somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিয়ানমারে নির্বিচারে মুসলমান শহীদ, মুসলমান নারীদের সম্ভ্রম লুণ্ঠন! কোথায় খ্রিস্টানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রগঠনকারী জাতিসংঘ? বাংলাদেশ এখনও মিয়ানমারের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে না কেন?

১২ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে পত্রিকাগুলোতে রাখাইনদের সম্পর্কে হেডিং হয় এভাবে: “সৈকতে রাখাইনদের জন্য বর্ষা উৎসব” “সাংগ্রে উৎসবের জন্য সাজছে কক্সবাজারের রাখাইন পল্লী।” “মঙ্গলিক পানি ছিটিয়ে পাপমুক্ত জলকেলী উৎসবে প্রাণের উচ্ছ্বাস।” “সকল অসঙ্গতি পানির ছোঁয়ায় মুছে দিলো কক্সবাজারের রাখাইনরা”, “কক্সবাজার রাখাইন সম্প্রদায়ের মাঝে উৎসবের আমেজ।”

সব পত্র-পত্রিকার মূল খবর ছিলো- “কক্সবাজার সহ জেলার ২৬ প্যান্ডেলে চলছে রাখাইনদের সাংগ্রে উৎসব। মাংগ্রেং উৎসবকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এ ছাড়া পুলিশের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাদা পোশাকধারী সদস্যরা টহলে রয়েছে।

গত রবিবার পালিত হয়েছে রসমা ফারা রিসো পোওয়ে। যার অর্থ প্রতিটি ঘরে ও গ্রামে বৌদ্ধের স্নান উৎসব।

এর আগে গত ১৪ এপ্রিল শনিবার রাখাইন সম্প্রদায়ের সর্ব বৃহৎ সামাজিক উৎসব মহা সাংগ্রে পোওয়ে বা ৩ দিন ব্যাপী পানি খেলা উৎসব শুরু হয়।

মঙ্গলবার তা জলকেলির মাধ্যমে শেষ হবে। পুরানো বছরের কালিমা মুছে নতুন বছরের শুভ কামনায় কক্সবাজারের রাখাইন পল্লীগুলোর অধিবাসীরা আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে।

নানা রকমের কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে উৎসব আর উচ্ছ্বাসের জোয়োরে ভাসছে রাখাইন পল্লীগুলো। পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার ৮টি উপজেলার রাখাইনদের ঘরে ঘরে সাংগ্রে উৎসবের আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে।”

উল্লেখ্য, রাখাইনদের সম্পর্কে স্বাধীনতা উত্তর এভাবেই পত্র-পত্রিকায় খবর পরিবেশিত হয়ে আসছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে রাখাইনরা অত্যন্ত আরামে, নিরাপদে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আছে। কিন্তু সে রাখাইনবাসী মিয়ানমারে অসহায় মুসলমানদের উপর নির্বিচারে চালাচ্ছে গণহত্যা, গণসম্ভ্রমহরণ, গণলুণ্ঠন তথা মহা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।



গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের সীমান্ত শহর মংডুতে রাখাইন ও মুসলমানদের উপর সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দেশটির সীমান্ত রক্ষীবাহিনী নাসাকা ও রাখাইনরা একযোগে মুসলমানদের এলাকা ঘেরাও করে রেখেছে। তারা মুসলিম যুবতীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে। নাসাকা বাহিনী নির্বিচারে গণগ্রেফতার করছে মুসলিম যুবকদের। রাখাইনরা মুসলিম চিকিৎসক, শিক্ষকসহ যাকে যেখানে পাচ্ছে পিটিয়ে মেরে ফেলছে, জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ড চালাচ্ছে। মুসলমানদের বাড়ি-ঘর লুটপাট করছে। অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিচ্ছে সহায়-সম্পদ। মসজিদে আগুন দিচ্ছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট রুট এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে এপার-ওপার সীমান্ত বাণিজ্যসহ সব ধরনের ব্যবসা। পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠায় আরাকানে সেনাবাহিনী পাঠিয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। সে দেশে আটকা পড়েছে ৫৫ জন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবি।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, মিয়ানমারের আকিয়াব শহরের রামব্রী গ্রামের এক রাখাইন শিক্ষিকা কর্তৃক ছাত্র পিটানোকে কেন্দ্র করে অভিভাবক ও শিক্ষকদের গালিগালাজ ও উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১ শিক্ষিকা মারা যায়। এর সূত্র ধরে আকিয়াব শহর থেকে গাড়িযোগে ছয় উসূলী জামাতের একটি দল ইয়াঙ্গুন যাওয়ার পথে ৩ জুন টংগু নামক স্থানে পৌঁছলে রাখাইন যুবকরা গাড়ির হেলপারসহ ছয় উসূলী জামাতের ১০ সাথীকে পিটিয়ে হত্যা করে। ড্রাইভার কৌশলে পালিয়ে গিয়ে টংবু ইমিগেশনকে অবহিত করে। ইমিগ্রেশন এসব লাশ ৪ জুন টংগু থেকে টানডুয়ে (চাদা) শহরে নিয়ে যায়। নির্মম এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ও বিচারে দাবিতে ৫ জুন বাদ যোহর ও আসরের নামায শেষে মুসলমানরা ইয়াঙ্গুন শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ ঘটনায় মুসলিম অধ্যুষিত পুরো আরাকান রাজ্যে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় ইয়াঙ্গুনে শীর্ষ মুসলিম নেতারা বৈঠক করে।



৮ জুন পুরো আরাকানে জুমুয়ার নামাযে মুসল্লিরা সমবেত হতে থাকে। মংডু শহরের মারকাজ মসজিদে জুমা নামায চলাকালে মংডু বৌদ্ধদের ইউনাইটেড হোটেল থেকে মসজিদে ও মুসল্লির উপর পাথর নিক্ষেপ করে। ফলে বিক্ষুব্ধ মুসলমানরা ইউনাইটেড হোটেলে হামলা চালায় এবং জুমা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করতে চাইলে এতে নিরাপত্তা বাহিনী বাধা দেয় এবং লুণ্ঠিন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে মুসলমানদের দমাতে চেষ্টা করলে তারা আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এতে নাসাকা বাহিনীর গুলিতে শত শত মুসলমান শহীদ হয়।

এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, সমগ্র মংডুতে টাউনশিপের আমপাশের গ্রামে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। রাখাইনরা মুসলমানদের উপর বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুড়লে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। গুলিবর্ষণ চলতে থাকে সংঘর্ষে নাসাকার গুলিতে নিহতের সংখ্যা ২৫ জন ও রাখাইনদের হাতে ৮০ জন শহীদ হয়।

মিয়ানমারে ব্যাপকভাবে মুসলিম-রাখাইন সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে আটকে পড়া ৫৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ৩৯ বাংলাদেশি নাগরিক মংডু টাউনশিপ থেকে ১০ জুন দুপুর ২টায় টেকনাফ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ফিরে এসেছে। ফিরে আসা ব্যক্তিরা টেকনাফ স্থলবন্দরে ট্রানজিট ঘাটে ফিরে এসে মিয়ানমারে মুসলমানদের উপর হত্যা-নির্যাতন ও লুটপাটের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন সাংবাদিকদের কাছে। ফিরে আসার পথে গতকাল রোববার সকালেও রাহাজান বিবি নামের এক মুসলিম কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করেছে মিয়ানমার পুলিশ। সে ঘাট এলাকায় পিঠা-পায়েস বিক্রি করত। আটকে পড়া বাংলাদেশিরা গত শুক্রবার থেকে মুহুর্মুহু গুলির শব্দে আতঙ্কের মধ্যে কাটিয়েছে।

গত ৩ দিন ধরে তারা হোটেল থেকে বের হতে পারেনি এবং ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারেনি। তাদের বর্ণনামতে, সে দেশে মুসলমানদের উপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে রাখাইন ও মিয়ানমার প্রশাসন। তারা জেনেছে মুসলমানদের হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলা হচ্ছে, আবার মুসলমানদের লাশের মাথা ন্যাড়া করে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী বলেও চালানোর চেষ্টা চলছে। লুটপাট চালানো হচ্ছে মংডু শহরে মুসলমানদের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। পুলিশ পাহারায় রাখাইনরা হামলা চালাচ্ছে মুসলমানদের উপর।

সর্বশেষ অবস্থা হিসেবে জানা গেছে, মিয়ানমারের মংডুসহ কয়েকটি শহরে রোহিঙ্গাদের সাথে রাখাইন ও স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও দাঙ্গা হাঙ্গামার পর গতকাল রাত ৭ টার পর থেকে রাখাইন প্রদেশে সামরিক শাসন (মাশার্ল ল ) জারী করেছে মিয়ানমার সরকার। সন্ধার পর থেকে রাখাইন প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয় বলে মিয়ানমার থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে। এদিকে সন্ধ্যার পর মংডু শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৩ টি মুসলিম গ্রামে নতুন করে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।



অর্থাৎ মিয়ানমার খোদ রাষ্ট্রীয় ও সামরিক পৃষ্ঠপোষকতায় রাখাইন কর্তৃক মুসলিম গণহত্যা চলছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো- জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত নির্বিকার, নিষ্ক্রিয়, নীরব। যে জাতিসংঘ খ্রিস্টানদের গায়ে একটু টোকা লাগলে আর্তচিৎকার দিয়ে উঠে। যে জাতিসংঘ খ্রিস্টানদের উপর নির্যাতন হচ্ছে বলে তাদেরকে আলাদা রাষ্ট্র করে দেয় সে জাতিসংঘ মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যার ব্যাপার নিশ্চুপ, নিথর।

অপরদিকে খ্রিস্টানদের কোন কিছু হলে খ্রিস্টান দেশগুলো মুসলিম দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সাবধান করে দেয়। কড়া কথা শুনিয়ে দেয়। কিন্তু মুসলমান অধ্যষিত দেশ বাংলাদেশ অথবা ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান বা ও আইসি কেউই মিয়ানমারের দূতাবাসকে ডেকে কিছু বলছে না! প্রকাশ্যে বিবৃতি দিচ্ছে না! সংসদেও আলোচনা করছে না! এটাইকি তবে নয়া বিশ্ব ব্যবস্থা! এসবকিছুই কি হলো গণতন্ত্র চর্চা! এই ব্যবস্থায় শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারীরা হয় “সন্ত্রাসী”! আর অশান্তি ও অন্যায়ের স্বপক্ষ শক্তি হচ্ছে বিশ্ব শান্তির অভিভাবক! যারা ইসলাম ও মুসলমানদের পক্ষে কথা বলতে শিখেনি! তা পারেও না! অতএব সচেতন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকেই একথা বুঝতে হবে এবং বিশ্বব্যাপী মুসলিম অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলা শিখতে হবে।
১৯টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×