তীরে এসেও তরী ডূবে গেলো
সেই নৌকায় দু’জনে ছিলাম তীরে
ফেরার যাত্রী।
আমার দু’হাতে ছিলো নিসিদ্ধ মহুয়ার পাত্র---
সবেতো যাত্রা শুরু হলো
সন্ধ্যা নেমে এলো
তবে কেন মনে হলো এ’এক ঘোর
অমাবস্যার রাত্রি!
ফেরার আশাও হঠাৎ হাওয়াও প্রদীপের
মতো দপ করে নিভে গেলো!
কে যেন অদৃশ্য কণ্ঠে জানিয়ে দিয়ে গেলো
শেষ নৌকার আমরা একমাত্র যাত্রী!
আমার দু’হাতে ছিলো নিসিদ্ধ মহুয়ার পাত্র---
তোমার চোখে ছিলো বিশ্বাসের ছায়া
বলেছিলে, এসো পার হই
দক্ষ সাঁতারু ছিলে, নদী বেশি বড় নয়,
হাত শক্ত করে ধরো, মরবে না,
এসো ঝাঁপ দেই-
তখন আমার বিশ্বাসে ভাটা পড়েছিলো!
শক্তিও ছিলো না কোনো
শরীর মহুয়ার নেশায় অবশ- আচ্ছন্ন।
মনে হলো এতো শুধু নদীর স্রোত নয়
যেনো শীতে জমে যাওয়া জমাট বরফ
তাকিয়ে দেখি নদী প্রকাণ্ড সাপের মতো
কুণ্ডলী পাকিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে;
আশ্চর্য পানির রঙ রক্তবর্ণ কেনো?
কি ভুল হয়েছিলো সেই রাতে?
কিসের ওপর ভর করে রেখেছিলে বিশুদ্ধ
বিশ্বাস সেই পাত্রে?
আমার দু’হাতে ছিলো নিসিদ্ধ মহুয়ার পাত্র---