অনাগত ভবিষ্যতের কথা ভাবি
যে ভাবনা চলে গেছে অনাদি-অনন্তের পানে।
একবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে বসে
ভাবছি- কেবল দু’সহস্র বছর হলো
আমি গুণতে শিখেছি !
সামনে আর কতটা পথ যে পাড়ি দিতে হবে
আল্লাহ্ই মালুম !
হাইওয়ে বানিয়েছি, উড়াল সেতু, আন্ডার পাস,
ইদানীং আবার সাবওয়ে না হলে টিউব ।
শা শা করে ছুটে চলেছে গাড়ী, ট্রেন- কোথায় যে?
বুঝতে বুঝতে আমার কম্ম সাড়া,
ট্রেন ফসকিয়ে নির্জন ষ্টেশনে আমি- কাঁপছি একা
আর ভাবছি অনাগত ভবিষ্যতের কথা ।
ঠিক আজ থেকে একশ বছর আগে
এই দিনে, এই ঘণ্টায়, এই মিনিটে
কি ঘটেছিল পৃথিবীর বুকে?
ইতিহাস ঘাটবার সময় নাই
ভবিষ্যত নিয়ে ব্যস্ত আমি......
হয়তোবা এই দিনে রাশিয়ায় জারের সাথে
লড়াইয়ে নেমেছিল হাজার হাজার লেনিন,
আমেরিকার কোন বারে নর্তকীর নৃত্যের
তালে- ডলার উড়িয়েছিল উইলিয়াম ।
ভারতবর্ষে টলমল করছিল রাণী ভিক্টোরিয়ার আসন;
চীনে মাওসেতুং প্রস্তুতি নিচ্ছিল- কুংফু শিখতে যাবে,
কে জানতো ভবিষ্যতটাই অন্যভাবে লেখা ছিল !
রাস্তার ধারে সিগারেট ধরিয়ে ছবি আঁকছিল হিটলার,
কি জানি-কোন ধ্বংসযজ্ঞের ছবি কিনা?
আইন্সটাইন চিন্তিত ছিলেন ছোট ছেলেটির জ্বর
ঔষধ নিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে হবে।
আর নোবেল কমিটি প্রস্তুতি নিচ্ছিল রবিবাবু কে পুরস্কার দিতে হবে।
আশ্চর্য মিল ছিল এদের মাঝে
ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে ভাবতে
সবাই কেমন যেন দীর্ঘশ্বাস ছেড়েছিল।
চারিদিকে শুধু শুধু নেই আর নেই, নিত্যসঙ্গী ক্ষুধা, মৃত্যু
হাহাকার............... দীর্ঘশ্বাস ।
আজ ঠিক একশ বছর পর-অবাক আমি
মৃত্যু, ক্ষুধা, হাহাকার আর যুদ্ধ- কারণ সব একই
ভবিষ্যত নিয়ে ভাববার আমার,
কি উপায় যে করি দীর্ঘশ্বাসগুলো এড়াবার?