গত প্রায় ১ মাস ধরে অর্ধশতাধিক বাংলাদেশিকে জিম্মি করে রেখেছে পাচারকারী দালাল চক্র। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের উপকূলীয় এলাকঅয় মৎস শ্রমিক হিসেবে কর্মরত এসব বাংলাদেশিকে ট্রলারযোগে গ্রিসে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে দালাল চক্র বাংলাদেশি মুদ্রায় এক থেকে দেড় লাখ কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এরপর তাদেরকে ট্রলারে করে ইরান উপকূলে নামিয়ে সেখান থেকে পাশের দেশ তুরস্কের সীমান্ত অতিক্রম করে। এরপর অজঞাত এক স্থানে সবাইকে আটকে রেখে বাংলাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্যে চাকরিরত স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ চাইতে থাকে। সাড়ে ৩ লাখ করে টাকা না দিলে তাদেরে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় ইরানি ও বাংলাদেশি দুর্বৃত্তরা।
এই যে মানবতাবাদী ,ইসলামের রক্ষক ভাইয়েরা, বার্মার মুসলিম রোহিংগাদের জন্য তো আপনারা নাওয়া -খাওয়া ছেড়ে দিসেন। বেশি কিছি আর করা লাগবে না, নিজ দেশের বাংলাদেশী ভাইদের বাচাঁনোর জন্য আপনারা কি পদক্ষেপ নিয়েছেন ? আপনাদের মানবতা কি বলে ?
মুক্তিপণের টাকা পেয়েও ইরান-তুরস্ক সীমান্তের অজ্ঞাত স্থানে বন্দি বাংলাদেশিদের মুক্তি দেয়নি অপহরণকারীরা।
উল্লেখ্য, গত প্রায় ১ মাস ধরে অর্ধশতাধিক বাংলাদেশিকে জিম্মি করে রেখেছে পাচারকারী দালাল চক্র। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের উপকূলীয় এলাকঅয় মৎস শ্রমিক হিসেবে কর্মরত এসব বাংলাদেশিকে ট্রলারযোগে গ্রিসে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে দালাল চক্র বাংলাদেশি মুদ্রায় এক থেকে দেড় লাখ কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এরপর তাদেরকে ট্রলারে করে ইরান উপকূলে নামিয়ে সেখান থেকে পাশের দেশ তুরস্কের সীমান্ত অতিক্রম করে। এরপর অজঞাত এক স্থানে সবাইকে আটকে রেখে বাংলাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্যে চাকরিরত স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ চাইতে থাকে। সাড়ে ৩ লাখ করে টাকা না দিলে তাদেরে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় ইরানি ও বাংলাদেশি দুর্বৃত্তরা।
দুর্বৃত্তদের অ্যাকাউন্টে খোঁজ নিন
এদিকে, অনেক দেন-দরবার করেও সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল বা ওইসব দেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোর কোনো ধরনের তৎপরতা দেখতে না পেয়ে অবশেষে বাধ্য হয়েই অপহরণকারীদের নির্দেশিত ব্যাংক অ্যকাউন্টে মুক্তিপণের টাকা জমা দেয় স্বজনরা।
দিক কয়েক আগে তাদের দেয়া ইসলামী ব্যাংক সুনামগঞ্জ শাখার ৬০৫৯ হিসাব নম্বরে জনৈক রেজাউর রহমানের নামে টাকা জমা দেন ইরান-তুরস্ক সীমান্তে আটক বাংলাদেশি সানাউল্লাহ এবং তার সাথীদের পরিবার।
সানাউল্লাহর ভাই সৌদি আরব প্রবাসী আতিকুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, “আমাদের আশংকা ছিলো টাকা দেয়ার পরেও তারা মুক্ত হবে কিনা- সেই আশংকাই এখন সত্যি হতে চলেছে!”
তিনি আরো বলেন, “ভাইকে জীবিত দেখার জন্য একপ্রকার নিরুপায় হয়েই আমরা টাকা দিয়েছি গত বুধবার। কিন্তু তারা (অপহরণকারীরা) তাদের কথা রাখেনি।
দুর্বৃত্তদের হাতে বন্দি স্বজনদের চিন্তায় নাওয়া-খাওয়া ভোলা পরিবারগুলোর সদস্যরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে মিনিত করে বলেন, তারা যেনো ঐ হিসাব নাম্বারটি কার এবং কি কাজে সেটি ব্যবহার হচ্ছে তা দেখে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৬