somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামু বেগুনিফোবিয়া! রোহিঙ্গা ইস্যু- আমাদের চলমানতা, আন্র্তজাতিক ভন্ডামি!!

১৫ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সামুর নতুন ভার্সনের প্রিভিউ পেজে যাওয়া মাত্র বেগুনিফোবিয়ায়;) আক্রান্ত হয়ে পুরানোটাতে ব্যাক করতে বাধ্য হই । রং জিনিষকে সুন্দর করে। কিন্তু মাত্রা এবং রুচির সার্বজনিনতা সব কম্বিনেশন পায়না বলেই জেনারেল, ইউনিক, ক্লাসিক, খ্যাত :) নানা বিশেষনে ভূষিত হয়।

সে কথা থাক। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্লগ পরিস্কার দুই ভাগে বিভক্ত। বিভক্ত বললেও কম বলা হবে। একদম ১৮০ ডিগ্রি ব্যবধান। এপার ওপার। পূর্ব পশ্চিমের চেয়েও বেশী যেন সে পার্থক্য!

মতভিন্নতা উনিশ-বিশ হলে বলা যায়। দশ বিশে তা ভিন্ন নাম ভিন্ন মাত্রা লাভ করে।

সবচে বিস্ময়কর লাগছে- কথিত মানবতা বাদী, যারা কথায় কথায় ধর্মকে আঘাত করে, নিজের নিধর্ম অবস্থানের পক্ষে বড় সাফাই দেয় তারা মানুষ, মানবতার কাজ করে, এটাই বড় ধর্ম- মানবতাবাদ। ধর্ম নাকি সেই জায়গা নষ্ট করেছে ইত্যাদি। কিন্তু তারাই আজ কুযুক্তির পাহাড় দাড় করিয়েছে এই মানবিক ইস্যুটিতে।
রোহিঙ্গার ইতিহাস, তাদের উপর বিগত ২ ৩ শত বছরের ধারাবাহিক নির্যাতন, সংখ্যা গুরু থেকে সংখ্যা লঘুতে পরিণত করার রাস্ট্রিয় অত্যাচার নিয়ে আমরা কথা বলছি না। আমরা সেই চাপ প্রয়োগের মতো শক্ত অবস্থানে যেতে পারিনি-নিজেদের অনৈক্য, উচ্চাশার অভাব, আন্র্তজাতিক ভাবে নিজেদের যোগ্য করার স্বপ্ন না দেখা ইত্যাদি নানাবিধ কারণে।
কিন্তু যে কোন বিপর্যয়ে, কারো পাশে দাড়ানো বা আশ্রয় দেয়ার মতো অবস।থানেও কি আমরা নেই?

সেই আশ্রয় যেমন মানবতার জন্য তেমনি আন্ত:রাষ্ট্রীয় সম্র্পক রিনিউ করতে, আন্র্তজাতিক ইমেজ বাড়াতে, তার মাধ্যমে দেশের লাভালাভের মূল্যায়নে
সর্বোপরি জাতিসংঘের শান্তি মিশনে যেখানে বাংলাদেশ একটা মার্কেবল রোল প্লে করছে- সেই অযুহাতেও আমরা শান্তির জন্য, শান্তির দোহাই দিয়ে এবং প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব সমাজের অংশ হিসাবেই এই গুরু দায়িত্ব পালন করতে পারি।
৭১এর ইস্যুকে যারা ভিন্ন বলছেন- তারা মূলত ভারতে ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে স্বীকার করছেন!
বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের আজ কি হল? তারা বাংলা ভাষী রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের পক্ষে দাড়িয়ে গেল!!!
ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তার কারণেইতো রোহিঙ্গারা তাদের সমর্থন পাবার কথা। কারণ মিয়ানমারও এই অজুহাতেও তাদের বিতারন করছে তারা বাংলা ভাষাভাষী । এই বাঙালী জাতীয়তাবাদের কারণেই ততকালীন উপজাতীয় পাহাড়ীরা বঙ্গবন্ধুর - তোরা সব বাঙালী হয়ে যা! এই কথায় একমত হতে পারেনি। যার ফলে আজ দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর ধরে পাহাড়ী- বাঙালী দুই সত্তবায় বিভক্ত!!
অথচ বাংলাদেশী জাতীয়তায় যার সহজ সমাধান আছে। আমরা সবাই বাংলাদেশী। পাহাড়ী, বাঙালী, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, ক্রীষ্টান, নিধার্মিক সবাই বাংলাদেশী।

চেতনার নামধারী, মানবতার ধ্বজাধারীদের নতুন আচরন ঐ বেগুনিফৌবিয়ার মতো চোখে লাগছে! তারাও যেন আন্র্তজাতিক ভন্ডামীর লোকাল ভার্সন!

সবচে অবাক লেগেছিল ঘটনার পরদিনই সংবাদপত্রে যখন দেখলাম জাতিসংঘ সহ সাহায্যকারী আন্র্তজাতিক ষংস্থাগুলো আরাকান থেকে অফিস গুটানোর খবর।
আবার অন্যদিকে লক্ষ্য করুন- তারা পূর্ব তিমুরকে স্বাধীন করে দেয় ২ মাসে!
তারা ইহুদী খ্রীষ্টান এবং রিলেটেড যে কোন ঘটনায় বিদ্যুৎ গতি ততপরতা দেখায়। বাস্তবায়ন করে। কিন্তু কাশ্মীরের স্বাদীনতার দাবী ৫০ বছরেও তাদের দৃষ্টিতেই স্থান পায়না।
ফিলিস্তিেনর বিষয়ে তারা চোখে কুলো এটে থাকে। আবার সিরিয়ার গণতন্ত্র উদ্ধারে তাদের কি কান্না!!!
তারা গাদ্দাফিকে মারতে যত ততপর- মিয়ানমারে ৪০ বছেরর সামরিক শাসনেও তাদের পশম বাকা হয়না!!
তারা ইরাক, আফগান দখলে ততপর! তারা আলজেরিয়ার নির্বাচিত দলকে হঠাতে সামরিক বাহিনীকে প্রশয় দেয়! কারণ দলটি মুসলিম । তারা ইরানকে সম্ভাব্যতার অযুহাতে দখল করতে চায়- অথচ ইসরাইলের হাতে মজুদ পারমানবিক অস্ত্র নিয়ে ভ্রুও তোলে না!!!!
হলফ করে বলতে পারি আল্লাহ না করুন কাল যদি শ্রুত ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব মতে কাল যদি পাবর্ত অঞ্চল খ্রীস্টান কোন নাম নিয়ে স্বাধীনতা দাবী করে -দ্রুততম সময়ে তা তারা বাস্তবায়নে উঠৈ পড়ে লাগবে!!

এবং আজকের বেগুনি সুশীল, মানবতাবাদী, চেতনাধারী যারা ---সবাই দেখবেন তাদের পিছনে কাতার বন্দী!!!!!!!!!!!!!!! তাই অন্যের মতো নয়, অন্যের ভয়ে নয়, কোন লোভে নয়--
আমরা আমাদের স্বকীয়তা ফেরত চাই।
আমরা আমাদের মতো করে ভাবতে চাই।
আমরা কারো রংয়ে রঙীন হতে চাইনা।

আমাদের মানবতাহোক আমাদের সবুজ জমিনের মতো উদার। আকাশের নীলের মতো সুন্দর। স্বকীয়তায় উজ্জ্বল। ভয়হীন, মূখাপেক্ষীহীন, আত্ম মর্যাদা সম্পন্ন। ব্লু হেলমেটে বিশ্বব্যাপী যেমন আমাদের সেনারা সুনামের অধিকারী, জাতি হিসাবেও আমরা তেমনি পরোপকারী, উদার, ণ্যায়, সৎ, সুন্দেরর পক্ষে, শান্তির পক্ষে এই ইমেজ নিয়ে বাঁচতে চাই।
চাই উচ্চাশা সম্পন্ন, ডেডিকেটেড, বিশ্বনেতৃত্বের আকাঙখী, বাংলাদেশের একদল গর্বিত বাংলাদেশীর। যারা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের পতাকাকে তুলে ধরবে ভয়হীন, শংকাহীণ, নিজের মতো করে।



১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×