somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলাম। দায়ি শাহজাহান খানের গরু-ছাগল চেনা ড্রাইভার।

২৬ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকাল থেকে হাবিজাবি কিনতে কিতে কখন যে ৪টা বেজে গেল বুঝতেই পারলাম না। দুপুরের খাওয়াটাও হল না। পেটের মধ্যে আগুন চলছে, সাথে মাথায়ও। অবশেষে বাড়ি ফেরার গাড়িতে উঠে বসলাম। সবাই একে 'ইমা' বলে ডাকে। পিছনের দিকটা দেখতে টেম্পুর মতো, মাথাটা মাইক্রোর মতো। আসলে এর নাম যে কি আমি জানি না। গাড়ি ছাড়ার পরই কেমন এলোমেলো লাগা শুরু। বুঝলাম কোন একটা গণ্ডগোল আছে। গাড়ি কখনোই সোজা যাচ্ছে না। একবার বাঁয়ে তো আরেকবার ডানে। মাঝে মাঝে যাত্রী উঠানামা করার জন্য থামে তাও কেমন এলোমোলো থামা মনে হয়। কন্ডাক্টরকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম 'ড্রাইভার নতুন নাকি?' সে একগাল হেসে বলল ' বলতে পারেন আজকেই শুরু। রোডে না উঠলে শিখবে কি করে? ' শুনে অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল। মনে হলো গন্তব্যে পৌছাতে পারব তো? অনাগত সন্তানের মুখ দেখতে পাব তো? মনেমনে আল্লাহকে ডাকছি, কখন ভালয় ভালয় গন্তব্য পৌঁছব। কিন্তু ভালয় ভালয় গন্তব্যে আর পৌছা হলো না। ফেনী থেকে ১২/১৩ কি:মি: উত্তরে পদুয়া নামক স্থানে আসতেই পিছন থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসের প্রচন্ড আঘাত। চোখের পলকে আবিষ্কার করলাম গাড়ি রাস্তার বাহিরে। গাড়ির সবাই উলট পালট হয়ে একে অন্যের উপর পড়েছে। আমার পাশেই এক মহিলা বসেছিল, তার মাথা থেকে গলগল করে রক্তা পড়ছে। সেই সাথে অনেকের আত্মচিৎকার। প্রথমে আবিস্কার করলাম আল্লাহর রহমতে অক্ষত আছি। শুধু বাঁ পাজরে একটু ব্যাথা। কাছেই অনেকগুলো সিএনজি দাড়িয়ে ছিল। একটাতে কোন রকমে পড়িমরি করে উঠে বসলাম। বাড়ি আসতে আসতে ব্যথাটা আরো বাড়ল। বাঁ পাজরের পিছন থেকে ব্যথাটা সামনে পর্যন্ত চলে এলো। নড়াচড়া করতে সমস্যা হচ্ছে। একটু এদিক ওদিক হলেই ব্যাথা ঝিলিক মারছে। ডান চোড়ালেও ব্যাথা লাগছে।

এই দেশে বেঁচে থাকাই এক বিস্ময়। কি করে যে এখন পর্যন্ত বেঁচে আছি এটাই মাঝে মাঝে ভাবি।

আমার ইচ্ছে করছে শাহজাহান খানকে কান ধরে হিঁ..হিঁ করে টেনে এনে সেই গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে ড্রাইভারকে বলি 'এবার মনের সুখে চালা, যেভাবে পারিস চালা।'
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৪
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×