somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুরুষ শাসিত সমাজ নাকি নারী শোষিত সমাজ

২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সামনে HSC পরীক্ষা।পড়া লেখার অনেক চাপ। তাই লেখালেখির তেমন সময় পাই না। অনেক দিন পর সময় করে একটু লিখলাম।

একটা কৌতুক দিয়ে শুরু করি। নারী আর পুরুষের সাথে তালা চাবির সম্পর্ক কী ?
যখন একটা চাবি দিয়ে অনেক তালা খোলা যায় তখন সেটা মাস্টার কী। আর যখন একটা তালাকে কয়েকটা চাবি দিয়ে খোলা লাগে তখন সেটা নষ্ট তালা। একটা ছেলে যখন অনেক মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে তখন সে বাপের ব্যাটা আর একটা মেয়ে যদি সেই কাজ করে তাহলে সে নষ্টা মেয়ে। তার মানে এই বলছি না যে মেয়েদের সমর্থন করা উচিৎ। মেয়েদের দোষটা ধরা হলে কেন ছেলেদের দোষটাকেও কেন ধরা হয় না ?
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন "জাগো গো ভগিনী" প্রবন্ধে লিখেছিলেন - "আমাদের (মেয়েদের) একটা রোগ আছে দাসত্ব।" কথা আসলেই ঠিক। নারীরা মনের দিক থেকেই দুর্বল। নিজেদের দুর্বলতাকে সহজেই মেনে নেয়। তাই পুরুষেরাও সুযোগ পায় তাদের উপর কর্তিৃত্ব করার।
একটা মেয়ে যাকে মন দিতে পারে তার জন্য শরীরটা দেয়া কোনো ব্যাপার না। অথচ আমরা ৯০% পুরুষই তাদের শরীরটাকেই চাই। বিয়ের আগে মেয়ের যোগ্যতা না দেখে আগে দেখা হয় মেয়ে দেখতে সুন্দর কিনা। শরীরের চাহিদা কয়দিন থাকে ? ১ বছর ২ বছর ১০ বছর। তারপর ?........... তারপর আবার আরেকটা শরীর চাই। মেয়েটার ভালবাসার কানাকড়ি মূল্যও নেই সেখানে। আর এ জন্যই আমাদের দেশে ডিভোর্সের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। যার জন্য বেশি দায়ী পুরুষরাই।
এবার আসা যাক নারীদের দাসত্বের ব্যাপারটায়। আগে নারীরা হিজাব করত। তাদের সম্ভ্রম ছিল সুরক্ষিত। কিন্তু নিজেকে এমন ভাবেই রাখত যেন বাইরের দুনিয়া তার সাথে যোগাযোগ না করতে পারে। এরপর তারা আস্তে আস্তে আধুনিক হওয়া শুরু করল। আর এখন এতোই আধুনিক যে বাইরের দুনিয়ার কাছে সব কিছু দেখিয়ে বেড়ায়। এই পিছনেও কারন নারীদের দুর্বল মনোভাব। আগে পুরুষরা চাইত নারীরা যেন দুর্বল থাকে। তারা যেন সমাজে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। তাই তাদের বন্দী রাখা হত চারা দেয়ালের মাঝে। আর এখন সেই পুরুষরাই চায় মেয়েরা যেন নিজেদের সৌন্দর্য দেখিয়ে চলাফেরা করুক। তাই নারীরা আজ ঘরের বাইরে নিজেদের আধুনিকতা প্রকাশ করছে।
এখন অনেক বলতে পারেন আমি খালি আজে বাজে বকছি। মেয়েরা তো এখন অনেক অধিকার সচেতন। তারা এখন আর পুরুষদের দাসত্ব করে না। তাহলে বলুন একটা মেয়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ কী ? তার সম্ভ্রম। সেই সম্ভ্রম সে আজ বিক্রি করে দিচ্ছে পুরুষকে খুশি করার জন্য। এটা কি দাসত্ব নয় ?
আজ যারা নারী অধিকার নিয়ে গলাবাজি করেন তাদেরকে বলি - যদি অধিকার অর্জন করতে হয় তবে আগে নিজেদের থেকে নিজেদের মুক্ত করতে হবে। হিজাব করা মানে এই না যে নিজেকে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা। আবার আধুনিকতা মানেই অশ্লীল ফ্যাশন করা না। যদি নগ্নতাই ফ্যাশন হয়ে থাকে তাহলে তো পশুরাই সবচেয়ে আধুনিক প্রাণী। কারণ তারা কোনো জামা কাপড় পড়ে না। আধুনিকতা মানে নিজের মন মানসিকতাকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। আর তার সাথে হিজাব দরকার নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে। কারণ মিষ্টি খোলা স্থানে রেখে দিলে সেখানে মাছি বসবেই। এটাই প্রকৃতি। তাই যদি মিষ্টি ঢেকে রাখা না হয় তাহলে শুধু শুধু মাছির দোষ দিয়ে লাভ নেই।
নারীরা মনে দিক দিয়ে দুর্বল নিজেদের কারনেই। আর পুরুষেরা সেই সুযোগটাই নেয়। এ জন্য অনেকে ইসলামকে দোষ দেয়। তাদেরকে বলব ইতিহাস একটু ভাল করে ঘেটে দেখুন। নবীজীর আমলে হযরত আয়েশা (রাঃ) ছিলেন একজন উচ্চ শিক্ষিত নারী এবং পরামর্শ দাতা। ইসলামে প্রথম শহীদের মর্যাদা অর্জন করে একজন নারী। হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন আরবের একজন বড় ব্যাবসায়ী। তার অধীনে কাজ করত হাজার হাজার কর্মচারী।
তবে আজ কেন সেই নারীদের এমন অবস্থা ?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ১১:০৬
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×