পাশের বাসার ছাদ ঢালাই দিতেছে, খোয়া ভাঙ্গার মেশিনের শব্দে মিশরের মরা মমিও কানে আঙ্গুল দিয়া কইবো, ছাইড়া দে বাপ, আর সহ্য হইতেছে না। এই বিকট শব্দ নিয়া কারো কোন মাথা ব্যথা নাই। জানালা বন্ধ রাখলে শব্দ কিছুটা কমে, কিন্তু তাতে গরমে আর থাকা যায় না, কারণ কারেন্ট নাই। এখন আইপিএস খরচ করিয়া ফেললে রাত্রে আর ঘুমানো যাবে না।
ছাদে গেলাম আর থাকতে না পাইরা। বাড়ির মালিক বিরক্তমুখে ম্যাচের কাঠি দিয়া দাঁত খুচাইতেছেন, এই লোক নাকি মেডিসিনের ডাক্তার, ডেইলি প্রায় লক্ষাধিক টাকার রোগী দেখেন, ম্যালা ট্যাকা তার, একটানে ছয়তলা পর্যন্ত তুইলা ফেলবে বাড়ির। সবেমাত্র চতুর্থতলার কাজ চলতেছে, আরো দুইতলা বাকি এখনো।
আমারে ডাক্তার না বানাইতে পারায় আমার বাপের মনের সুপ্ত হতাশাটা কালকে রাত্রে আবার টের পাইলাম। ক্লাস এইটের এক্সকার্শনে কুমুদিনী হাসপাতালে একটা লাশ দেইখা যেই ভয় পাইছিলাম, বায়োলজি তাই ক্লাস এইটের পরে আমার ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে নাই। এখন মনে হইতেছে ভুল করছি, লাইফে UNDO বাটন থাকলে পারলে আবার ক্লাস নাইনে ফিরা গিয়া বায়োলজি নিতাম, তাইলে আর বাপ/চাচার এই হতাশা মার্কা কথাগুলা শুনতে হইতো না।
যত যাই করি, বাপ মারে খুশি করতে পারি নাই, এই জীবন আর রাইখা কি হবে, মইরাই যামু, তাই বিড়ি টানতে গেলাম।
ভাল থাইকেন সবাই।