আইজকাল আর রাস্তা-ঘাটে চলাফেরা করতে পারিনা, হারামজাদার দলে রাস্তাঘাট কিলবিল করে। এই অফিসে যাইতাসি কি শ্বশুরবাড়ি অথবা শপিংমলে, কোন না কোন হারামজাদা আইসা কইবো, "ছার! দুইডা ট্যাকা দেন। দুই দিন ধৈরা কিচ্ছু খাইনা।"
আমি কই “আরে হারামী! অ্যাত্তো ট্যাকা-পয়সা দুর্নীতি কৈরা বানাইছি তরে খাওয়ানের জন্যে?”
হারামজাদারা আবার নাছোড়বান্দা। একবার পা ধরলে টাকা না দেয়া পর্যন্ত আর ছাড়াছাড়ি নাই। ওরা বুঝেনা যে, আমাগোও ট্যাকা পয়সা অনেক কষ্ট কৈরা কামাইতে হয়। কুনোভাবে থলের বিলাই বাইর হইয়া গেলেই কেল্লাফতে! মিডিয়া আমারে নিয়া গবেষণা শুরু কৈরা দিব। দুর্নীতি করতেও কত কষ্ট তাইনা! আর হারামজাদারা সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুইরা ঘুইরা আমাগো মত কর্মঠ, সৎ লোকেগো কাছে আইসা ট্যাকা চায়। মাঝে মাঝে হারামজাদাগো মাথায় তুইলা আছড়াইতে মনে চায়।
ওগো জন্য আবার দেশের মানুষ আন্দোলন করে, “পথশিশুদের পাশে দাড়াও!”
দেশের সাধারণ মানুষও বেয়াক্কলের এক সের। নিজের পুলাপাইনের খবর নাই হারামজাদাগো নিয়া টানাটানি। এইতো আমি। গত সপ্তায় ম্যারিকা থেইক্কা মাইয়া আমার ফোন দিয়া কইল, "ড্যাড! গিম্মি সাম মানি! আমি বুঝিনা, কেন বারবার চাইতে হয়! চাওয়ার আগে কি তুমি কোনদিনই পাঠাতে পারোনা?"
আমি মাইয়ার ঝাড়ি খাইয়া নগত-ফগত পাঁচ লাখ ট্যাকা পাঠাইয়া দিলাম। যেই শালারপুতেরা পথশিশুগো নিয়া অ্যাত্তো বাড়াবাড়ি করে ওরা ঐসব ছাইড়া আমার মত থাকলে আইজ ওগো পুলাপাইনগোও যে আমার মাইয়ার মত সুখ,শান্তি আর রোমান্স করতে পারতো এইটা ওরা বুঝতে চায়না।
আমি হাটি......
আরও এক হারামজাদা আইসা পায়ে পৈরা যায়, ত্যক্ত-বিরক্ত হইয়া কইলাম,
“নে হারামজাদা নে! দুইডা ট্যাকা নিয়া বাইচ্চা থাক।”
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০৬