somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ জাবি শাখাকে বাঁচান:একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের আকুতি

১০ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেন সিলেটে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। আমার এক বান্ধবী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। তার সাথে মাঝে মাঝেই আমার কথা হয়। কয়েকদিন আগে সে আমাকে জানায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যক্তি স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে দেয়ালগুলোতে দু’জন লোকের সমন্বয়ে একটি পবিত্র সংগঠনের নাম ব্যবহার করে চিকা মারা হয়েছে। কেউ প্রশ্ন তোলতে পাড়েন কেন এটা স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে করা হলো। কারণ যাদের নাম ওই চিকা গুলোতে দেখা গিয়েছে তাদের একজনের ছাত্রত্ব নেই অপরজনের নিভু নিভু।

ব্যক্তিগত কাজ হাসিলের জন্য ওই চিকাগুলোতে যে নাম ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো গোলাম মুজতবা ধ্রুব ও ইমন রহমান। ফেসবুক মারফত জানতে পারলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের সভাপতি গোলাম মুজতবা ধ্রুব
কাজ করেন জামায়াত পন্থী অনলাইন বার্তা ২৪ ডট কমে।

যার সম্পাদক জামায়াত নেতা সরদার ফরিদ। আবার নিজে সাফাই গেয়ে বেড়ান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে। এটা হাস্যকর নয় কি?

তার ফেসবুক স্টাটাস থেকে আরো যে তথ্য জানা গেল তাতে সবুজের এই পবিত্র ক্যাম্পাসকে অপবিত্র শিবির জামাতের আস্তানা হিসাবে চিন্থিত করা হয়েছে। মুজতবা ধ্রুব নাকি ক্যাম্পাসে শিবির খুজতে বের হয়েছেন। কিন্তু ক্যাম্পাসে কোনদিন শিবির প্রবেশ করলো এমন একটি কমেন্ট এর উত্তর তিনি দিতে অক্ষম হয়েছেন। তার প্রোফাইল থেকে আরো জানতে পারলাম ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সমিতি নামক সংগঠনগুলোতে শিবির নেতা আছে। অথচ বান্ধবী জানালো, চিকাতে নাম থাকা ইমন ও ধ্রব নাকি এক সময়ের সাংবাদিক সমিতির ট্রেজারার ও সদস্যসহ বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। নিজেরা যখন সেখানে ছিলেন তখন শিবির খোঁজা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সাংগঠনিক দায়িত্ব কোথায় ছিল? বান্ধবী তার এক সহপাঠী (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান)’র সাথে কথা বলে জানালো তাদের আগে ১৯৯৬ সাল থেকে এ ক্যম্পাসে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নামে সংগঠনটি চালু ছিল। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করতে নিজস্ব কিছু সাংবাদিক নিয়ে সংগঠনটি আগের কমিটি থেকে নিয়ে পুনরায় চালু করা হয়। প্রশ্ন উঠতে পারে ক্যাম্পাসে কি সাংবাদিকরাই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাকি শিক্ষার্থীরা??

আর সাংস্কৃতিক শিক্ষার্থীদের শিবির বলার কারণ ছাত্রলীগ ও পদত্যাগী ভিসি শরীফ এনামুল কবিরের হুকুম বাস্তবায়ন। যে কোন অন্যায় কাজে প্রতিপক্ষকে শিবির বানাতেই মূলত আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লেবাস গায়ে জড়িয়েছে এই দুই পল্টিবাজ সুবিধাভোগী সাংবাদিক।

শুধু তাই নয় ছাত্রলীগের সাথে যোগ সাজসে সদ্যবিদায়ী উপাচার্যের ম্যানেজ থিওরীতে পড়ে ক্যাম্পাসের কোন দেয়াল বাকী তো রাখেইনি। সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে শিবির মুক্ত করার ঘোষনাও দেয়ায় প্রশ্ন উঠেছে শিবির মুক্ত ক্যাম্পাস করতে যদি জামায়াতপন্থী কোন লোক নেতৃত্ব দেয় তাহলে তা কতটুকু গ্রহনযোগ্যতা বা কার্যকর হবে? শোনা যাচ্ছে ছাত্রলীগের আসন্ন নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নিজেকে বিভিন্ন স্থানে পরিচয় দিচ্ছেন। ঢাকায় লবিংও করছেন কমিটিতে নিজের নামটি রাখতে এ সুবিধাবাদী ব্যক্তিটি।

এসব দেখে আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে,‘যখন কেউ নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে ক্যাম্পাসের দেয়াল রাঙিয়ে দেয়, যে সংগঠনের সভাপতি আবার যুদ্ধাপরাধীদের সংবাদ মাধ্যমে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করে তখন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিতে অস্বস্তি বোধ করি।

এমতবস্থায় আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট আমার আকুল আবেদন এ পদলোভী ব্যক্তিদের হাত থেকে আমাদের পবিত্র সংগঠন এর অঙ্গ সংগঠনটিকে বাঁচাতে আশু পদক্ষেপ গ্রহন করুন। ১৯৯৬ সাল থেকে যে সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে তা দুই একজন পদলোভী, সুবিধাবাদী ব্যক্তির কারনে তা নষ্ট হতে পারেনা।
ব্লগ বিডি নিউজ এ প্রকাশিত
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:১১
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×