মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে পাহাড়সম সমস্যা বাংলাদেশের আজকের নয়। বলা যায় বেশ বিপাকেই আছে দেশ। দেশের অভ্যন্তরে মাদক চোরাচালান থেকে শুরু করে নানা সমস্যার জন্য দায়ী করা হয় রোহিঙ্গাদের, বিদেশেও রোহিঙ্গাদের জন্য বড় ঝামেলায় বাংলাদেশিরা। তাই উটকো ঝামেলা ডেকে আনতে চাইছে না সরকার। তাছাড়া কে জানে, সরকার হয়তো জানে যে, এর পিছনে আসল উদ্দেশ্যটা কি কাজ করছে। তাই এতোসব সমালোচনা সত্ত্বেও কড়া নজরদারি আরোপ করা হয়েছে সীমান্তে, যাতে কোন ফাঁকফোকর দিয়েই কেউ না ঢুকতে পারে। বিতর্ক উঠেছে সারাদেশ জুড়ে। কেউ বলছে মানবতার পাশে দাঁড়াতে, কেউ বলছে এটা আন্তর্জাতিক ইস্যু। মিয়ানমারকেই এ সমস্যার সমাধানে বাধ্য করতে হবে।
কিন্তু বিক্ষুব্ধ জলরাশি পাড়ি দিয়ে যে মানুষগুলো আজ নৌকায় করে আশ্রয় চাইছে, বাঁচার জন্য কাঁদছে, তারা বিশ্ব রাজনীতির মারপ্যাঁচে পড়ে কত দিন, কত ঘন্টা বেঁচে থাকবে, কে জানে। আমরা যখন সাধারণ কিছু মানুষ মানবিকতার দোহাই তুলে যোগাযোগের সামাজিক মাধ্যমগুলো তোলপাড় করছি, তখন মিয়ানমার তথা বিশ্বের শান্তির দূত বলে পরিচিত অং সান সুচি বেড়িয়েছেন বিশ্ব ভ্রমণে। ১৯৯১ সালে পাওয়া শান্তিতে নোবেল পুরস্কারটিও তিনি এবার গ্রহণ করবেন নরওয়ে থেকে।
সব ঠিক আছে। কথা হলো, যার দেশে এতোসব অমানবিকতা ঘটছে, যার দেশে শান্তির ব্যাঘাত ঘটেছে, সেই দেশটিরই শান্তির দূত কিভাবে পারছেন এসময়ে দূরে থাকতে? তাহলে কি তিনি সরে গেলেন তাঁর ভিতরের 'মানুষ'টা থেকে?????