somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-৩ : ছয় বাস্তবতা

২২ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-১
ফ্রিল্যান্স ক্রেডেনশিয়াল-২


সব এক্সপার্ট মিলে ৬টি বাস্তবতাকে চিহ্নিত করেছেন। এবার তার সার-সংক্ষেপ

বাস্তবতা-১ ; সাফল্য একটি ব্যক্তিগত লক্ষ্য

সাফল্য মনে হয় খুজে বের করাটা সহজ – বেশি টাকা কামানো, বিখ্যাত হওয়া, ধনী হওয়া, তাই না? তবে বেমিরভাগ ফ্রিল্যান্সার তাদের কাজ আর জীবনের নতুনমানে খুজে পেতে চান। কারো জন্য এটি হতে পারে মাসে লক্ষ টাকা কামানো, কারো জন্য এটি পরিবারকে বেমি সময় দেওয়া। কেও আবার চলতে ফিরতে মানে বেড়াতে বেড়াতে কাজ করার স্বাধীনতার সমার্থক।
যখন লক্ষ্য ব্যক্তিগত থাকে তখন কিন্ত প্রতিনিয়ত সেিকে যাচাই করা, কষ্টি পাথর দিয়ে দেখা ঠিুক পথে আছি কী না, তা কঠিন হয়ে পড়ে। সরা ১০ জনের একজন এড গানিয়া বলছেন- আমি সবসময় নিজেকে প্রশ্ন করি – আমি কি নিয়মিত কাজ, প্রজেক্ট, ক্লায়েন্ট আর লাইফ স্টাইল যা আমি চেয়েছি তা পাচ্ছি। যদি এর একটার কমতি হয়, তাহলে আমি বুঝি আমার কোথাও ঘাটতি হচ্ছে। সেটা পূরণ করতে হবে।
কাজে লক্ষ্য পূরণের জন্য নিজেকে স্ব-নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। কারণ- ফ্রিল্যান্সিং-এ আপনার কোন মেন্টর নাই, কোন সিনিয়র নাই, কোন অভিজ্ঞ প্রজেক্ট ম্যানেজার নেই যে কী না কঠিনতম সময়ে বলে দিবে কী করতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারই। কাঝে প্রথম থেকে সিদ্ধান্ত নিতে শিকতে হবে। গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে গেল হবে না। আপনার যদি চূড়ান্ত গোল হয় ওয়েব ডিজাইনে ভঅল করা তাহলে এসইও-র পেছনে দৌড়ালে সিদ্ধকাম হওয়া কঠিনই হবে।
কাজে শুরুতে নিজের ব্যাক্তগত লক্ষ্য ঠিক করেন। আপনি কেন ফ্রীল্যান্সিং করতে চান?

বাস্তবতা ২ ; যেকোন ব্যসার বেশিরভাগ অংশ কিন্তু সৃজনশীল কাজ নয়, এটি বরং ব্যবসা ব্যবস্থাপনা। এবং এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জরিপ থেকে আমরা দেখেছি বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার তার সময়ের ৪০% কিন্ত বিল করে। এন সি উইন্টারের কথাগুলো সফল ফ্রিল্যান্সাররা খুব তাড়াতাড়ি শিকে ফেলে। এনসি নিজে একজন শিল্পী, ইলাস্ট্রেটর আর কমিক আঁকে। তার কথা হল -
“ফ্রিল্যান্সিং কঠিন। প্রতিষ্ঠানে কিছু লোক থাকে যারা দৈনন্দিন কাজগুলো করে যেমন ইনভয়েসিং, বিলিং, পেমেন্ট, প্রমোশন, প্রচার, ট্যাক্স, মার্কেটিং, ওভারহেড। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং-এ এই কাজ তোমাকেই করতে হবে। আমি এটা আশাও করেছিলাম। কিন্তু জানতাম আসলে কতো কাজ! ‘নিজের জন্য কাজ করবো’ এটা বলাটা সহজ। কিন্ত আসলেই একটি ব্যবসা পরিচালনা কিন্তু মোটেই সহজ নয়। নিজেই নিজের বস হওয়াটা সতি্য কঠিন। কারণ সারা দিনমান ধরে সুজনশীলতার কোন বালাই এখানে নেই!”
গ্রীণ টি ডিজাইনের ট্রাভিস কিং-এরও একই মত।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের প্রতি আমার সবচেয়ে বড় উপদেশ হল ব্যবসা এমনভাবে করো যাতে তোমার স্কিলসেট বাড়ানো আর ব্যবসার মানইন্নয়ন দুটোই ঘটে। সফল ফ্রিল্যান্সার মনে কিন্ত সফল ব্যবসায়ীও। তুমি যদি সারাক্ষণই ক্লায়েন্ট খুজে বেড়াও তাহলে তুমি মোটেই আগাতে পারবে না। ফটোশপের একটি টেকনিক জানাটা যেমন জরুরী তেমনি সমানভাবে জরুরী হলো মার্কেটিং, বিলিং আর কাস্টোমার সার্ভিস।

অনেকই ভাবেন ফ্রিল্যান্সিং মনে হয় প্রচলিত ব্যবসা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু আসলে তা নয়। মাথায় রাখতে হবে নিজের স্কিলের পাশাপাশি ব্যবসা স্কিলও সমান জরুরী।
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজের কবর দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ ক্লায়েন্ট খোঁজাটা এক নম্বর শর্ত!


বাস্তবতা ৩: ফ্রিল্যান্সার হওয়া মনে হল নিজেকে বিক্রি করার ব্যবসায় নিয়োজিত হওয়া।

তোমার সকল স্কিল, ইন্ডাস্ট্রির ধারণা এবং ক্রিয়েটিভিটি তোমাকে কখনোই ক্লায়েন্ট পাওয়ার নিশ্চয়তা দেবেনা। গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেকে ঠিকমতো বিক্রি করতে পারা। তবে, নিজের একটি সুন্দর ওয়েবসাইট থাকাটা কিন্তু যথেষ্ঠ নয়।নানান কিছু তোমাকে করতে হতে পারে। একঅন থেকেই আমরা বাস্তবতা ৪-এ যেতে পারবো।

বাস্তবতা-৪: সবচেয়ে ভালো মার্কেটিং ঞল সক্রিয়তা এবং কোয়ালিটি কাজ!

আগের অধ্যায়ে আমরা দেখেছি তুমি তোমার বেশিরভাগ কাজ পাচ্ছো রেফারেল থেকে (ওয়ার্ড অব মাউথ)।এর পেছনেই রয়েছে পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট আর সোস্যাল মিডিয়া।এর মানে হল রেফারেল ছাড়া ক্লায়েন্ট পাওয়ার উপায় হল সক্রিয় থাকা এবং ইমপ্রেসিব সব কাজ করা।
মানুষ তো সামাজিক জীব। আমরা সবসময় যাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি, কাজ করি তাদের বিশ্বাস করতে ভালবাসি। যতো বেশি তুমি তোমার ক্লায়েন্টদের এনগেজ করতে পারবা, কথা বলতে পারবা ততো তারা তোমার উপর রিলাই করবে।
এই ট্রাস্টের জায়গাটাকে ব্যাকআপ করতে হবে সলিডকাজ দিয়ে, বাগাড়ম্বরতা দিয়ে নয়!

বাস্তবতা ৫ : বৈচিত্রই নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় ধারক

একটি নিয়মিত আয়ের উৎস থাকাটা সকল ফ্রিল্যান্সারের কাঙ্খিত লক্ষ্য। এটি ঠিক রাখার জন্য নানান রকম কিছু করতে হবে। বিজনেজ ব্লগ থেকে শুরু করে গুগলের এডসেন্ট সবই এখানে ভাবতে হবে। প্রায় সব এক্সপার্টই বলেছেন যদি মাল্টিপল স্ট্রিমে কাজ থাকে, দক্ষতা থাকে তাহলে নিয়মিত ইনকাম নিয়ে ভাবতে হয় না।

বাস্তবতা ৬ : ফ্রিল্যান্সিং থেকেই হবে নতুন কিছুর শুরু

এটি আমরা আমাদের দেশেও দেখেছি। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার থেকে নিজের প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব। আর একটা শুরু হয় ফ্রিল্যান্সিং থেকে।
ফ্রিল্যান্সিং তোমাকে নানানভাবে সাহায্য করবে তোমার নিজের গতিপথ খুজে পেতে। “আমি কলেজ ছেড়িছিলাম গেম ডিজাইনার হব বলে। পরে একটি কর্পোরেটের মিডিয়া ডিজাইনারের কাজ করেছি। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলাম ডিজাইনার হিসাবে। আর একন বেশি করি লেখালেখি, ম্যানেজিং আর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসাবে।”
সুখবর হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং তোমাকে নতুন নতুন জিনিষ করার সুযোগ এনে দেয়। যেমন তুমি যদি এসইও করো তাহলে কোন একদিন তোমার কোন ক্লায়েন্ট তোমাকে ওয়েব ডিজাইনের অনুরোধ করতে পারে। সেই কাজটি করতে গিয়ে তুমি বিশেষ আনন্দ পেতে পারো যা তোমাকে একজন সফল ওয়েব ডিজাইনারে রুপান্তরিত করতে পারে। প্রচলিত চাকরিতে এটি ককনোই ঘটবে না!


ফ্রিল্যাস্সিং-এর অনেক মিথ বা উপকথা রয়েছে যার সঙ্গে রয়েছে সাফল্যের যোগ। পরের পর্ব সেরকম কিছু মিথ আমরা বোঝার চেষ্টা করবো।


সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিব হোক।
৮টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×