somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারের বড় শত্রু—দুদক

০৯ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকারের বড় শত্রু—দুদক
শাহ্দীন মালিক


সরকারকে হরহামেশা গালমন্দ করে নিজেই ক্লান্ত। তাই পণ করেছি, আজ সরকারের পক্ষে বলব।
এমনিতেই নীতি-দুর্নীতি নিয়ে আরও হাজারো নাগরিকের মতো অনেক ভাবনা মনের ভেতরে কোথাও না কোথাও ইতিপাতি, হাঁসফাঁস করছিল। প্রিয় লেখক আনিসুল হক দুর্নীতি নিয়ে প্রথম আলোতে তাঁর কলামের শিরোনাম দিয়েছেন, ‘পুকুরচুরি বিলচুরি নদীচুরি’ (প্রথম আলো, ৫ জুন, ২০১২, পৃষ্ঠা ১২)। অর্থাৎ এক অর্থে শুধু টাকা-পয়সার আসল দুর্নীতির সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতি নিয়ে চিন্তা, বক্তব্য লেখালেখি—সবকিছুই আমাদের আছে। দুর্নীতি আছে কিন্তু কথাবার্তা নেই অথবা শুধু কথাবার্তাই আছে আসল দুর্নীতি নেই—তাহলে তো ব্যাপারটা বেমানান বা জুতসই হতো না। দুর্নীতিকে সর্বাঙ্গীণ (অর্থাৎ লেখালেখির মাধ্যমে) করার প্রয়াসে তাই আবার শামিল হই। সর্বব্যাপী ব্যাপার। বাইরে থাকি কেমনে। তবে সমস্যা হলো, অধম আমলাও না, আর রাজনীতির ত্রিসীমানায়ও ঘেঁষতে অক্ষম। তাই আপাতত দুর্নীতির বিষয়ে অবদান প্রথম আলোর কলামেই সীমাবদ্ধ রাখতে হচ্ছে!
লেখাটি নিয়ে এগোনোর আগে একটু ‘সাইড-টক’। দুর্নীতি নিয়ে গান-কবিতা, কেন হচ্ছে না। দুর্নীতি তো সবাইকে এখন ‘টাচ’ করছে। আমাদের গীতিকার, গায়ক-গায়িকারা মনে হচ্ছে এ-জাতীয় ইস্যু নিয়ে মোটেও উদ্বেলিত হচ্ছেন না। বোধ হয় দুর্নীতি রস-কষ, প্রেম-ভালোবাসাবিহীন একটা শুকনো ব্যাপার।

২.
সরকার নিশ্চয় আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়। চলমান পাঁচ বছরের কম-বেশি সাড়ে তিন বছর, অর্থাৎ শতকরা ৭০ ভাগ সময় পেরিয়ে গেছে। বাকি ৩০ ভাগ, দেখতে দেখতে মাস তিনেক পরে অঙ্কের হিসাবে বাকি থাকবে সাকল্যে এক-চতুর্থাংশ সময়। আবার আরও পাঁচ বছরের জন্য সরকারের ক্ষমতায় থাকতে হলে ফলপ্রসূ ব্যবস্থা এখন থেকেই নিতে হবে, যাতে জনগণ আরও পাঁচ-পাঁচটি বছরের জন্য বর্তমান সরকারি জোটকে আবার ক্ষমতাসীন করেন। ভালো ভালো ব্যবস্থা এখন থেকেই নিতে হবে, নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে। পুনর্নির্বাচিত হওয়া বা আরও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসার পথে যে বাধার সৃষ্টি করবে, সে নিশ্চয়ই বর্তমান দিনবদলের ডিজিটাল সরকারের বড় শত্রু। আশা করছি, অধমের শত্রুসংক্রান্ত এই মূল্যায়নের সঙ্গে চরম ও কট্টর সরকারপন্থীরা একমত হবেন। নিদেনপক্ষে দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে তেড়ে অধমের পানে ধেয়ে আসবেন না।
দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের ওয়েবসাইটে গেলে কত অভিযোগ পাওয়া গেছে, কতগুলোর তদন্ত হচ্ছে, এফআইআর এবং মামলা কত হয়েছে, কয়টি মামলা বিচারাধীন আছে—ইত্যাদি কিছু সংখ্যা পাওয়া যায়। যেটা আজকাল পত্রপত্রিকায় দেখি না, সেটা হলো দুর্নীতির দায়ে বিচার হয়ে শাস্তি হওয়ার খবর। দুদক অনেক তদন্ত করছে। সব তদন্ত তো আর পত্রিকাআলারা হেডলাইন করে না বা সংবাদমাধ্যম পাত্তা দেয় না। যেগুলো সংবাদমাধ্যম মারফত জানতে পারি সেগুলো নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ, অর্থাৎ যথার্থই সংবাদ হওয়ার যোগ্য। যেমন পদ্মা সেতুসংক্রান্ত দুর্নীতির কোনো ধরনের হদিস আমাদের দুদক পায়নি। ব্যাটা হতচ্ছাড়া বিশ্বব্যাংক। আমাদের ফুলের মতো পবিত্র রাজনীতিবিদদের ব্যাপারে শুধু শুধু কুৎসা রটনা। অবশ্য বোধ হয় বিনা কারণে না। নিশ্চয় ঘোরতর আন্তর্জাতিক কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দুর্নীতির এই দুর্নাম আমাদের মন্ত্রীদের সইতে হচ্ছে। আমার মনে হয়, সম্মানিত সাংসদেরা বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের বড় সাহেবকে এখন তলব করতে পারেন জবাবদিহি করার জন্য। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হোক—আমাদের স্বাধীন দক্ষ দুর্নীতি দমন কমিশন কোনো দুর্নীতি পেল না আজতক, আর আপনি কীভাবে পেলেন?
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বেলায় একই হলো। মাঝরাতে ঢাকা শহরে কোথায় কোন একটা গাড়িতে কয়েক লাখ টাকা পাওয়া গেল। হ্যাঁ, গাড়ির আরোহীরা সেনগুপ্ত সাহেবের বেশ পরিচিত। মন্ত্রী হয়েছেন বলে কি সেনগুপ্ত সাহেবের টাকাওয়ালা পরিচিত কোনো ব্যক্তি থাকতে পারবেন না? না কি তাঁরা তাঁদের টাকা নিজের গাড়িতে করে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না। সঠিকভাবেই দুদক সুরঞ্জিত বাবুর দুর্নীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি।
আগেই বলেছি, দুদক খুব বেশি দুর্নীতি খুঁজে পাচ্ছে না। রিলিফের টিন, কাবিখার চাল-গম, ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের ১০-২০ হাজার লোপাট করা—এসব সম্ভবত খুঁজে পেতে দুদক বেশ পটু। কিন্তু এ দেশের বর্তমানকালের কোনো উচ্চপদস্থ ব্যক্তি যে দুর্নীতি করেন, তার প্রমাণ দুদকের কার্যকলাপে এখন আর পাওয়া যাবে না।
আরেকটা ‘সাইড টক’। গত ফেব্রুয়ারিতে খবরে পড়লাম, দুদকের দুজন কমিশনার তাঁদের মেয়াদ পূর্তিতে অবসরে গেছেন। দুদক আইন পড়ে দেখলাম, শুধু এক চেয়ারম্যান দিয়ে দুদক চলে না; সিদ্ধান্ত নিতে হবে চেয়ারম্যানসহ মোট তিন সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে। জনস্বার্থে ব্যস্ত বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালাম। দুই কমিশনার ছাড়া দুদক চলতে পারে না। সঠিক দিনক্ষণ মনে নেই, তবে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর মাস খানেক পর দুজন নতুন কমিশনার নিয়োজিত হয়েছেন। চুপেচাপে যদিও দুদক আইনে নিয়োগ কমিটি আছে হরেক রকমের হর্তাকর্তার সমন্বয়ে।

৩.
দুদক দুর্নীতি খুঁজে পাচ্ছে না, তাহলে সরকারের বড় শত্রু হলো কীভাবে?
দেশের মানুষ তো ধারণা করে, সম্ভবত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসও করে, দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। আনিসুল হকের ভাষায়, পুকুরচুরি বিলচুরি নদীচুরি—সবই এন্তার হচ্ছে। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘আবুলি সড়ক’ আর পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ভোটের সময় ভোটাররা মনে রাখবেন। দুদক যতই ক্লিন সার্টিফিকেট দিক না কেন, মধ্যরাতের ৭০ লাখ টাকা ভোটাররা ডার্টি মানি হিসেবেই মনে রাখবেন। ২০০৪ সালে দুদক গঠিত হওয়ার পর তৎকালীন দুদক চেয়ারম্যান আর মেম্বার-কমিশনাররা কার, কিসের ক্ষমতা, আগের দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কতজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাখা হবে, কতজন ছাঁটাই হবে ইত্যাদি বড় বড় জটিল বিষয়ে এত বেশি ব্যস্ত ছিলেন যে হাওয়া ভবন বা বিএনপির আমলের কোনো দুর্নীতির ব্যাপারেই মনোযোগী হতে পারেননি।
সে সময় দুদক দু-চারজনকে ধরতে পারলে পরবর্তী সময়ে হাওয়া ভবন এবং ক্ষমতার আশপাশের ব্যক্তিদের দুর্নীতির পরিমাণ জানতে পেরে আমরা আঁতকে উঠতাম না। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সেই দুর্নীতি-জ্ঞানের প্রতিফলন হয়েছিল। অর্থাৎ বিএনপির আমলের বিকট দুর্নীতি ২০০৭-২০০৮-এর সরকারের আমলে ফাঁস হওয়া বিএনপির ভরাডুবির প্রধান কারণ ছিল। ২০০৪-২০০৬ সালে দুদক যদি কিছুটা হলেও সক্রিয় হতো আর রুই-কাতলা না হোক, নিদেনপক্ষে যদি কিছু পুঁটিমাছও ধরত, তাহলে বিএনপির এ ভরাডুবি হতো না।
তাই বলছিলাম, দুদক এখন সরকারের শত্রু। এটা ঠিক যে রুই-কাতলারা এখন বহাল তবিয়তে আছেন। দুদক তাঁদের বিরক্ত করছে না। আর তত্ত্বাবধায়ক আমলে বর্তমান সরকারের যেসব হোমরা-চোমরা দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, তাঁদের মামলা আপিলে খারিজ অথবা বিচার শেষ না হওয়া মামলাগুলো তুলে নেওয়া হয়েছে। আগের বা নতুন, কোনো মামলাই বলতে গেলে নেই। তাই বলে জনগণ কি ভাবছে যে দুর্নীতি হচ্ছে না? নিশ্চয় না। দুদক যদি দুই-চারজনকে ধরত, মামলা করত এমনভাবে যে দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে সরকার অনেকাংশেই তার দুর্নীতিসংক্রান্ত অপবাদ মোকাবিলা করতে পারত। অন্তত বলতে পারত, আমাদের সময় দুদক চেষ্টা করেছে, অমুক-তমুকের দুর্নীতির জন্য শাস্তি হয়েছে। বর্তমান দুদকের কল্যাণে এমনটি সরকার বলতে পারবে বলে তো আর মনে হয় না।
বলা বাহুল্য, ভোটাররা তো আর দুদকের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেবেন না, দুদকের ব্যর্থতার জন্য ভোটাররা দায়ী করছেন সরকারকে। অর্থাৎ ভোট দেবে বর্তমান দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে। দুদকের চেয়ারম্যান আর কমিশনাররা সরকারের কোনো হোমরাচোমরার বিরুদ্ধে তদন্ত-মামলা না করে কারও বিরাগভাজন হচ্ছেন না, এটা ঠিক। সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের প্রায় সবাই সম্ভবত দুদকের ব্যাপারে খুবই প্রীত ও সন্তুষ্ট।
কিন্তু ভোটাররা এটাকে মোটেও ভালোভাবে নেবেন না, সময় এলে। সরকারের বাকি ৩০ ভাগ সময়ে এ দুদক যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে, তা আর এখন বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না।
অর্থাৎ এই শত্রু বর্তমান সরকারকে— অধমের আশঙ্কা—ঘায়েল করেই ছাড়বে।
ড. শাহ্দীন মালিক: জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।


Click This Link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শেষ মুহূর্তে রাইসির হেলিকপ্টারে কী ঘটেছিল

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩২

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত খুব কমই জানা গেছে। এবার এ ঘটনার আরও কিছু তথ্য সামনে এনেছেন ইরানের প্রেসিডেন্টের চিফ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!

এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের কিছু উল্টা পালটা চিন্তা !

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১০

১।
কলকাতা গিয়ে টুকরা টুকরা হল আমাদের এক সন্ত্রাসী এমপি, কলকাতা বলা চলে তার ২য় বাড়ি, জীবনে কতবার গিয়েছেন তার হিসাব কেহ বের করতে পারবে বলে মনে করি না, কলকাতার অলিগলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×