somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইউরোয় জমজমাট সেক্স মার্কেট ।

২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইউরো কাপ দারুণভাবে জমে উঠেছে। নক আউট পর্বে এসে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই নতুন মাত্রা পেয়েছে। খেলার মাঠের লড়াই দেখতে রাত জাগছি আমরা। কিন্তু জানেন কী ফুটবলের বাইরেও এই প্রতিযোগিতা ঘিরে ঘটছে অনেক কিছু। কখনও সেটা সরকারি উদ্যোগে, কখনও নিয়মের বাইরে বেরিয়ে। সেইসব নিয়েই সাজানো এই প্রতিবেদন।২০ বসন্তের যুবতী ইউলিয়া। স্বপ্ন তার এবারের ইউরো কাপের সময় পুরুষ খদ্দেরের মনোরঞ্জন করে অর্থ উপার্জন করা। সবেমাত্র জমে উঠেছে ইউরো কাপ। এতে এখনও তিনি সুবিধা করে উঠতে পারেননি। তবে আশাহত নন ইউলিয়া। ফুটবল পাগল কয়েক লাখ পুরুষ তার দেশে। তাদেরকে লক্ষ্য করে ইউক্রেনের অনেক নারী বের হয়ে পড়েছেন খদ্দের ধরার মিশনে। এমনিতেই ইউক্রেন পতিতাবৃত্তির উর্বর দেশ। সেখানে ব্যাপক সংখ্যক নারী রাস্তা, বার ও হোটেল চষে বেড়াচ্ছেন। যৌন ব্যবসা: ইউরো কাপকে ঘিরে জড়ো হয়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন পেশার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। ইউরোর ফুটবলের লোভে, দেশের সমর্থনের জন্য হাজির লক্ষ লক্ষ সমর্থক। আর এই সুযোগটা নিতে ইউরোর নামকরা সব সেক্স সিন্ডিকেট কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। প্রতিযোগিতা শুরুর অনেক আগে থেকেই প্রতিযোগিতার দুই আয়োজক দেশ পোল্যান্ড-ইউক্রেনে ঘাঁটি গেড়ে রেখেছে দেহ ব্যবসায়ীরা। ব্যবসার নিয়মটা ঠিক আমাদের এখানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে যৌন আবেদন করা নয়। ইউরোকে কেন্দ্র করে দেহ ব্যবসা চলছে বিভিন্নভাবে। ইন্টারনেটে সুন্দরী মহিলাদের ছবি-ফোন নম্বরসহ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ইউরোয় হাজির সমর্থকদের ইমেল অ্যাকাউন্টে। তবে এই পদ্ধতিটা বেশ পুরনো।

এবারের ইউরোয় যা চলছে সেটা বেশ কিছুটা অভিনব। সমর্থক সেজে ছোটখাট পোশাক পরে স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়ছে দেহ ব্যবসায়ীরা। এরপর মাঠে ঢুকে বেলুন, কিংবা কাগজের মধ্যে বড় হরফে লিখছে “আই অ্যাম ফর সেলস”। পছন্দ হলে সেই মহিলার সঙ্গে মাঠেই লেনদেন সেরে নেয়া হয়। অর্থাৎ মাঠের মধ্যেই হয়ে যাচ্ছে শরীর নিয়ে বিনিময় প্রথা। আর সেই দেহ উপভোগের টাকার থুড়ি ডলারের কথাটা শুনলে অবাক হতে হয়। চেক সুন্দরীরা নিজেদের জন্য প্রতি ঘন্টায় দর হেঁকেছেন আট হাজার ডলার, রাশিয়ার সুন্দরীদের দর আরও চড়া। ঘণ্টায় তাদের দর বারো হাজার ডলার। ডাচ সুন্দরীরা অনেককে ছাপিয়ে গিয়েছে। ঘণ্টায় তাদের দর কুড়ি হাজার ডলার।

এর চেয়েও মজার কথা যাদের কথা বলছি তারা সবাই যে দেহ ব্যবসায়ী তা নয়। এদের মধ্যে অনেকেই কলেজ-কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। রথ দেখা কলা বেচার ছকে ওরা খেলা দেখার ফাঁকে রোজগার করে নিতে চায়। খেলার শেষে হোটেলে ফেরার পথেও হয় জোর ব্যবসা। অনেকে আবার খেলা জেতা-হারার বাজি হিসাবে সুন্দরী মহিলাদের কাজে লাগান। এই যেমন চেক প্রজাতন্ত্র-গ্রিস ম্যাচ কারা জিতবে এই নিয়ে বাজিতে নেমেছিল চেকের একদল যুবক। তাতে শর্ত ছিল তাদের দল জিতলে তারা নগ্ন পার্টি আয়োজন করবে গ্রিস সুন্দরীদের নিয়ে। আর উল্টোটা হলে একদল গ্রিস সমর্থকদের তারা নগ্ন পার্টিতে আমন্ত্রণ জানাবে যেখানে নাচবেন চেক প্রজাতন্ত্রের সুন্দরীরা। শোনা যাচ্ছে ম্যাচের শেষে নিজেদের রিল্যাক্স রাখতে বিভিন্ন দেশের কোচেরা আড়ালে আবডালে তার দলের ফুটবলারদের যৌন সংসর্গে যেতে উৎসাহ দিচ্ছেন। সেই যাই হোক আসল কথা হল ইউরোর আড়ালে দেহ ব্যবসা জমজমাট। ইউরোপের এক ওয়েবসাইট অনুযায়ী প্রতিযোগিতার প্রথম দশ দিনে এই দেহ ব্যবসায় দুশো কোটি টাকার লেনদেন হয়ে গিয়েছে। প্রায় চল্লিশ হাজারের মতো যৌন কর্মী পোল্যান্ড-ইউক্রেনে ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। এ ছাড়াও রয়েছে ইউরোর ফুটবল ভিত্তিক নীল ছবি তৈরির ব্যবসা।

খাদ্যের জন্য গোল: ইউনিসেফকে সাহায্যের জন্য এবারের ইউরোয় নেওয়া হয়েছে দারুণ পরিকল্পনা। রুনি, রোনালদো, গোমেজরা এক একটা গোল করবেন আর গোল প্রতি তিরিশ হাজার ইউরো চলে যাবে ইউনিসেফের ‘গোল ফর ফুড’ প্রকল্পে। এই প্রকল্পের টাকা সরাসরি চলে যাবে আফ্রিকার বিভিন্ন দারিদ্র্যপীড়িত দেশে। তাই গোল করে রুনি, রোনালদোরা শুধু দেশকেই জেতাচ্ছেন না, সেই সঙ্গে অন্ন তুলে দিচ্ছেন সেইসব মানুষদেরও যারা একমুঠো অন্নের জন্য চোখ দিয়ে জল ফেলেন।

বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই: এই একটা সমস্যা নিয়ে গোটা ইউরোপ গভীর উদ্বিগ্ন। বর্ণবিদ্বেষের এই সমস্যা অবশ্য আজকের নয় বহু যুগের। কালো চামড়ার মানুষ দেখলেই তাকে আক্রমণ কর, হেনস্থা কর এমনটা এক শ্রেণীর মানুষ বহুযুগ ধরেই করে আসছেন। ফুটবল মাঠও এর বাইরে যাইনি। কালো চামড়ার ফুটবলারদের বিভিন্নভাবে অপমান করে বিরক্ত করা হয়। কখনও সেটা করেন ফুটবলাররা, কখনও সেটা আসে দর্শক গ্যালারি থেকে। ফিফা বেশ কয়েক বছর ধরেই এই বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। এই ‘ফাইট এগেনেস্ট রেশিসম’ (“fight against racism”) কিছুটা কাজে এলেও বর্ণবিদ্বেষ সম্পূর্ণ মুছে দিতে পারেনি। এ বারের ইউরোয় সেই কাজে হাত দিয়েছে উয়েফা। নাম দেয়া হয়েছে “Unite against racism”। মাঠের ধারে বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তো বটেই স্টেডিয়ামের বাইরেও এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। সূত্র: ওয়েবসাইট।

বার্তা২৪ ডটনেট/এসএফ
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

সততা হলে প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে

লিখেছেন মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৯

বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে। ক্রেতাদের মনে যে প্রশ্নগুলো থাকা উচিত:

(১) ওজন মাপার যন্ত্র কী ঠিক আছে?
(২) মিষ্টির মান কেমন?
(৩) মিষ্টি পূর্বের দামের সাথে এখনের দামের পার্থক্য কত?
(৪) এই দোকানে এতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০, কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×