সৌরভ দাসের জন্য দুই লাখ টাকা সাহায্য প্রয়োজন। দেহের কিছু বর্ধনশীল বিদ্রোহী কোষ তার আজকের এই পরিচয়ের জন্য দায়ী ।
হ্যা,আমি একজন ক্যান্সারে আক্রান্ত যোদ্ধার কথা বলছি............
কয়েকদিন ধরেই ফেসবুকে সৌরভের জন্য সাহায্যের আবেদন দেখছিলাম।ক'দিন আগে আমাদের সাস্ট ক্যাম্পাসে ওর জন্য একটি মুভি ফেস্টিভাল-ও করা হল।আমাদের সমবয়সী একটা ছেলে আবার আমার নামের সাথেও মিল......কেন যেন ছেলেটার প্রতি একটা টান কাজ করছিল।কেন যেন মনে হল ও'তো আমার খুব কাছের একজন বন্ধু-ও হতে পারত কিংবা ওর জায়গায় হয়ত আমিও থাকতে পারতাম।
আজ গিয়েছিলাম সৌরভ-দের বাসায়।বাসার বাইরে অন্ধকার,তারও সামনে রাস্তার পাশে চুপচাপ বসে আছে একটা ছেলে।তাকে জিজ্ঞেস করলাম"ভাই,সৌরভ দাসের বাড়ি কোনটা?
প্রত্যুত্তরে জানাল সে-ই সৌরভ।তারপর তার সাথে গল্প করতে করতে তাদের বাসায় ঢুকলাম।
কাদা পেরিয়ে ছোট্ট একটি ঘর...ঘর ভর্তি হাহাকার।
ঘরে ঢুকেই যে মানুষটি সবার আগে সামনে পড়লেন তিনি হলেন সৌরভের বাবা।এক সময়ের মানুষ গড়ার কারিগর হাই স্কুলের হেডমাস্টার কে কেমন যেন অদ্ভুত ক্লান্ত দেখাল।মুখে তেমন কোন কথা নেই।
এরপর সৌরভের কাছ থেকে শুনলাম বাকিটুকু।২০১০এর শেষের দিকে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর দেশের ডাক্তারদের পরামর্শে কলকাতার মহাত্বা গান্ধী রোডে অবস্থিত ‘ক্যান্সার সেন্টার ওয়েলফেয়ার হোম অ্যান্ড রিসার্চ ইনিস্টিটিউট-এ সে ভর্তি হয়।চিকিৎসা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সৌরভ কে ২৫টি রেডিও থেরাপি এবং ৬টি কেমো দেয়া হয়।এতে খরচ হওয়া ৮লাখ টাকার প্রায় পুরোটাই আসে বাবার পেনসন আর জমি বিক্রির টাকা থেকে।শেষবার বলে দেয়া হয় তার ক্যন্সার ভালো হবার পথে।তিন মাস পর দুটি ঘটনা ঘটতে পারে-হয় সে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে নয়তো বেড়ে যাবে এবং হয়েছেও তাই।
তিন মাসের জায়গায় সাত মাস হয়ে গেলেও টাকার অভাবে সৌরভের আর কোলকাতায় যাওয়া হয় নি।বলতে গেলে সব হারিয়ে বাবা এখন শুধুই ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকেন কবে তাঁর ছেলেটি আবার তাদের এই ভাঙ্গা দশার হাল ধরবে...
অথচ জানেন সৌরভের চিকিৎসায় লাগবে কত টাকা?
টাকার হিসেবে সেটা মাত্র দুই লাখ টাকা!
মাত্র দুই লাখ টাকার জন্য একটি জীবন ও পরিবারের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে এ-ও কি দেখতে হবে?
আপনি হয়তোবা ভাবছেন এটা বিত্তবানদের দেখার বিষয়,আমার ছোট খাট সাহায্যে আর কি আসে যায়?
আপনাদের উদ্দেশ্যে বলব আপনার মতো মানুষ দের জন্য কিছু খুচরো বিলাসিতার মায়া বিসর্জনে ৫০০টাকা হয়তো একটু বড় বিষয়,কিন্তু অসম্ভব তো নয়।
তাহলে আপনাদের মত ৪০০ জন হলেই যথেস্ট!
অর্থ সাহায্য না করতে পারলে প্রচার করেও হেল্প করতে পারেন(এক্ষেত্রে সাংবাদিক ভাই'রা ভাল হেল্প করতে পারেন)
সৌরভের মা'র অশ্রুমোছা মুখ দেখে দ্রুতই মন খারাপ হয়ে গেল।আসবার সময় রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিল সৌরভ।এরপর আজকে ক্লাস ফ্রেন্ডদের কাছ থেকে তোলা কিছু টাকা ওর হাতে তুলে দিলাম।সেটা নিতেও তার অনেক সঙ্কোচ... ।ছেলেটার মুখে বেঁচে থাকার ঔজ্জ্বল্য একটুও কমেনি!জানলাম কোলন ক্যান্সারের জন্য তার টয়লেট সারতে প্রচুর কষ্ট হয় দিন দিন এর আক্রমন বাড়ছেই।তবুও মুখে বেঁচে থাকার একটা স্নিগ্ধ হাসি...
আপনারাই বলুন বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে প্রতিমুহূর্তে যে ছেলেটা মৃত্যুর প্রহর গুনছে তাকে কি আমরা মাত্র দুই লাখ টাকার কাছে হেরে যেতে দেব?
টাকশাল থেকে ছাপানো কয়েকটা রঙ্গিন নোটের এত ক্ষমতা?!
আমরা কি মানবতার আর একটা জয়যাত্রা দেখতে পারি না?
আরে ভাই,মানুষ তো মানুষের-ই জন্য।আজ সৌরভ বিপদে পড়েছে...কাল তো ওর জায়গায় আমি কিংবা আপ্নিও থাকতে পারেন.....................
সাহায্য করতে চাইলেঃ
৯০৯৩-১,পুবালী ব্যাঙ্ক লিমিটেড।
দরগা গেট শাখা,সিলেট।
কিংবা সরাসরি সাহায্য করতে চাইলে,সৌরভের ফোন নাম্বারঃ০১৭১৭৫৪০১৬৯
শেখঘাট পয়েন্ট,সিলেট।