somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কল্পিত বাস্তব কিংবা বাস্তবিক কল্পনা

০৮ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাল রাতে পোস্টটা হয়তোবা কেউ দেখেনি । হয়তো ভালমত পোস্ট হয়নি । তাই এখন আবার দিলাম। মতামত আশা করছি শ্রদ্ধেয় ব্লগারগণ !


শ্বাসকষ্টটা কিভাবে শুরু হলো সেটা বুঝতে পারছে গাছটা । পদ্ধতিটা বেশ অভিনব ! প্রথমে দূরত্ব , অপ্রাপ্তি আর স্মৃতিগুলো হতাশায় পরিণত হলো । তারপর সেটা বদলে গেলো অভিমানে । কাছের কারো সঙ্গ , সাড়া না পেয়ে অভিমান আর বেদনাগুলো দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেরিয়ে আসতে চাইলো । কিন্তু গাছটার কাণ্ড, শাখাপ্রশাখা যেন সংকুচিত হয়ে পড়ছে ! অভিমান-বেদনা যুদ্ধ শুরু করেছে ভেতরে ! কেউ কাউকে বেরুতে দিচ্ছে না ! তারপরেই আস্তে আস্তে শ্বাসকষ্ট শুরু হলো গাছটার !

গাছটা তখন ময়নাতদন্ত করতে বসলো যে সে যা চেয়েছিল সেটা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা !

ঘটনার শুরু এভাবে –
মানুষটা সাধারণ । অসাধারণ হবার বা বিশেষ কিছু করার ইচ্ছে কোনকালেই ছিল না । হঠাৎ তরুণ বয়স থেকে নিজের মাঝের আবেগপ্রবণতা আবিষ্কার করলো । অনুভূতির একটা ভালো দিক হলো সবাইকেই ভালোবেসে আপন করে নেয়া যায় । সবার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করে তাকে আপনমানুষ করে নিলো । দিনগুলো এতো চমৎকার হয় কিভাবে ! বন্ধুর কথা শুনলেই মন ফুরফুরে হয়ে যায় ! এতো সুন্দর জীবন ! আর কিচ্ছু চাইতোনা মানুষটা ।

কিছুদিন পর মানুষটার অনুভূতিগুলো হেয় প্রতিপন্ন হলো অনেকের কাছে । সবাই কয়েকদিনের জন্য কাছে আসে আবার চলে যায় ।শুধু একা পড়ে রয় সে ! অনুভূতিগুলো কাঁদায় ! শুধু একা লাগে ।পুরানো মানুষগুলো , স্মৃতিগুলো কে আঁকড়ে ধরতে চায় । অবলম্বন না পেয়ে যেন ঝরে পড়ে !

মানুষটা ঠিক করে সে অনুভূতিশূন্য হবে ; যেখানে অনুভূতির কোন জায়গা নেই । একটা পরিবর্তনের মাধ্যমে সে জড় পদার্থে পরিণত হবে। একটা পাথরে , বালুখন্ডে কিংবা একটা মরা কাষ্ঠখন্ডে !

মানুষটা মাটি খুঁড়ে দাঁড়িয়ে পড়লো নিজেকে অর্ধেক ডুবিয়ে । রোদ ওঠে , বৃষ্টি নামে , শীত আসে । গায়ের চামড়া রুক্ষ হতে হতে বাকলে পরিণত হয় । পাতা গজায় শরীরে । আসতে আসতে মানবিক চাহিদাগুলো লোপ পেতে থাকে ।
ভুলে যেতে থাকে যে – এক বৃষ্টির দিনে কৃষ্ণা নামের মেয়েটির সাথে জীবনের একমাত্র ডেট করেছিল সে । কৃষ্ণা তার থেকে বড় হলেও তাকে আপু ডাকেনি সে , বন্ধুর মত ভালোবাসতো । ঐ আকস্মিক ডেটের কথা ওরা প্রায়ই বলতো আর হাসাহাসি করতো ।
ভুলে যেতে থাকে যে - নীল , সবুজ , আকাশ এর মত বন্ধুদের। যাদের সাথে একটাদিন না কথা না বললে অভিমানে ফুলে উঠত তার মন । যাদের একটা এসএমএস পেলে দুঃখ জিনিসটা উড়াল দিতো দূরদেশে ।

সে ধীরে ধীরে সব অনুভূতিভুলে যেতে চায় ! মানুষ থেকে গাছে , গাছ থেকে একটা জড় কাষ্ঠখণ্ডে পরিণত হতে চায় । অনুভূতি বড়ই খারাপ জিনিস ! বেদনা দেয় শুধু !

কিন্তু আজ সকালে শ্বাসকষ্টটা বুঝিয়ে দিল তার পরিকল্পনামত কাজ হচ্ছে না ! অনুভূতির বাতাস এখনও তার ডালে, পাতায় লাগে ! অভিমানগুলো তার দমবন্ধ করে রেখেছে । এখনও সে দুঃখ বেদনা অনুভব করতে পারে ! পাখির সাথে আবারো বন্ধুত্ব করতে ইচ্ছে করে । বাতাসের সাথে তাল মেলাতে ইচ্ছে করে ।

হয়তো সে হতাশ হয়ে আবার মানুষেই পরিণত হয়ে যেত । আবারো হাসতো , কাঁদতো । কিন্তু দিনের পর দিন খরা , অনাবৃষ্টিতে গাছটা শুকিয়ে গেলো । পাতাগুলো ঝরে পড়লো ।
ডাল রসহীন হয়ে পড়লো ।
এরপর এক চরম রৌদ্রতপ্ত দিনে এক কাঠুরে এসে গাছটা কেটে নিয়ে গেলো । পড়ে রইল অবশিষ্ট নির্জীব কাষ্ঠখণ্ড ।

ভাবছেন , তার ইচ্ছা পূরণ হলো ? সে সব অনুভূতি থেকে মুক্ত হলো ?
না !
একদিন আরেকটি গাছের খণ্ড কেটে রাখা হলো তার সামনে ।
তার ভেতরে যে এখনও অনুভূতি আছে সেটা প্রমাণ হয়ে গেলো একটা কথায় –
তার বলতে ইচ্ছা করলো অন্য কাষ্ঠখণ্ডটাকে – আমার নাম মানববৃক্ষ । আমার বন্ধু হবে ? !!!!!!!!!

হায়রে অনুভূতি ! তুমি বড্ড ছ্যাঁচড়া ! পিছু ছাড়তেই চাও না ! তোমাকে নিয়েই বাঁচতে , মরতে হবে । হাসতে হবে , কাঁদতে হবে।
শ্বাসকষ্টটা কিভাবে শুরু হলো সেটা বুঝতে পারছে গাছটা । পদ্ধতিটা বেশ অভিনব ! প্রথমে দূরত্ব , অপ্রাপ্তি আর স্মৃতিগুলো হতাশায় পরিণত হলো । তারপর সেটা বদলে গেলো অভিমানে । কাছের কারো সঙ্গ , সাড়া না পেয়ে অভিমান আর বেদনাগুলো দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেরিয়ে আসতে চাইলো । কিন্তু গাছটার কাণ্ড, শাখাপ্রশাখা যেন সংকুচিত হয়ে পড়ছে ! অভিমান-বেদনা যুদ্ধ শুরু করেছে ভেতরে ! কেউ কাউকে বেরুতে দিচ্ছে না ! তারপরেই আস্তে আস্তে শ্বাসকষ্ট শুরু হলো গাছটার !

গাছটা তখন ময়নাতদন্ত করতে বসলো যে সে যা চেয়েছিল সেটা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা !

ঘটনার শুরু এভাবে –
মানুষটা সাধারণ । অসাধারণ হবার বা বিশেষ কিছু করার ইচ্ছে কোনকালেই ছিল না । হঠাৎ তরুণ বয়স থেকে নিজের মাঝের আবেগপ্রবণতা আবিষ্কার করলো । অনুভূতির একটা ভালো দিক হলো সবাইকেই ভালোবেসে আপন করে নেয়া যায় । সবার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করে তাকে আপনমানুষ করে নিলো । দিনগুলো এতো চমৎকার হয় কিভাবে ! বন্ধুর কথা শুনলেই মন ফুরফুরে হয়ে যায় ! এতো সুন্দর জীবন ! আর কিচ্ছু চাইতোনা মানুষটা ।

কিছুদিন পর মানুষটার অনুভূতিগুলো হেয় প্রতিপন্ন হলো অনেকের কাছে । সবাই কয়েকদিনের জন্য কাছে আসে আবার চলে যায় ।শুধু একা পড়ে রয় সে ! অনুভূতিগুলো কাঁদায় ! শুধু একা লাগে ।পুরানো মানুষগুলো , স্মৃতিগুলো কে আঁকড়ে ধরতে চায় । অবলম্বন না পেয়ে যেন ঝরে পড়ে !

মানুষটা ঠিক করে সে অনুভূতিশূন্য হবে ; যেখানে অনুভূতির কোন জায়গা নেই । একটা পরিবর্তনের মাধ্যমে সে জড় পদার্থে পরিণত হবে। একটা পাথরে , বালুখন্ডে কিংবা একটা মরা কাষ্ঠখন্ডে !

মানুষটা মাটি খুঁড়ে দাঁড়িয়ে পড়লো নিজেকে অর্ধেক ডুবিয়ে । রোদ ওঠে , বৃষ্টি নামে , শীত আসে । গায়ের চামড়া রুক্ষ হতে হতে বাকলে পরিণত হয় । পাতা গজায় শরীরে । আসতে আসতে মানবিক চাহিদাগুলো লোপ পেতে থাকে ।
ভুলে যেতে থাকে যে – এক বৃষ্টির দিনে কৃষ্ণা নামের মেয়েটির সাথে জীবনের একমাত্র ডেট করেছিল সে । কৃষ্ণা তার থেকে বড় হলেও তাকে আপু ডাকেনি সে , বন্ধুর মত ভালোবাসতো । ঐ আকস্মিক ডেটের কথা ওরা প্রায়ই বলতো আর হাসাহাসি করতো ।
ভুলে যেতে থাকে যে - নীল , সবুজ , আকাশ এর মত বন্ধুদের। যাদের সাথে একটাদিন না কথা না বললে অভিমানে ফুলে উঠত তার মন । যাদের একটা এসএমএস পেলে দুঃখ জিনিসটা উড়াল দিতো দূরদেশে ।

সে ধীরে ধীরে সব অনুভূতিভুলে যেতে চায় ! মানুষ থেকে গাছে , গাছ থেকে একটা জড় কাষ্ঠখণ্ডে পরিণত হতে চায় । অনুভূতি বড়ই খারাপ জিনিস ! বেদনা দেয় শুধু !

কিন্তু আজ সকালে শ্বাসকষ্টটা বুঝিয়ে দিল তার পরিকল্পনামত কাজ হচ্ছে না ! অনুভূতির বাতাস এখনও তার ডালে, পাতায় লাগে ! অভিমানগুলো তার দমবন্ধ করে রেখেছে । এখনও সে দুঃখ বেদনা অনুভব করতে পারে ! পাখির সাথে আবারো বন্ধুত্ব করতে ইচ্ছে করে । বাতাসের সাথে তাল মেলাতে ইচ্ছে করে ।

হয়তো সে হতাশ হয়ে আবার মানুষেই পরিণত হয়ে যেত । আবারো হাসতো , কাঁদতো । কিন্তু দিনের পর দিন খরা , অনাবৃষ্টিতে গাছটা শুকিয়ে গেলো । পাতাগুলো ঝরে পড়লো ।
ডাল রসহীন হয়ে পড়লো ।
এরপর এক চরম রৌদ্রতপ্ত দিনে এক কাঠুরে এসে গাছটা কেটে নিয়ে গেলো । পড়ে রইল অবশিষ্ট নির্জীব কাষ্ঠখণ্ড ।

ভাবছেন , তার ইচ্ছা পূরণ হলো ? সে সব অনুভূতি থেকে মুক্ত হলো ?
না !
একদিন আরেকটি গাছের খণ্ড কেটে রাখা হলো তার সামনে ।
তার ভেতরে যে এখনও অনুভূতি আছে সেটা প্রমাণ হয়ে গেলো একটা কথায় –
তার বলতে ইচ্ছা করলো অন্য কাষ্ঠখণ্ডটাকে – আমার নাম মানববৃক্ষ । আমার বন্ধু হবে ? !!!!!!!!!

হায়রে অনুভূতি ! তুমি বড্ড ছ্যাঁচড়া ! পিছু ছাড়তেই চাও না ! তোমাকে নিয়েই বাঁচতে , মরতে হবে । হাসতে হবে , কাঁদতে হবে।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×