দেখি মহুয়া বন
নদের চাঁদের সপ্তডিঙ্গা।
দেখি কাজল রেখার কাজল চোখ
রুপসী মলুয়ার মায়াবী মুখ
দেখি দুখিনী চন্দ্রার বুক ভরা দুখ
দেওয়ানা মদিনার চৌঁচির বুক।
বেদে-কন্যা মহুয়া সুন্দরীকে দেখি
এখানে আমি আবহমান বাংলাকে দেখি।
এখানে আমি লোকায়ত বাংলাকে দেখি।
দেখি কুমার চন্দ্র দে'র অজন্তা চিত্র
বয়াতি মন্সুরের অনুপম আলেখ্য
দেখি বাউল চাঁনের একতারা
মুনশী উকিলের দোতরা
দেখি জালাল খাঁর 'ছন্নছাড়া
বেহিসেবী জীবনধারা'।
মরমী রশিদের 'শোয়া চাঁন পাখিটি' দেখি
এখানে আমি চিরায়ত বাংলাকে দেখি।
দেখি 'উত্তর আকাশ'
'শতাব্দীর দুই দিগন্ত'-খালেকদাদ
দেখি 'নন্দিত নরকে'-'অয়োময়'-হুমায়ুন
'না প্রেমিক না বিপ্লবী'-নির্মলেন্দু গুণ
দেখি রংতুলি হাতে আচার্য জয়নুল
বিষের বাঁশি হাতে বিদ্রোহী নজরুল।
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার'
নির্ভয় হেলালকে দেখি।
এখানে আমি আবহমান বাংলাকে দেখি।
মহুয়া-মলুয়া চন্দ্রাবতীর
এই তীর্থভূমিতে এলে
আমি আবহমান বাংলাকেই দেখি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:২৩