somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ষণ করো ধর্ষণ, আমি হবো জামিনদার

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হেডিং দেখেই যারা কোপাইতে দৌড়ায়া আসছেন, তাগো ডড়ায়াই কতাইছি, পোষ্ট পৈড়া লন আগে। :-*

পৃথিবীতে সবচে আপন যদি কেউ থেকে থাকে সেই জন "মা" ছাড়া আর কেউ নয়। সেই মায়ের সৃষ্টি কিন্তু পুরুষ জাতি থেকে নয়, নারী জাতি থেকেই। সে পথ ধরেই যদি আপনি নারী জাতিকেই সম্মান প্রদর্শনে অপরাগ, অনিচ্ছুক হন তাহলে পক্ষান্তরে আপনি মা'কেই অপমানিত করলেন।

নারী মানে সুন্দরের প্রতীক, নারী মানেই স্বর্গীয় সুখ, নারী মানেই শ্রদ্ধার পাত্র, নারী মানেই ভালবাসার পেয়ালা। নারী মানেই ফুটন্ত সুভাষিত ফুল।

নারীতে নারীতে দ্বন্দ্ব, পুরুষে পুরুষে দ্বন্দ্ব, নারীতে পুরুষেও দ্বন্দ্ব, মনোমালিন্য, কলহ, বিদ্ধেষ, রাগারাগি চলতেই থাকবে মানবীয় প্রাকৃতিক গুনাবলীর কারণেই। ব্যক্তি ঈর্ষাপরায়নতা, ব্যক্তি বিরক্তিবোধ, ঘৃণাবোধ, রেষারেষির ফলেই সৃষ্ট সমস্যা থেকেই একে অপরের উপর প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে পড়ে অনেকেই। সেটা রুপ নেয়, মারামারিতে, খুনাখুনিতেও শেষ অবধি।

কিন্তু যে কোন কারণেই হোকনা ক্নে একজন নারীর প্রতি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে কি করে ধর্ষণে লিপ্ত হওয়া যায় তা আমার বোধগম্য নয়। অনেকটা সময় তা দেখা যায় কোন কারণ ছাড়াই নিজ উত্তিপ্ত লিঙ্গের উত্তেজনা নিবারনেই কেবল একটা নারীর জীবন তচনচ করে দিয়ে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে হায়েনা রুপে ধর্ষক হয়ে।

ধর্ষন জিনিসটাই কত ভয়ানক তা ভেবেই আমি শিউরে উঠি। কি অমানবিক, কি করুন, কি অত্যাচার, কি নিদারুন অপমানকর এবং কি রকম হিংস্রতা ভর করলেই একজন নারীকে একজন পুরুষ ধর্ষণ করতে পারে তা ভেবেই আমি বিস্মিত হয়ে পড়ি।


অনেক্কেই বলতে শুনি ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যু দন্ড। আমি বলি না, কখনোই না। তাদের এক মুহুর্তেই মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে নিঃশেষ করে দেয়া যায়না। একজন পুরুষ হয়েই লজ্জার মাথা খেয়েই বলছি তাদের লিংগ কেটে চিরদিনের জন্য কষ্ট লালনের সুযোগ করে দেয়ায় উত্তম।

যখন শুনি একজন পুরুষ কতৃক একজন নারীর ধর্ষণের খবর, তখন একজন পুরুষ হয়ে নিজেকে লজ্জায় মুখ দেখাতেও ঘৃনা বোধ হয়, সেখানে কি করে একজন নারী সেই ধর্ষকের সাহায্যার্তে এগিয়ে যায়?

একজন নারী হয়ে যদি আরেক নারীর কষ্ট না বুঝে, তাহলে সেতো নারী হয়ে নারী নামের কলঙ্ক। একজন নারীকে একটা হায়েনা রেপ করল, আর সেই রেপিস্টকে সাহায্য করে আরেক নারী ৫ হাজার টাকায় জামিন দিয়ে, আমরা পুরুষ এত চিল্লায়া লাভটা কি??


এই একটা জায়গায় যদি দেশের কোন ক্ষেত্রই যদি এগিয়ে না যেত তাদের সাহায্যার্তে, পুলিশ যদি তাদের প্রতি সদয় না হত, কোর্ট কাচারীতে কোন উকিল মোকতার, ব্যারিষ্টার যদি তাদের সাহায্যে কেইস হাতে না নিত, তাহলে এই ধর্ষণকারী শুয়োরগুলো রেহায়তো পেতইনা, অন্য কোন হায়েনাও সেই অপরাধে জড়িত হবার সাহসটুকুও পেতনা।


আজ যদি ওই রেপিষ্টকে জামিন দেয়া মহিলাটিকে ১০ জন পুরুষ গনহারে ধর্ষণ করে তাহলে আমি বিন্দু মাত্র বিচলিত হবোনা। বরং আমি তাদেরকে নিজের টাকা দিয়েই জামিন নিয়ে আসব। কারণ, একটা নারীর জন্য ধর্ষণটা কত ভয়ানক, কতো কষ্টের, কত অপমানের, কত দুর্বিসহ তা ওই মহিলার বুঝা উচিত।


উপরের ছবিটি
ইনি-ই সেই মহীয়সী নারী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আলী।
চিটাগাং ইউনিভার্সিটির ল/ ১০ম ব্যাচের ছাত্রী।
ইনি একজন রেপিস্টকে জামিন মঞ্জুর করেছেন ৫ হাজার টাকায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
১৩টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×