লাল হল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর!
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর!
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পূনর্বার।

ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,
আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৫১
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×