somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাহারার ‘মাতৃভূমি’ উন্নয়ন !!!

১০ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দীর্ঘদিন ধরে ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পনসর বা হালের আইপিএলএ পুনে ওয়ারিয়র্সের মালিক ‘সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার’ নিয়ে আমাদের এত দিন তেমন কৌতূহল না থাকলেও কোনো সমস্যা ছিল না। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সিতে এখন উঠবে সাহারার লোগো। আর বাংলাদেশে আবাসন খাতে বিনিয়োগের জন্য সমঝোতা স্মারক সই করেছে সরকারের সঙ্গে। যেনতেন বিনিয়োগ নয়, পুরো একটি ‘নতুন ঢাকা’ গড়ে তোলার বিনিয়োগ প্রস্তাব। এ জন্য সাহারার চাওয়া হচ্ছে ঢাকার আশপাশে অন্তত ১০০ একর থেকে এক লাখ একর জমি। বিনিয়োগের পরিমাণ ৮০০ কোটি টাকা। সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের ব্যাপারে কৌতূহলী না হয়ে আর উপায় কী!

১৯৭৮ সালে মাত্র ২০০০ হাজার রুপি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন মায়ের দিক থেকে বাংলাদেশের বিক্রমপুরের সঙ্গে নাড়ির যোগ থাকা সুব্রত রায় সাহারা। তাঁর হাতে গড়ে ওঠা আজকের ‘সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের’ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইন্ডিয়া টুডের বিবেচনায় ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন সুব্রত রায়। ২০০৪ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাঁর প্রতিষ্ঠানকে ‘ভারতের রেলওয়ের পর সবচেয়ে বেশি লোকের কর্মসংস্থানকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আবার ভারতে সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যবসায়ীদের তালিকায়ও তাঁকে রাখেন অনেকে। বলা হয়, সাহারা গ্রুপের খুব কম বিনিয়োগই লাভ করতে পেরেছে। কিন্তু সুব্রত রায় জানেন কীভাবে নিজেকে সব সময় ‘পাদপ্রদীপের আলোয়’ রাখতে হয়, কীভাবে সঠিক রাজনৈতিক যোগাযোগটি বজায় রাখতে হয়।
সাহারা গ্রুপের খুব কম বিনিয়োগই যদি লাভের মুখ দেখে থাকে, তবে এই প্রশ্নটি খুবই স্বাভাবিক যে এত অল্প সময়ে এই প্রতিষ্ঠানটি এত বড় হলো কী করে? অবকাঠামো, আবাসন, গণমাধ্যম ও বিনোদন, ভোগ্যপণ্যের খুচরা বিপণন, হোটেল, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মতো নানা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলেও মূল ব্যবসাটি আসলে অর্থ নিয়ে, আর্থিক ব্যবসা। নানা ডিপোজিট স্কিমের ব্যবসা। ‘সাহারা মাইনর’, ‘সাহারা সুপার’ বা ‘সাহারা এমআইএস’ এ ধরনের নানা ডিপোজিট স্কিমের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে সাহারা ইন্ডিয়া ফিন্যান্সিয়াল করপোরেশন। এই ডিপোজিট স্কিমের কোনোটির প্রতিদিনের কিস্তি এক রুপি! ১০০ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার দেশ ভারতে এভাবে অর্থ সংগ্রহের চেয়ে সহজ পথ আর কী হতে পারে। বিষয়টি অনেকটা যেন বাংলাদেশের ডেসটিনির অর্থ সংগ্রহের মতোই। ভারতের আর্থিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ নাকি এখন বাংলাদেশের এমএলএম কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সাহারার তুলনা করছেন। কারণ, একই ধরনের অবৈধ ব্যাংকিংয়ের অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। সাহারা গ্রুপের এভাবে অর্থ তোলা নিয়ে বছর চারেক আগেই প্রশ্ন তোলে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, এই ক্ষুদ্র আমানতকারীরা খুব স্বাভাবিক কারণেই অসংগঠিত এবং তারা ‘সাহারা গ্রুপ ও তাদের এজেন্টদের কাছে জিম্মি’।
‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া’ বা এসইবিআই সাহারা গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহ করা প্রায় ১৯ হাজার কোটি রুপি আমানতকারীদের ১৫ শতাংশ সুদসহ ফেরত দিতে বলেছে। সাহারা ইন্ডিয়া রিয়েল এস্টেট করপোরেশন লিমিটেড (বর্তমান নাম সাহারা কমোডিটি সার্ভিসেস করপোরেশন লিমিটেড) ২০০৮ সালে সাহারা হাউজিং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ শুরু করে। ‘অপশনালি ফুললি কনভার্টেবল ডিবেঞ্চার’ (ওএফসিডি) বা রূপান্তরযোগ্য বন্ডের মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়। ভারতের আইনে এ ধরনের শেয়ার বিক্রির সুযোগ নেই। বিষয়টি ধরা পড়ার পর গত বছর জুনে এসইবিআই ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সিকিউরিটিজ অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের (এসএটি) ধারণা অনুযায়ী, দুটি প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহ করা অর্থের পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার কোটি রুপি।
সিকিউরিটিজ অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে এসইবিআইয়ের এই নির্দেশের পক্ষে রায় নিয়েছে। ‘আমরা বিস্মিত যে দুটি কোম্পানিই (সাহারা কমোডিটি ও হাউজিং) সংশয়হীন আমানতকারীদের কাছ থেকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি রুপির মতো অর্থ সংগ্রহ করেছে, কিন্তু আমানতকারীদের জন্য কোনো ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্যও এসইবিআইকে (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া) জানানো হয়নি। এটা পুঁজিবাজারের যে একটি রেগুলেটরি ব্যবস্থা রয়েছে, তার প্রতি অবজ্ঞা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই অবস্থায় এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এসইবিআইয়ের নেওয়া ব্যবস্থা যুক্তিযুক্ত’—এই মন্তব্য সিকিউরিটিজ অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে সভাপতিত্বকারী কর্মকর্তা এন কে সোধির। সাহারা গ্রুপ এ নিয়ে আদালতে গেছে। বিষয়টি এখন ভারতের উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
‘সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার’ সম্পর্কে এ ধরনের নেতিবাচক নানা তথ্য রয়েছে ঠিকই, কিন্তু এর পরও এই প্রতিষ্ঠানটির স্রষ্টা সুব্রত রায় সাহারা ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০ ব্যক্তির একজন। তিনি বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন এবং এখানে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। এ দেশের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র যেহেতু মায়ের মাধ্যমে, বাংলাদেশ তাই তার ‘মাতৃভূমি’ বটেই! যে প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমে তিনি এখানে বিনিয়োগ করতে চান, সেটির নাম ঠিক করেছেন এসব মাথায় রেখেই, ‘সাহারা মাতৃভূমি উন্নয়ন করপোরেশন লিমিটেড’। কীভাবে ‘মাতৃভূমির’ উন্নয়ন করতে চান তিনি? ‘ইতিমধ্যেই আমরা নতুন ঢাকা নামে একটি আলাদা উপশহর গড়ে তোলার জন্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছি। আমরা সরকারকে বলেছি, এ ধরনের একটি প্রকল্প গড়তে হলে আমাদের কমপক্ষে এক লাখ একর জায়গার প্রয়োজন হবে।... এ জন্য ঢাকার আশপাশে বেশ কিছু জায়গাও দেখা হয়েছে। আমরা যেখানেই কাজ করি সর্বনিম্ন ১০০ একরের কম জায়গা নিয়ে কিছু করি না। সে রকম কিছু জায়গা আমরা দেখেছিও।’ (প্রথম আলো, ২৬ মে ২০১২)। ঢাকায় সাংবাদিকদের এ ধরনের পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছেন সুব্রত রায়। বাংলাদেশে সাহারা মাতৃভূমি উন্নয়ন করপোরেশন লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে তিনি শেখ ফজলে ফাহিমকে যুক্ত করার ঘোষণা দেন। যে কারোরই ব্যবসা করার অধিকার রয়েছে, জনাব ফাহিমেরও রয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগে তিনি যুক্ত থাকতেই পারেন। কিন্তু তাঁর যে একটি ‘রাজনৈতিক’ পরিচয় রয়েছে, সেটাও নিশ্চয়ই একটি বিবেচনার বিষয়। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংসদ শেখ ফজলুল করিমের ছেলে। ‘সঠিক রাজনৈতিক যোগাযোগ’ বজায় রাখতে সুব্রত রায়ের যে পারদর্শিতার কথা আমরা নানা নিন্দুকের সূত্রে জেনেছি, সেটা সম্ভবত যথাযথই।
সুব্রত রায় তাঁর বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিকল্পনাকে কোনো ধরনের সন্দেহের চোখে না দেখারও অনুরোধ জানিয়েছেন। ‘আমরা এখানে খোলা মন নিয়ে বিনিয়োগ করতে এসেছি, এটিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা ঠিক হবে না। সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখলে আমাদের আবেগ বা কাজের গতি হয়তো কিছুটা কমে যাবে।’ বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ হোক, এটা আমাদের চাওয়া। সন্দেহ করে আমরা কেন বিদেশি বিনিয়োগ হারাতে যাব! কিন্তু আমাদের দেশে আবাসন খাতে এত বড় বিনিয়োগ হবে আর আমরা কিছুই চিন্তা-ভাবনা করব না তা তো হতে পারে না। প্রথমত, বাংলাদেশের আবাসন শিল্প খাত বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ কতটুকু অগ্রাধিকার দাবি করে, সেটা ভাবা দরকার। বর্তমানে আমাদের দেশের যাঁরা এই খাতে কাজ করছেন, তাঁদের চেয়ে বাড়তি কী পাওয়া যাবে এই বিনিয়োগ থেকে? ফ্ল্যাট কেনার জন্য যাঁরা আগাম টাকা দেবেন, তাঁদের টাকার গ্যারান্টি কে দেবে? ভারতে সাহারার বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পে অনেক ক্রেতা প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। ২০০৩ সালে সাহারার একটি আবাসন প্রকল্পে এক লাখ রুপি বিনিয়োগ করে ২০০৯ সালেও ফ্ল্যাট না পেয়ে সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এক ভারতীয় নাগরিক। এর সূত্র ধরে দিল্লির একটি আদালত সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য একটি ওয়ারেন্টও জারি করেছিল। (দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ২৪ জানুয়ারি, ২০১১)।
আর অন্য যেকোনো খাতে বিনিয়োগের চেয়ে আবাসন খাতে বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়টি বেশি সংবেদনশীল। কারণ, এর সঙ্গে জমির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। হোক ‘মাতৃভূমি’ উন্নয়নের উদ্যোগ। কিন্তু ৯৯ বছরের জন্য ১০০ বা এক লাখ একর জমি দিয়ে দেওয়ার শর্তগুলোই বা কী হবে? সবচেয়ে বড় কথা ঢাকার আশপাশে এত জমি কোথায় পাওয়া যাবে? ঢাকার আশপাশে যে জায়গা দেখা হয়েছে বলে সুব্রত রায় জানিয়েছেন, সেই জায়গাগুলো কাদের? একটি নতুন বিমানবন্দর করার জন্য জমি খুঁজে বের করতে সরকার পেরেশান হয়ে যাচ্ছে, আড়িয়ল বিলের মতো অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন বড় আকারের জমি সংগ্রহ করে কিছু করা কতটা সহজ হবে? এই বিষয়গুলো অবশ্যই আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে, ভাবতে হবে।
সাহারা গ্রুপ এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে, তা কোনো গোপন দলিল হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এর বিষয়বস্তু কিছুই গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়নি। বাংলাদেশ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সুব্রত রায়। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে তা আমরা জানি না। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি কী চাইতে পারেন, সেটা জানতে আমরা দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনকে বিবেচনায় নিতে পারি। বাংলাদেশ সফরের মাস তিনেক আগে সেখানে তিনি বলেছিলেন, নতুন ঢাকা প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাঁর চাওয়ার তেমন কিছু নেই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে তিনি শুধু বলবেন, ‘আমাকে সার্বভৌম গ্যারান্টি দিন, আমাদের কোনো অর্থের প্রয়োজন নেই। আমরা ঢাকা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ৪০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা চিহ্নিত করেছি এবং এই জায়গা আমাদের হাতে রয়েছে’ (টাইমস অব ইন্ডিয়া, ২৪ ফেব্রুয়ারি,২০১২)। সুব্রত রায় ‘সার্বভৌম গ্যারান্টি’ চেয়েছেন কি না তা আমাদের জানা নেই। তবে যদি চেয়ে থাকেন, তবে আমাদের খুব সতর্কভাবেই এগোতে হবে। এ ধরনের গ্যারান্টি দেওয়ার বিপদ আখেরে কী হতে পারে তা বিবেচনায় রাখতে হবে। ধরা যাক, বাংলাদেশ সাহারাকে এ ধরনের গ্যারান্টি দিল, আর এই গ্যারান্টি দেখিয়ে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করল তারা। যদি কোনো কারণে সাহারার এই প্রকল্প ব্যর্থ হয়, সাহারা যদি অর্থ ফেরত দিতে না পারে বা সমস্যা করে তখন বাংলাদেশকে তার দায় নিতে হবে। সাহারার জন্য বাংলাদেশের এই ঝুকি নিতে যাবে কেন!
সাহারার আবাসন প্রকল্প সাহারা প্রাইম সিটির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার জন্য চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টার্নার কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাহারার মতো একটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে টার্নার কেন যৌথ উদ্যোগে কাজ করার জন্য চুক্তি করল, সে প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক। এতে বিরক্ত হয়ে সুব্রত রায় সাহারা প্রশ্নকারী সাংবাদিককে অপদস্থ করেছিলেন। কিন্তু যাঁর উদ্দেশে এই প্রশ্নটি করা হয়েছিল, মানে টার্নারের প্রেসিডেন্ট ও সিইও নিকোলাস বিলোত্তি অবশ্য এতে বিরক্ত হননি। পরে তিনি শান্তভাবে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, এখানে সাহারার ব্যাপারে কী বিতর্ক আছে, সেটা নিয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠান খুব চিন্তিত নয়। কারণ, তাঁদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, সেখানে অর্থ পরিশোধের শর্তের ক্ষেত্রে সব ধরনের সুরক্ষা রয়েছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠান না হয় সাহারার সঙ্গে সব ধরনের ‘সুরক্ষা’ নিয়ে চুক্তি করেছে। বাংলাদেশের পক্ষে সেটা কত দূর সম্ভব?
সাহারার বিনিয়োগ প্রস্তাবকে ‘সন্দেহের চোখে’ দেখার চেয়ে আমরা বরং আমাদের ‘সুরক্ষা’ নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন।
এ কে এম জাকারিয়া: সাংবাদিক।
[email protected]
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×