somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হালকা পাতলা হাসাহাসি হয়ে যাক..........

২১ শে জুন, ২০১২ সকাল ৯:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
১। সুন্দর সকালের শুভেচ্ছা সবাইকে
আশাকরি দিনটি ভাল কাটবে সবার..........



২। নেইলপলিস ভালবাসা সবাইকে...........



৩। অথবা এক আকাশ ভালবাসা............যে যেটাই নেন.......



৪। ধমকা হাওয়ার চাপে.......
নাক মুখ চ্যাপ্টা হইয়া কাপে....



৪। লোভে পাপ.................
বেশী লোভ করলে কিছুই পাওয়া যায় না......



এবার হালকা পাতলা neutral smile big_smile lol lol2 হয়ে যাক............

১।
এক মেয়ের সাথে আরেক মেয়ের কথা হচ্ছে..

১ম মেয়েঃ আজকালকের ছেলেদের কোন বিশ্বাস নাই আমি তো আজকে থেকে ওর মুখ ও দেখতে চাইনা..

২য় মেয়েঃকি হইছে??.. তুমি কি ওকে অন্য কোন মেয়ের সাথে দেখে ফেলছ??

১ম মেয়েঃনা ও আমারে আরেক ছেলের সাথে দেখে ফেলছে..
কালকে ও আমাকে বলছিল ও নাকি শহরের বাইরে যাবে

মিথ্যুক , বদ ধোঁকাবাজ....

২।
পোলা মাতাল হইয়া ঘরে ঢুকেছে।
বাপের ডর নাই এমন পোলা খুব কমই আছে। বাপেরে এড়ানোর জন্য চুপিচুপি বাসায় ঢুইকা ল্যাপটপ নিয়া বসছে।
যেন অনেক ব্যাস্ত মানুষ(আমার মতো)

বাবা - তুমি কি মদ খাইছো??

ছেলে - আরে না । কি যে বল না??

বাবা - তাহলে তুমি আমার সুটকেস নিয়ে কি করছো??

৩।
পুরাটা পড়েন মজা পাইবেন শিওর

(অদূর ভবিষ্যতে এমন গল্প শোনা যাবে)
দুজন তরুণ তরুণী একে অপরকে খুব ভালোবাসতো। তাদের ভালোবাসা ছিলো খুব গভীর। ধরা যাক তাদের নাম তাহমীদ আর সোমা (নামটা জানি কি মনে আসতেছে না)।

একদিন তাহমীদ যখন সোমার ফেসবুক ওয়ালে লিখলো-"জানু, আই লাভ ইউ!"

তখন তাদের wellwisher রা সেই ওয়ালপোস্টে like দিলো। লাইকসংখ্যা দেখে মাধবীর সেকি আনন্দ!

আর অন্যদিকে হিংসুটে সমাজ একটা dislike বাটনের দাবীতেআন্দোলন শুরু করলো। আর এই সুযোগে বিরোধীদলীয় ষড়যন্ত্রকারীরা dislike বাটনের একটা spam link তৈরী করে পুরো ফেসবুকময় ছড়িয়ে দিলো। আপনারা এখনো তার ভুক্তভোগী।

একদিন সোমা বললো,
-ওগো, তুমি আমাকে এতো আদর করে ফেসবুকে poke দাও কেনো? আমার এত্তো ভালো লাগে! তোমার poke পেয়ে আমি বারে বারে শিহরিত হয়!

তাহমীদ খুশী হয়ে বললো,
-আমার ঘরের দরজা খুলে দেখো, টেবিলের উপরে আমার পিসির মাউস তো শুধু তোমাকে পোক দেয়ার জন্যই! যতদিন আমার মাউস অক্ষত থাকবে, ততোদিন তোমায় দিয়ে যাবো ভালোবাসার poke. প্রমিজ!

যাই হোক, ভালোই চলছিলো তাদের প্রেম। সারাদিন ইনবক্স মেসেজিং, দিনে দশ বারোটা ওয়ালপোস্ট, পাঁচটা স্ট্যাটাস, একটা নোট। আহা! একেই তো বলে প্রেম!

তাহমীদ পরিবার মেনে নিলেও হঠাত্ ঝামেলা করলো সোমার বাবা মা। তারা কিছুতেই এ সম্পর্ক মেনে নিলো না। তাই বাধ্য হয়ে পালিয়ে তারা বিয়ে করে ফেললো।

তারা একটা গ্রুপ খুললো। closed গ্রুপ। মেম্বার শুধু তারা দুজন। সেখানেই তারা ঘর সংসার শুরু করলো। গ্রুপের ওয়ালেই সব সাংসারিক কাজকর্ম, ভালোবাসার আদান প্রদান সম্পন্ন হতে থাকলো।

একসময় তাদের পরিবারের সবলোকজন এখবর জেনে গেলো। সোমার মা কাদতে কাদতে বললেন,
-হায়রে। আমার পোড়া কপাল। কতো ইচ্ছা ছিলো মেয়ের বিয়েতে ফেসবুকে একটা event খুলবো। কতো লোককে invite করবো। কিছুই হলো না রেএএএএ।

ৱসোমার বাবা রেগে গিয়ে বললেন,
-আমি এ বিয়ে মানি না। বিয়ের প্রমান কোথায়? বিয়ের একটা রীতিনীতি আছে। সমাজের কাছে আমি মুখ দেখাবো কীভাবে? বিয়ে করতে হলে ফেসবুকে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস চেঞ্জ করতে হয়। সেখানে ছেলে মেয়ে উভয়পক্ষকে confirm করতে হয়। তোমরা তা করোনি।

তাহমীদ বললো,
-মাই ডিয়ার ফাদার ইন ল, আমরা তা করেছি! আপনাকে বহুআগে আমরা block করেছি। তাই আপনি দেখেননি।

সোমার বাবা আরো রেগে বললেন,
-কি এতো বড়ো স্পর্ধা! কোথায় সেটা? আমাকে দেখাও।

তাহমীদ নিজের প্রোফাইল থেকে তাকে হিস্টোরিকাল ঐ পোস্টদেখালো। সোমার বাবা অবজ্ঞার হাসি হেসে বললেন,-ছোহ! ঐ পোস্টে মাত্র এগারো জন লাইক দিয়েছে। এতো কম লাইকে বিয়ে সম্পন্ন হয় না।

এবার তাহমীদ চিত্কার করে উঠলো,
-ফাদার ইন ল, আমাদের ফ্রেন্ডলিস্ট গরীব হতে পারে, কিন্তু আমাদের হৃদয়ে ভালোবাসা আছে। ভুলে যাবেন না, লাইক দিয়েভালোবাসা কেনা যায় না!

সোমার বাবা রাগে ক্ষোভে বললেন,
-ছোটলোক ফেসবুকার কোথাকার! জুকারবার্গ আমার বন্ধু। আমি এখনি তোমার নামে রিপোর্ট করাবো!

একথা শুনে সোমা কেদে ফেললো।
-না বাবা। নাআআআ! তুমি আমার নামে রিপোর্ট করো। তবু তোমাদের জামাইএর ক্ষতি করো না। আমার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস তুমি মুছে দিও নাআআআ! তোমার দোহায় লাগে...

সোমার বাবা বললেন,
-ছি! মেয়ে, তোমার এতো অধঃপতন! আমি আজই তোমাকে আমাদের ফেসবুক ফ্যামিলির daughter লিস্ট থেকে রিমুভকরবো। সোমার মা, আমার ল্যাপটপটা নিয়ে এসো।

সোমার মা ভয়ে ভয়ে ল্যাপটপ এনে দিলো। সাথে সাথে সোমার বাবা ফেসবুকে লগিন করার জন্য ঝাপিয়ে পড়লেন ল্যাপটপের উপর।

সোমার মা বললেন,
-ওগো তুমি শান্ত হও। তোমার ল্যাপটপের শরীর ভালো না। এতো অস্থির হলে যদি একেবারে নষ্ট হয়ে যায়!

আর এদিকে তাহমীদ সোমার হাত ধরে বললো,
-চলো সোমা....... আমরা আমাদের ছোট্ট গ্রুপে ফিরে যায়। আভিজাত্যের বড়াই থাকলে ভালোবাসা জন্মায় না।

তারা ফিরে গেলো তাদের ছোট্ট গ্রুপে।

এরপর একদিন দুর্বৃত্তরা সোমার বাবার ফেসবুক আইডিহ্যাক করে ফেললো। হ্যাকাররা সেই আইডি ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করতে লাগলো। এতে সোমার বাবার মান সম্মান ধুলোয় মিশে গেলো।

কিছুদিন পরে বহুকষ্টে বন্ধু জুকারবার্গের সহায়তায় আইডি পুনঃউদ্ধারে সক্ষম হলেন তিনি। কিন্তু এরপর থেকে ডেইলী লাইক সংখ্যা কমে গেলো। সোমার বাবা বুঝতে পারলেন যে এতোদিন তিনি যা পেয়েছেন তা শুধুই খ্যাতি। একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনায় তার খ্যাতি শেষ হয়ে গেছে। তিনি কারো ভালোবাসা শ্রদ্ধা পাননি। আসলেই লাইক দিয়ে ভালোবাসা কেনা যায় না।

সোমার বাবা তার ভুল স্বীকার করলেন। বুকে টেনে নিলেন তাহমীদ ও সোমাকে । ফ্যামিলি লিস্টে এ দুজনকে এ্যড করে নিলেন। এরপর তিনি তার বিশাল বিশাল ফেসবুক পেজের adminship দিয়ে দিতে চাইলেন জামাই তাহমীদকে।

তবে তাহমীদ একজন আদর্শ ফেসবুকার। সে জীবনেও সোমা ছাড়া কোনো নারীকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেয়নি। তাই নিজ আদর্শে অটুট তাহমীদ হাসিমুখে সোমার বাবার এ উপহার প্রত্যাক্ষান করলো।

তারপর ফাদার ইন ল আর মাদারইন ল কে দুখানা শ্রদ্ধা মিশ্রিত fb poke (সালাম version) দিয়ে বিদায় নিলো তাহমীদ ।

তারপর সুখে শান্তিতে ছোট্ট গ্রুপে ঘর সংসার করতে লাগলো তাহমীদ আর সোমা । মাঝে মাঝে এক মায়াবী সন্ধ্যায় সূর্যের বিদায়ক্ষনে গিটার হাতে সোমারর প্রোফাইলে চোখ রেখে তাহমীদ গেয়ে ওঠে-
"পড়ে না চোখের পলক!
কি তোমার pro pic এর ঝলক!
দোহাই লাগে pro pic তোমার
একটু hide করো!
আমি মরেই যাবো
ডিএ্যক্টিভেটেড হবো
লগিন করাতে পারবে না কেউ!"

===================================================
আগে পোষ্ট হয়ে থাকলে আমি দায়ী না । সংগ্রহ ফেসবুক হতে
====================================================
এবার ছবিতে মজা.......

১। আফটার বিফোর.......



২। কপি পেষ্ট........



৩। মায়ের কাছে পত্র........



৪। মনে বড় দুষ্ক........দুষ্ক আমার মনেতে....



৫। লাইক ইট



৬। আহারে পৃথিবীতে এমন বউ কয়টা আছে.....



৭। সবশেষে আষাঢ়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি.........



==========================================
আশাকরি ভাল লাগবে সবার...........
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×