দুদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন ৫০০০ কোটি টাকার সবই তুলে নিয়েছে ডেসটিনি
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ডেসটিনি গ্রুপের ৩৭টি প্রতিষ্ঠান এবং এর পরিচালক ও স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা হয়েছে চার হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে চার হাজার ৯৭৫ কোটি টাকাই তুলে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো প্রাথমিক প্রতিবেদনসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনমতে, ডেসটিনি গ্রুপের ৪৪৩টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। ২৫২টি ব্যাংক হিসাব বর্তমানে বন্ধ। বাকিগুলোতে স্থিতি রয়েছে মাত্র ১৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রুপের প্রধান তিনটি কোম্পানি ডেসটিনি ২০০০, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নামে থাকা ২৮১টি হিসাবে স্থিতি রয়েছে মাত্র ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে জনগণ থেকে তারা এযাবৎ কত টাকা তুলে নিয়েছে, প্রতিবেদনে সেই হিসাব নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এই তথ্যও বের করা যাবে। তবে কিছুদিন সময় লাগবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ১১৩টি শাখা এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ২০টি শাখা রয়েছে। এসব শাখা ছাড়াও বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে তারা জনগণ থেকে অর্থ নিয়ে এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা করেছে। কোম্পানি তিনটির হিসাবে জমা করা অর্থ নিজ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন হিসাব ছাড়াও গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরিত হয়েছে।
৩১ মার্চভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের মোট সম্পদের পরিমাণ তিন হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে তারা বিভিন্ন প্রমোশনাল কার্যক্রমে ব্যয় দেখিয়েছে ৭১০ কোটি টাকা। এর আগে ২০১০ সালের ৩০ জুন এই প্রতিষ্ঠানের সম্পদ দেখানো হয়েছিল ৭৩১ কোটি টাকা এবং ২০১১ সালের ৩০ জুন ছিল দুই হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। তাই এত অল্প সময়ের ব্যবধানে কী করে এত বেশি সম্পদ দাঁড়াল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গ্রুপের এই তিনটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের হিসাবেও উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়েছে। তবে হিসাবগুলোর বর্তমান স্থিতি উল্লেখযোগ্য নয়। এসব হিসাব থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন, ডেসটিনি ২০০০-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন, ডিএমডি গোফরানুল হক, পরিচালক সাঈদ-উর-রহমান, মো. মেসবাহউদ্দিন স্বপন, শেখ তৈয়েবুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, জামসেদ আরা চৌধুরী, ফারহা দীবা, ফরিদ আক্তার প্রমুখের হিসাবে স্থানান্তরিত হয়েছে।
এ ছাড়া গ্রুপের পরিচালকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান রোটি হারবাল, রোটি ফার্মাসিউটিক্যালস, অটো স্পেস, রশীদ কৃষি খামার, প্রগতি সিস্টেমস, সফটক অনলাইন (প্রা.) লিমিটেড, ডেসটিনি সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং লিমিটেড প্রভৃতি হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া প্রচ্ছায়া (প্রা.) লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির হিসাব থেকে ৭৮ কোটি টাকাসহ শতাধিক কোটি টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ডেসটিনি ২০০০, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে জনগণ থেকে বেশির ভাগ অর্থ উত্তোলন করেছে ডেসটিনি গ্রুপ, যে কারণে প্রথমেই এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য দুদককে সরবরাহ করা হলো। ডেসটিনির অন্য সব প্রতিষ্ঠানের বিষয়েও কাজ চলছে।
সুত্র : প্রথম আলো
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফিরে দেখা - ১৩ মে
১৩ মে ২০০৬
দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
কাঁচা আম পাড়ার অভিযান
গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন