মন্ত্রিসভার রদবদলে আরো ইসলামপন্থি নিয়োগ করে সরকারে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়ালেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি।
Published : 07 May 2013, 02:03 PM
দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে ৪৮০ কোটি ডলারের ঋণ পাওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের(আইএমএফ)সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনায় নিয়োজিত দুই মন্ত্রীকে বদল করেছেন মুরসি।
কিন্তু এ পরিবর্তনে পূরণ হয়নি বিরোধীদের আশা।বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী হিশাম কান্দিল প্রশাসনের পরিপূর্ণ রদবদল ঘটিয়ে এ বছর শেষে অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্ট নির্বাচন তদারকের জন্য একটি নিরপেক্ষ মন্ত্রিসভা গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে।
কিন্তু গত বছর নিয়োগ পাওয়া টেকনোক্র্যাট প্রধানমন্ত্রী কান্দিল মন্ত্রিসভায় নতুন যে ৯ মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যে রয়েছেন ব্রাদারহুডের ফ্রিডম এণ্ড জাস্টিস পার্টির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা অমর দারাগ।তাকে পরিকল্পনা মন্ত্রী করা হয়েছে।
বিদায়ী মন্ত্রী আশরাফ আল আরাবির জায়গায় নিয়োগ পেয়েছেন দারাগ।আইএমএফ এর সঙ্গে বৈঠকের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় ছিলেন আশরাফ।তার জায়গায় দারাগকে নিয়োগের পদক্ষেপ আইএমএফ এর সঙ্গে ঋণচুক্তিতে পৌঁছার জন্য রাজনৈতিক মতৈক্য প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ব্রাদারহুডের আরেকজন সদস্য ইয়াহিয়া হামেদকে বিনিয়োগ মন্ত্রী করা হয়েছে।এছাড়া, ইসলামিক অর্থনীতিতে বিশেষজ্ঞ ফায়াদ আব্দুল মোনিমকে নতুন অর্থমন্ত্রী করা হয়েছে আগের মন্ত্রী আল-মুরসি আল-সাঈদ হেগাজির স্থলে।
মন্ত্রিসভায় এ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মিশরে মুরসি ও তার ইসলামিক দল এবং বিরোধীদলগুলোর মধ্যকার বিভক্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মেরুকরণই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মিশরে হোসনি-মুবারক পরবর্তী শাসনব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট মুরসি ও তার দল ব্রাদারহুড অাধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে বলেই অভিযোগ বিরোধীদের।
দেশের অর্থনীতি সচল করতে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে মুরসি গত ২০ এপ্রিলে মন্ত্রিসভায় রদবদল করার ঘোষণা দেন।