আমার বুয়েটের ছোট ভাই নাজিমের ছোট বোন ১৮ বছরের রাবেয়া আক্তার (মম) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ধানমন্ডির ৮ নং রোডের আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল এর বি/৫১৮ নং কেবিনে শুয়ে।
মেয়েটি এ বছরই মাত্র HSC পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঢাকা এসেছিল ভার্সিটি ভর্তি কোচিং করতে। ঢাকা আসার পরেই কিছুটা অসুস্থ হয়ে পরে সে। প্রথমদিকে পরিবারের সবাই এটিকে আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সাময়িক অসুস্থতা বলে ধরে নিলেও সময়ের সাথে সাথে অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তাকে নেয়া হয় গ্রীন ভিউ ক্লিনিক এ। ডাক্তার তার রক্ত পরীক্ষা করে রিপোর্ট করেন যে, তার রক্তে Aplastic Anaemia (এক প্রকার ব্লাড ক্যান্সার) ধরা পরেছে যা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। যথাযথ চিকিৎসা পেলে সে সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই 'যথাযথ' চিকিৎসা পেতে তার পরিবারের দরকার ৬০ লক্ষ টাকা!!!! একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এত টাকা যোগান দেয়া সম্ভব নয়।
দুদিন আগেও যে মেয়েটা রঙ্গিন স্বপ্ন দেখত, আজ তার স্বপ্নের রঙ বড় বেশি ফিকে হয়ে গেছে। না কোন ভর্তিযুদ্ধ নয় সে যুদ্ধ করছে মরনব্যাধি ক্যান্সারের সাথে। ভর্তি পরীক্ষায় হয়ত তাকে দেখা যাবে না কিন্তু এতটুকু প্রত্যাশা করা কি অপরাধ কিংবা স্পর্ধার বাড়াবাড়ি যে মেয়েটি বেঁচে থাকবে আমাদের মাঝে? আমাদের মতই? আসুন না সবাই মিলে তার পাশে দাড়াই।বাড়িয়ে দেই সাহায্যে হাত। "মানুষ মানুষের জন্য" এই সত্য আরো একবার প্রতিষ্ঠিত করি।
কেউ কেউ হয়ত আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারবেন না কিন্তু এই পোস্টটি অন্তত শেয়ার করুন। আপনার পরিচিত হয়ত কেউ একজন এই পোস্ট দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। সেটা কি আপনার সাহায্য করা হল না? সকল ফেসবুক ও ব্লগ ব্যবহারকারী ভাই-বোনদের কাছে আমার এতটুকু অনুরোধ রইল, দয়া করে লেখাটি শেয়ার করুন।
সাহায্য পাঠান এই ঠিকানায়ঃ
MD SAHAB UDDIN
Ac/No: 153.101.45846
Sonagazi Branch, Feni
Dutch Bagla Bank LTD.
আলোচিত ব্লগ
দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(
আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন