অনেক দিন থেকেই আমার কৌতুহল ছিলো কিভাবে একজন নারী সন্তান প্রসব করে,এখনও আছে। মাথায় আমার ধরে না কিভাবে সম্ভব, বাস্তব অভিজ্ঞাতা না থাকায় খুব অসস্তি অনুভব করি, কাছ থেকে দেখার খুব ইচ্ছা হয়। আমার কোন ছোট ভাই বোন না থাকায় কাছ থেকে কোন গর্ভবতী নারীকে দেখিনি, ছোট সময় একবার নানা বাড়িতে বেড়াতে গেলাম, আমার এক খালার প্রসব বেদনা উঠে, আমি শুনতে পাই তার গোঙ্গানীর শব্দ, নানীদের দেখি হাসে, আমি গিয়ে বললাম খালামনীর কি হয়েছে, আমাকে জানানো হলো পেটে ব্যাথা, সাথে সাথে আমি ওষধ দিলাম আম পাতার রস খেতে হবে,আমার কথা শুনে তাদের কি হাসি, যা হোক আমি খেলতে খেলাম, কিছুক্ষন পর শুনি কান্নার শব্দ, আমার মাথায় আসে না এই হাসি এই কান্নার অর্থ, যা হোক পড়ে জেনেছিলাম মৃৃত্যু শিশু জন্ম দিয়ে ছিলেন খালামনী। আরেকবার আমাদের বাসার সামনেই আমার বোন সম্পর্কের বাসায় হঠাৎ করেই ঢুকে পড়ি তখন আমাকে ঝাড়ি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়, পরে জেনেছি সেই সময়টা ছিলো প্রসবকালীন। আমার মামীকে দেখেছি বিশাল বড় পেট নিয়ে হাটা চলা করতে,তখন এতো কৌতুহল ছিলো না,যতো টা এখন রয়েছে, নানা বাড়িতে বেশিক্ষন না থাকায় জানতে পারিনি গর্ভবতীর দিনকাল, পড়ে মামীকে থানার বাইরে হাসপাতালে নেয়া হয়, জন্ম দেন জমজ শিশু। আরেকবার আমাদের বাসায় অনেক মেহমান বেড়াতে আসে, বাসার ঘুমানোর জায়গার অভাব হলো আমার জায়গা হলো পাশের বাসার, রাতে হঠাৎ করে রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়, শুনি আন্টির গোঙ্গানীর শব্দ, নির্মম কষ্টের রাত জাগা নারীর বিছানার এপাশ ওপাশ গড়াগড়ির শব্দ, বেদনার আকুতি শুনি, কিছুদিন পরে হৃদয়ের জন্ম হলো ভোর রাতে.....সকাল বেলা হৃদয়ের কানে আজান দেই আমি, সেদিন আমি একেবারে সদ্যজাত শিশু দেখি খূব কাছ থেকে, আসলে গর্ভবতী নারীর দিনকাল, তাদের হাটাচলা দিনযাপন আমার খূব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়নি,কিছুদিন আগেও গর্ভবতী নারীরা আমাদের চোখের আড়ালে থাকার চেষ্টা করতেন, লুকিয়ে রাখতো তাদের এই ব্যাপারটা, এইতো গত কয়েকদিন জানতে পারি আমার খালাতো বোন গর্ভবতী, ঢাকায় থাকি তাও জানতাম না হঠাৎ করেই ওদেরবাসায় গিয়ে জানতে পারি, কেমন আড়স্ট, লজ্জায় আমাদের সামনে আসতে একটু বিব্রত দেখলাম। কেমন একটু আনমনা হয়ে যাই ছোট সময়ে কতো একসাথে খেলাধুলা করেছি, আজ সে সন্তানের মা হবে, আর আমাদের জানাতেও সে লজ্জা পায়। আমার খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয় কেমন অনুভুতি, আমিও পারি নি মুখ ফুটে বলতে.......যত তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বিদায় নিতে পারি সেটাই ভাবছিলাম। ছোট সময়ের দুরন্ত ছেলেটিও কেমন অজানা আচরন করলো পরে ভেবে আমি এর সমাধান পাই না ।
বিশ্ব বিদ্যালয়ের হলের সিটে বসে কতো স্বপ্ন দেখতাম আমার একটা সন্তান থাকবে, হাত ধরে হেটে যাবো অজানা পথে ........আমরা দুজন কতো গল্প করবো, মাঝে মাঝে আমরা বনে হারিয়ে যাবো কতো কি চিন্তা করেছি, কতো রাত পার করেছে ঘুমহীন স্বপ্ন দেখে। যাহোক প্রযুক্রি কল্যানে আমার কৌতুহল নিবারন করার চেষ্টা করি, বাস্তবে যা দেখতে পারেনি তা দেখার চেষ্টা করি, ইউটিউব ঘেটে ঘেটে ডাউনলোড করি ডিকুমেন্টারী ভিডিও, রাত জেগে দেখি,..... গর্ভবতীর হাটাচলা, খাওয়া দাওয়া, ঘুমহীন রাতের জীবন.,প্রসবকালীন বেদনা, গোঙ্গানী, চিৎকার, ঘামে ভেজা মুখ, রক্তে ভাসা শরীর, মৃত্যুর ভয়ে ভীত চোখ, বেদনায় হাত ছোড়াছুড়ি.............একবার নয় বারবার দেখি, ভিডিও শেষ হয়, কিন্তু কানে বাজতে থাকে নারীর সন্তান প্রসবের একেবারে শেষের চিৎকার.............আমি ভীত হয়ে পরি, রাতের নিরবতা আরো আমাকে ভয়ে কাপিয়ে তুলে, ক্যাম্পাস জীবনের সুখ স্বপ্ন আমি আর দেখতে চাই না, এতো কষ্ট করে সন্তানের বাবা হতে চাই না, বিয়ে করতে কেমন ভয় লাগে.........কিভাবে একজন নারীকে আমি এতাবড় কষ্ট দিবো ........একধরনের নির্যাতন মনে হয় আমার কাছে............
আলোচিত ব্লগ
মাটির কাছে যেতেই..
মাটির কাছে
যেতেই..
ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও
স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার
চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
বেলা বয়ে যায়
সূর্যটা বলছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা কবে কখন
ফুটেছে রজনীগন্ধ্যা।
বাতাসে কবে মিলিয়ে গেছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছুটেছি কেবল ছুটেছি কোথায়?
পথ হারিয়ে অন্ধ।
সূর্যটা কাল উঠবে আবার
আবারো হবে সকাল
পাকা চুল ধবল সকলি
দেখছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!
ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন