এ সময় ইরানি নাগরিকদের আইনী সহায়তা না দেয়ার জন্য তেহরানের পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, তাদেরকে আইনজীবী ব্যবহারের সুযোগ না দেয়ায় আন্তর্জাতিক রীতিনীতি এবং মানবাধিকার আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইরানি নাগরিকদের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানের অভিযোগ এনেছিল সৌদি আরব।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বারস্থ হবে তেহরান। ইরানে নিযুক্ত সৌদি চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তেহরানের প্রতিবাদের কথা রিয়াদকে অবহিত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
গত এপ্রিল মাসে একটি সৌদি নিউজ চ্যানেল খবর দিয়েছিল, সৌদি আরবে আট ইরানি নাবিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। টিভি চ্যানেল 'আত-তাগির' জানিয়েছিল, ১৫ এপ্রিল সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দাম্মাম শহরের একটি কারাগারে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। পাঁচ বছর আগে সৌদি নৌ সেনারা আন্তর্জাতিক পানিসীমা থেকে ওই আট ইরানি নাবিককে আটক করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য চোরাচালানের অভিযোগ আনা হয়।
তবে গত ১৮ এপ্রিল ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি সৌদি আরবে ইরানি নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার খবর নাকচ করে দিয়ে বলেছিলেন, ওই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছে বলে রিয়াদ তেহরানকে জানিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হলো। সৌদি আইনে সাধারণতঃ শিরোশ্ছেদ করে আসামীদের প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১২ ভোর ৬:৩৭